আতঙ্ক এটা এমন এক অনুভূতি যা মুহূর্তের মধ্যে আমাদের মনকে স্থির থেকে অস্থির করে তোলে জীবনকে বিপন্ন মনে হয় এবং আমাদের সঠিকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। আতঙ্ক একটি অন্তত প্রভাবশালী মানসিক অবস্থা যা ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামগ্রিক সামাজিক ব্যবস্থার উপর ও গভীর প্রভাব ফেলে। আধুনিক সমাজে আতঙ্ক বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পায় যেমন ব্যক্তিগত উদ্বেগ সামাজিক অস্থিরতা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিক্রিয়া।
আতঙ্কের শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব অন্তত গুরুতরও হতে পারে। আতঙ্কের সময় আমাদের শরীর এন্ট্রিনালিম নামক হরমোন নিঃসরণ করে যা আমাদের হিল স্পন্দন বাড়াই রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। এটি শরীরকে লড়াই অথবা পালিয়ে যাওয়া প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তুত করে। যদিও এটি আমাদের বেঁচে থাকার জন্য একটি প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া তবে অতিরিক্ত বা দীর্ঘস্থায়ী আতঙ্ক মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে আতঙ্ক মানসিক চাপ উদ্বেগ এবং বিষন্নতার কারণ হতে পারে যা ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবন যান্ত্রিক যাত্রা কে ব্যাহত করে।
সামাজিকভাবে আতঙ্ক একটি ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে। এটি সম্প্রদায় বা সমাজে যদি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি সামাজিক বন্ধন কে দুর্বল করে এবং জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহের বীজ বপন করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সামাজিক অস্থিরতার সময় আতঙ্ক সমাজের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্কজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যার ফলে মানুষ দিশাহীন হয়ে পড়ে এবং অবিবেচনার প্রসত্ত্ব কাজ করে। আতঙ্ক মানুষ কে সঠিকভাবে চিন্তা করতে এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয় যা সামাজিক বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আতঙ্ক কি মোকাবেলা করার জন্য মানসিক স্থিতিশীলতা এবং সংকট মোকাবেলা করার ক্ষমতা অন্তত জরুরী। আতঙ্কিত পরিস্থিতিতে আমাদের মনোযোগ এবং মনোযোগ বজায় রাখা অন্তত কঠিন হয়ে পড়ে। তবে যে ব্যক্তি মানসিকভাবে স্থিতিশীল এবং প্রশিক্ষণ তিনি আতঙ্কের মধ্যে শান্ত থাকতে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন। যেমন একজন জরুরী সেবা কর্মী বা চিকিৎসক আতঙ্কের পরিস্থিতিতে কিভাবে শান্ত থাকা যায় এবং দ্রুত কার্যক্রম পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা ভালোভাবে জানেন। এজন্য তাই মানসিক প্রশিক্ষণ এবং সংকট মোকাবেলার কৌশল শিক্ষা আতঙ্কের মোকাবিলার করার জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ।