শিকার: প্রাচীন প্রবৃত্তি এবং আধুনিক সংবেদনশীলতা

শিকার এটি একটি প্রাচীন প্রবৃত্তি যা মানুষের ইতিহাসের প্রথম দিক থেকেই বিদ্যমান।

শিকার এটি একটি প্রাচীন প্রবৃত্তি যা মানুষের ইতিহাসের প্রথম দিক থেকেই বিদ্যমান। আদিম সমাজে মানুষ বেঁচে থাকার জন্য স্বীকার করত। খাদ্য বস্ত্র এবং জীবিকার জনসিকার ছিল মানুষের জন্য এক অপরিহার্য কাজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক পরিবর্তিত হয়েছে এবং স্বীকার কেবল জীবিকার জন্য নয় বরং বিনোদন ক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। তবে আধুনিক সমাজের শিকার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক ও সংবেদনশীলতা রয়েছে যা আমাদেরকে শিকারের নৈতিকতা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে পূর্ণ বিবেচনা করতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। 

 

শিকার মানুষের প্রাচীনতম পেশার একটি যা মানুষের জীবনে সাথে গভীরভাবে জড়িত। আদিম মানুষ তারা বেঁচে থাকার জন্য স্বীকার করত এবং এটি তাদের প্রধান খাদ্য উৎস ছিল। শিকারের মাধ্যমে তারা পশুর মাংস সংগ্রহ করতে এবং ওষুধ চামড়া হাড় ইত্যাদি ব্যবহার করত। শিকার মানুষের শারীরিক ক্ষমতা এবং বুদ্ধির পরীক্ষা ছিল। এটি তাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এবং তা এক ধরনের সামাজিক আচার অনুষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত ছিল। স্বীকার মানুষকে প্রাকৃতিকের সঙ্গে সংযুক্ত করে এবং তাদের মধ্য একটি নির্দিষ্ট ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলে। 

 

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে শিকার একটি ক্রিয়া বা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত পায়। রাজা রাজরা এবং অভিজাত শ্রেণীর লোকেরা শিকার কে বিনোদনের একটি মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। এটি তাদের ক্ষমতা সাহস এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক হয়ে ওঠে। শিকারের সময় তারা বিশেষ ধরনের অস্ত্র এবং কৌশল ব্যবহার করত যা তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ ঘটতো। এমনকি আজও অনেক দেশেই শিকার একটি জনপ্রিয় বিনোদন হিসেবে বিবেচিত হয় বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে। স্পিকার ক্লাব এবং প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় সেখানে মানুষ বিভিন্ন প্রজাতির পশু শিকার করে তাদের স্বীকার দক্ষতা প্রদর্শন করে। 

 

 

আধুনিক সমাজের শিকার নিয়ে নৈতিক বিতর্ক এবং সংবেদনশীলতা তৈরি হয়েছে। পশু অধিকার কর্মীরা শিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং একে নিষ্ঠুরতা এবং অমানবিকতা হিসেবে বিবেচনা করেন। তাদের মতে শিকার শুধুমাত্র পশুদের জীবন হরণ নয় বরং এটি প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করে। ওষুধের হত্যা করার ফলে পরিবেশের উপর এক নৈতিক প্রভাব পড়ে। শিকারীদের জন্য শিকার হয়তো একটি ক্রিয়া বা বিনোদন হতে পারে কিন্তু পশুদের জন্য এটি একটি বেঁচে থাকার সংগ্রাম। এই কারণে অনেক দেশেই শিক্ষার নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বীকার সম্পন্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


Ashikul Islam

314 Blog posts

Comments