(সূরা নূর আয়াত ২৬)

Comments · 30 Views

আসলেই কুরআনে কি এ আয়াত আছে??
অধিকাংশ মানুষের বোঝার ভুল আছে এখানেই।

আসলেই কুরআনে কি এ আয়াত আছে??

অধিকাংশ মানুষের বোঝার ভুল আছে এখানেই। 

 

আল্লাহতা'য়ালা সেই আয়াতে পবিত্র কুরআনে বলেন,,

"দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য;

সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য'

লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা'

(সূরা নুর আয়াত ২৬)

একদল সুবিধাবাদী আলেমরা এ আয়াতের অনুবাদ কে নিজের মনগড়া স্টাইলে চালিয়ে দিয়েছে'

আমরা বলেছি "যার চরিত্র যেমন তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন" (সূরা নুর আয়াত ২৬)

অনেক বড় আলেম ওলামারাই কোরআন তাফসির না ঘেটে যখন মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বানী না বুঝেই জনসম্মুখে পেশ করেন এবং সেখান থেকেই ভুলগুলি শুরু হয়েই ছড়িয়ে পরে 'মূলত এই আলেমরাই চায় সমাজে যাতে খারাপ কাজ কম হয় তাই এই মনগড়া আয়াত বলে মানুষকে ভয় দেখানো 'কিন্তু এটা যে কত বড় পাপ সেইটা আরেকদিন দেওয়া যাবে"

কোরআনের আয়াতকে পরিবর্তন করে ও তার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমরা নিজেরাও জানিনা কত বড় গুনাহ করছি'আল্লাহ তায়ালা সেই জন্যই বলেছেন,,"এমন ইনসান থাকবে যারা সারাবছর আল্লাহর হক কথা বলবে ও ইবাদত করবে কিন্তু তার স্থান হবে জাহান্নামে' তার ইবাদত কোনো কাজে আসবে না!"

সেই আয়াতের উত্তর খুঁজতে অনেক পিছনের দিকে যেতে হবে'কোন সময় আল্লাহ তালায়া সেই আয়াত নাযিল করেছিলেন এবং কেন করেছিলেন ??

আল্লাহতায়ালা একই সূরায় বলেন,,

"ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই যেন বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণী কে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই যেন বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে!

(সূরা নুর আয়াত ৩)

কোন প্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল ??

এক বর্ণনায় এসেছে,,রাসুল (সা.) এর যুগে "আনাক" নামের এক ব্যভিচারিণী নারী যে একজন বেশ্যা ছিল,,সে অনেক সুন্দরি বিধায় "মারসাদ" নামক এক সাহাবী যুবক তাকে বিয়ে করতে চাইলে এ আয়াত নাযিল হয়'

(তিরিমিজিঃ ৩১৭৭,আবু দাউদ ঃ২০৫১)

কোন নারী বা কোন পুরুষ যিনাকারী হিসেবে পরিচিত হলে যদি সেই কাজ থেকে তওবা না করে তবে তাকে বিয়ে করা জায়েজ নেই । যেনাকারীরা যেন যেনাকারীকেই বিয়ে করে'

আর আজ আমরা সমাজে ভুল আয়াত প্রচার করে নিজেদের পারিবারিক জীবন খারাপ করছি' নিজে খারাপ কিন্তু জীবনসঙ্গী ভালো চরিত্রের,,তবুও তাকে ভুল আয়াতের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করি চলছি । একজন খারাপ কাজ করে,,সেই লোক বিয়ে করার পর তার সঙ্গীকে ও খারাপ ভাবা শুরু করে!

"যার চরিত্র যেমন,তার জীবনসঙ্গীও হবে তেমন' এটা আল্লাহ তায়ালা কখনোই বলেননি বরং আল্লাহ তায়ালা এটা বলেছেন,,

সচ্চরিত্র (পুরুষ/নারী) যেন সচ্চরিত্রা (নারী/পুরুষ) কেই বিয়ে করে'

আর দুশ্চরিত্রা (নারী/পুরুষ) যেন দুশ্চরিত্র (নারী/পুরুষ) কেই বিয়ে করে"

আবার এমনটা বলা হয়নি যে,,যার (পুরুষ/নারী) চরিত্র খারাপ তার কপালে খারাপ সঙ্গীনী জুটবে,,বা যার চরিত্র ভালো তার কপালে চরিত্র ভালো সঙ্গীনী জুটবে'

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Comments
Read more