গুনাহ মাফ চাওয়ার ফজিলত....

গুনাহ মাফ করতে পারা রমজানুল মোবারকের বড় সাফল্য। কবীরা গুনাহ তথা বড় বড় গুনাহ থেকে মাফ পেতে হলে অবশ্যই তাওবা করত

গুনাহ মাফ করতে পারা রমজানুল মোবারকের বড় সাফল্য। কবীরা গুনাহ তথা বড় বড় গুনাহ থেকে মাফ পেতে হলে অবশ্যই তাওবা করতে হবে। হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে, শিরক তথা আল্লাহ পাকের সাথে যে কোন কিছুকে যে কোনভাবে অংশীদার মনে করা, ধর্ষণ-ব্যভিচার, হত্যা-অপহরণ, সুদ-ঘুষ-দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, মিথ্যা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, যাদু-টোনা, সতী-সাধ্বী নারীর চরিত্রে অপবাদ লেপন প্রভৃতি কবীরা গুনাহ। এ গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হবে না। তাওবা মানে ফিরে আসা। ইসলামের পরিভাষায়, তাওবা হচ্ছে কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিধানের দিকে ফিরে আসা। তাওবার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবাই তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে এসো, যাতে করে তোমরা সফল হতে পার ( সুরা নুর-৩১)।
 অন্য জায়গায় তিনি বলেছেন, ‘অতএব তারা কি আল্লাহর দিকে তাওবা করে ফিরে আসবে না ? তারা তাদের গুনাহ মাফের জন্য ক্ষমা চাইবে না ? অথচ আল্লাহ পরওয়াদেগার তো ক্ষমাশীল ও মেহেরবান’ ( সুরা মায়েদা-৭৪)। হাদীসে কুদসীতে এসেছে, ‘তোমাদের কেউ কোন নির্জন ভূমিতে তার হারানো ঘোড়া খুঁজে পেলে যতোটা খুশি হয়, বান্দা তাওবা করলে আল্লাহ তার চাইতে অনেক বেশি খুশি হন। সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে এলে আমি তার দিকে এক বাহু এগিয়ে যাই, সে আমার দিকে এক বাহু এগিয়ে এলে আমি তার দিকে দু’বাহু এগিয়ে যাই, সে আমার দিকে হেঁটে এলে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।’ তাওবা করার নিয়ম হচ্ছে, পাক-পবিত্রতা হাছিল করে বান্দাকে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর শাহী দরবাওে নিজের কৃত অপরাধ উপলদ্ধি ও স্বীকার করতে হবে। অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে জাহান্নামের শাস্তির ভয়ে অশ্রুপাত করতে হবে। বিনয়-নম্রতা সহকারে খালিছ মনে ক্ষমা প্রার্থনা করতঃ ভবিষ্যতে এ অপরাধ আর না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তাওবার জন্য কিছু কাফ্ফারা-নফল নামাজ, নফল রোজা ও দান-সাদকা করতে পারলে ভাল হয়। মাহে রমজানের বাকী দিনগুলোতে আমরা যদি ইখলাছের সাথে তাওবা করি, তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। তিনিই তো গুনাহগার বান্দাদের আশাবাদী করে বলেছেন, ‘যারা তাওবা করে ও নিজেদের কর্মনীতি সংশোধন করে নেয় এবং যা গোপন করেছিল তা প্রকাশ করে তাদেরকে আমি মাফ করে দেব। প্রকৃতপক্ষে আমি তাওবা গ্রহণকারী ও দয়ালু’ (সুরা বাকারা-১৬০)। এ কথা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বান্দাহর হক যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা মাফ করে দেবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ পাকও মাফ করবেন না। তাই যা হক নষ্ট করা হবে তার সাথে যত দ্রুত সম্ভব মামলা চুকিয়ে নিতে হবে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে যাবতীয় গুনাহ থেকে খালিস নিয়্যতে তাওবা করা তৌফিক দান করুন। আমীন।


Rubel Hasan

29 Blog posts

Comments