অবদান: সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি

অবদান ব্যক্তিগত জীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে থাকে।

অবদান শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে আসে সেই কাজগুলো যা আমরা অন্যের কল্যাণের জন্য বা বৃহত্তর কোন উদ্দেশ্য করে থাকে। এটি একটি ব্যক্তিগত ও ব্যক্তির গোষ্ঠীর সমাজ সংস্কৃতি বিজ্ঞান অর্থনীতি এবং জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য করা কর্ম বা প্রচেষ্টার প্রতিফলন। অবদান শুধুমাত্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জীবনকে সমৃদ্ধ করে না বরং সমগ্র সমাজ এবং সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকে।

 

অবদান ব্যক্তিগত জীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে থাকে। একজন মানুষ তার পরিবার সমাজ বা কর্মক্ষেত্রে যে অবদান রাখে তা শুধু তার নিজের জীবনের উন্নতি ঘটায় না বরং তা অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। একজন শিক্ষকের অবদান শিক্ষার্থীদের জীবনে অনুপ্রেরণা যোগায় একজন ডাক্তার তার রোগীদের সুস্থ করে তোলার মাধ্যমে সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। এই ধরনের অবদান ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এবং অন্যদেরকে তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে।

 

সমাজ ও দেশের উন্নতিতে অবদানের ভূমিকা অপরিসীম। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, একক ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর অবদান একটি দেশের ভাগ্যকে পাল্টে দিতে পারে। জীবন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান দেশের স্বাধীনতার জন্য অপরিহার্য ছিল। এছাড়াও বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আলবার্ট আইনস্টাইন মেরি কুড়ি, এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীদের অবদান আজকের আধুনিক সভ্যতা কে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। তাদের অবদান ছাড়া আমরা আজকের উন্নত বিশ্বের বসবাস করতে পারতাম না। 

 

 

অবদান শুধু ব্যক্তিগত বা বস্তুগত বা শারীরিক হতে হবে এমন কোন কথা নাই বা বাধ্য কথা নাই। মানসিক নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও অবদান সমাজের জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন অথবা হরণ স্বরূপ যদি বলি তাহলে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস ও আন্দোলনের অবদান বিশ্ব জুড়ে শান্তি এবং মানবাধিকার আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। সমাজে ন্যায়বিচার মানবতা এবং মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের অবদান অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে।


Ashikul Islam

88 Blog posts

Comments