সাম্য বলতে বোঝায় সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার সুযোগ এবং মর্যাদা নিশ্চিত করা। এটি এমন একটি আদর্শ যা সমাজে বৈষম্য অবিচার এবং বিভেদ দূর করে একটি শান্তিপূর্ণ ও সহমর্মিতা পূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলে। সাম্য একটি সমাজের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি যা মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও বিশ্বাসের ভিত্তি তৈরি করে থাকে।
সাম্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। যদি সমাজের কিছু মানুষকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় এবং অন্যদের অবহেলা করা হয় তবে সেখানে অসন্তোষ এবং বৈষম্য সৃষ্টি হয়। সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করার জন্য সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার এবং সুযোগ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। যখন সমাজে সকল মানুষ সমানভাবে সুযোগ পায় তখন তারা নিজেদের জীবনকে উন্নত করতে সক্ষম হয় এবং সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সাম্য একটি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি। গণতন্ত্রের মূলনীতি হলো সকল মানুষ সমান এবং তাদের মতামত ও ভোটার মূল্য সমান। যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাম্য প্রতিষ্ঠিত না হয় তবে সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যখন সম্ভব নিশ্চিত করা হয় তখন নাগরিকরা নিজেদের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয় এবং একটি সুস্থ ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
অর্থনৈতিক সাম্য একটি দেশের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। ধনী গরীবের মধ্যে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি সমাজের স্থিতিশীলতা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি কিছু মানুষ সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে এবং অন্যরা তা থেকে বঞ্চিত থাকে তবে সেখানে অসন্তোষ এবং সংঘাত সৃষ্টি হয়। তাই অর্থনীতিক সম্মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজের সম্পদের সুষম বন্টন এবং দরিদ্র দূরীকরণ সম্ভব হয়।