স্বার্থপর এমন একটি মানসিক অবস্থা যা ব্যক্তিকে নিজের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে উদ্বোধন করে অন্যের কল্যাণ বা প্রয়োজনের প্রতি উদাসীন করে তোলে। এটি একটি নীতিবাচক গুঞ্জা মানুষের মধ্যে পারস্পরের সহযোগিতা সহানুভূতি এবং সামাজিক বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। স্বার্থপর মানুষ কেবল নিজের লাভের কথা চিন্তা করে এবং তা অর্জন করতে অন্যের ক্ষতি করতেও পিছপা হয় না।
স্বার্থপর মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। একজন স্বার্থপর ব্যক্তিকে তার পরিবার বন্ধু সহকর্মী এবং সমাজের অন্যান্য সদস্যদের প্রয়োজনকে অপেক্ষা করে শুধুমাত্র নিজের সুবিধা এবং স্বাচ্ছন্দের জন্য কাজ করে থাকে। এর ফলে সম্পর্কের মধ্যে আস্থা শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা কমে যায় এবং ধীরে ধীরে সম্পর্ক ভেঙে পড়ে।
স্বার্থপর সমাজের উপর নৈতিক প্রভাব ফেলে। একটি সমাজে যদি অধিকাংশ মানুষ স্বার্থপর হয়ে পড়ে তবে সেখানে সহযোগিতা সহমর্মিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির অভাব দেখা দেয়। স্বার্থপরতা সমাজের নৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে এবং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটায়। এর ফলে সমাজে বিভেদ বৈষম্য এবং সংঘাত বৃদ্ধি পায়।
স্বার্থপরতা একটি দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। যদি রাজনৈতিক নেতা এবং শাসকগণ স্বার্থপর হন তবে তারা শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতা এবং সম্পদ বাড়ানোর জন্য কাজ করবে এবং জনগণের কল্যাণের প্রতি উদাসীন থাকবে। এতে করে দেশে দুর্নীতি অনাচার এবং শোষণ বৃদ্ধি পায় যা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে আন্দোলন হয়ে দাঁড়ায়। একইভাবে অর্থনীতি ক্ষেত্রের সার্থপরতা ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা প্রতারণা এবং অসমতা সৃষ্টি করে যা অর্থনৈতিক সৃষ্টি ছিল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।