অনাচার শব্দটি দ্বারা বোঝায় কোন অসভন বা অন্যায় কাজ যা সমাজের নৈতিক ভিত্তি ও আইনকে অবমাননা করে থাকে। এটি এমন এক ধরনের আচরণ যা ব্যক্তিরা বা গোষ্ঠীর সমূহ আইন-নৈতিকতা এবং সামাজিক মূল্যবোধকে অপেক্ষা করে থাকে। অনাচার মানুষের মধ্যে অসৎ প্রবৃদ্ধি স্বার্থপরতা এবং নিষ্ঠুরতা থেকে উদ্বুদ্ধ হয় এবং এটি সমাজে ব্যাপক ক্ষতি এবং স্থিতিশীলতা এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।
অনাচার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে গভীর নীতিবাচক প্রভাব ফেলে। যখন একজন ব্যক্তি অনাচারমূলক কাজে লিপ্ত হয় তখন তার ব্যক্তিত্ব নৈতিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে। এটি পারিবারিক সম্পর্কে অস্ত্রতা সৃষ্টি করে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাকে বিনষ্ট করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে প্রতারণা দুর্নীতি এবং মিথ্যাচারের মতো অনাচার গুলো পারিবারিক জীবনকে বিষাক্ত করে তোলে এবং সম্পর্কের মধ্যে অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের বীজ বপন করে।
অনাচার সমাজে বিশৃঙ্খলা এবং ন্যায় বিচারের অবকার ঘটায়। সমাজে যখন অনাচারের প্রসার ঘটে তখন সেখানে আইনের শাসন দুর্বল হয়ে পড়ে। অপরাধীরা যখন শাস্তি ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তখন সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। এর ফলে সমাজে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যেখানে অপরাধ এবং অসমতা বৃদ্ধি পায় এবং ন্যায় বিচারের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় সমাজের সাধারণ মানুষ ভয় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে।
অনাচার একটি দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষতিগ্রস্ত করে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যখন অনাচার ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পায় তখন সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা কমে যায়। নেতারা যখন স্বার্থপরতা ও নৈতিকতার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতা ব্যবহার করে তখন সমাজে বিভেদ বৈষম্য এবং খুব বৃদ্ধি পায়। একইভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনাচার ব্যবসায়িক প্রতারণা কর ফাঁকি এবং আর্থিক দুর্নীতির মত সমস্যা তৈরি করে যা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।