ইসলামে নারীরা পর্দা (হিজাব) করার মূল উদ্দেশ্য হলো:
১. আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক সুরক্ষা:
পর্দা নারীদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক সুরক্ষা প্রদান করে। এটি ইসলামিক নীতি অনুযায়ী, নারীদের নিজেকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে পরিশুদ্ধ এবং সম্মানিত রাখার একটি উপায়।
২. সমাজে সম্মান ও মর্যাদা:
পর্দা নারীদের সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এটি নারীদেরকে তাদের চরিত্রের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করার জন্য উৎসাহিত করে এবং বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ কমায়।
৩. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা:
পর্দা নারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি নারীদেরকে বিভিন্ন প্রকারের অহেতুক দৃষ্টি ও অপ্রয়োজনীয় মনোযোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
৪. বিশ্বাসের প্রকাশ:
পর্দা করার মাধ্যমে একজন মুসলিম নারী তার বিশ্বাসের প্রকাশ ঘটায়। এটি ইসলামের নিয়মাবলী মেনে চলার এবং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপনের একটি উপায়।
৫. সম্পর্কের স্বচ্ছতা:
ইসলামে পর্দা করার মাধ্যমে সম্পর্কের স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। এটি পুরুষ এবং নারীর মধ্যে সামাজিক ও পেশাদার সম্পর্ককে একটি শালীনতা এবং আদর্শের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে।
৬. ফ্যাশন ও অঙ্গসজ্জার চাপ থেকে মুক্তি:
পর্দা নারীদেরকে আধুনিক ফ্যাশন ও অঙ্গসজ্জার চাপ থেকে মুক্তি দেয়। এটি নারীদেরকে তাদের নিজস্ব পরিচয় ও ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে, নানান সাময়িক ফ্যাশনের প্রভাবে না এসে।