সমুদ্রে খিযর (আঃ)-এর কাছে মূসা (আঃ)-এর যাওয়া আর আল্লাহ্ তা আলার বানীঃ অর্থাৎ আমি কি আপনার অনুসরণ করব এ শর্তে যে, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা থেকে আমাকে শিক্ষা দেবেন। মুহাম্মদ ইবনু গুরায়র আয-যুহরী (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এবং হুর ইবনু কায়স ইবনু হিসন আল ফাযারী মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গী সম্পর্কে বাদানুবাদ করেছিলেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি ছিলেন খিযর। ঘটনাক্রমে তখন তাদের পাশ দিয়ে উবাঈ ইবনু কা ব (রাঃ) যাচ্ছিলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁকে ডেকে বললেনঃ আমি ও আমার এ ভাই মতবিরোধ পোষণ করছি মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সেই সঙ্গীর ব্যাপারে যাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে পথের সন্ধান চেয়েছিলেন—আপনি কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, একবার মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনী ইসরাঈলের কোন এক মজলিসে হাজির ছিলেন। তখন তাঁর কাছে এক ব্যাক্তি এসে বলল, ‘আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বলে জানেন কি? মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘না। তখন আল্লাহ্ তা আলা মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে ওহী পাঠালেনঃ হ্যাঁ, আমার বান্দা খিযর। অতঃপর মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাথে সাক্ষাত করার রাস্তা জানতে চাইলেন। আল্লাহ্ তা আলা মাছকে তার জ্ন্য নিশানা বানিয়ে দিলেন এবং তাঁকে বলা হল, তুমি যখন মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন ফিরে আসবে। কারন, কিছুক্ষনের মধ্যেই তুমি তাঁর সাক্ষাত পাবে। তখন তিনি সমুদ্রে সে মাছের নিশানা অনুসরন করতে লাগলেন। মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তাঁর সঙ্গী যুবক বললেন, (কুরআন মজীদের ভাষায়ঃ) আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আমরা যখন পাথরের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তান তার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। মূসা বললেন, আমরা তো সে স্থানটিরই অনুসন্ধান করছিলাম। এরপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল। (১৮:৬৩-৬৪) তাঁরা খিযরকে পেলেন। তাদের ঘটনা তা-ই, যা আল্লাহ্ তা আলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
Bonolota
106 Blog posts