যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
দাঁড়ি কাটা হারাম।সহীহ হাদিস দ্বারা তাই প্রমাণিত হয়।
# আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা গোঁফ কর্তন (ছোট) করো এবং দাঁড়ি লম্বা করো।[মুসলিম, ২, ৫০৭]
# আবূ হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা গোঁফ কর্তন করো, দাঁড়ি ছেড়ে দাও (বড় করো), তোমরা অগ্নিপুজারীদের বিপরীত করো।[মুসলিম, ২৫১০]
# রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে আমার সুন্নাত থেকে বিরাগভাজন হয় সে আমার দলভুক্ত নয়। [মুসলিম, ৩২০৬]
এটি হারাম কিনা সে বিষয়ে শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া(রহ.) বলেন,কুরআন,সুন্নাহ এবং ইজমা নির্দেশ করে যে,আমাদের সর্বক্ষেত্রে কাফিরদের থেকে আলাদা হতে হবে এবং তাদেরকে অনুকরণ করা যাবে না।কারণ বাহিরের দিক দিয়ে তাদের অনুকরণ করলে সেটি আমাদেরকে তাদের খারাপ কাজ এবং অভ্যস এমনকি বিশ্বাসের দিকেও নিয়ে যেতে পারে। যার ফলে আমরা অন্তরের দিক দিয়ে তাদের বান্ধব হয়ে যাব এবং তাদের প্রতি এই ভালোবাসা আমাদের বাহিরের দিক দিয়েও তাদের অনুকরণের দিকে নিয়ে যাবে।
ইমাম তিরমিযি(র) বর্ণণা করেছেন,”ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের অনুকরণ করো না। ”খলিফা ‘উমার(রা) যারা দাঁড়ি কাটত তাদের থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করতেন না। ইমাম ইবন আবদিল বার আত-তামহীদ গ্রন্থে বলেছেন,”দাঁড়ি মুণ্ডণ করা নিষিদ্ধ এবং মেয়েলী স্বভাবের পুরুষ ছাড়া কেউ এ কাজ করে না।“ অর্থাৎ যারা নারীদের অনুকরণ করে।আর পুরুষদের জন্য নারীদের সদৃশ হওয়া সঙ্গত নয়।সহীহ মুসলিম গ্রন্থে জাবির(রা) এর বর্ণণা দ্বারা আমরা জানতে পারি নবী করিম(সা) এর ঘন দাঁড়ি ছিল।
অতএব বলা যায় যে,পুরুষদের দাঁড়ি কাটা জায়েজ নয়। আর নাজায়েজ কাজ করলে গুনাহ হয়।
আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন
এবং আল্লাহই ভালো জানেন।