সামাজিক সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ ব্যক্তি ও সমাজের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজে অসহায়, দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের সংখ্যা কম নয়, এবং তাদের সাহায্য করার জন্য সবারই কিছু না কিছু করা উচিত। এই ধরনের কাজ মানুষের মধ্যে সহানুভূতি, মানবিকতা এবং দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করে। সমাজের যেসব মানুষ আর্থিক বা শারীরিকভাবে দুর্বল, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা সমাজের প্রতি একটি নৈতিক দায়িত্ব।
সামাজিক সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমাজের বাস্তব সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানতে পারে এবং তাদের সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ও সংগঠন এই ধরনের কাজের সুযোগ করে দেয়। যেমন, বন্যা, খরা বা মহামারীর সময় ত্রাণ বিতরণ, রক্তদান কর্মসূচি, এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
এসব কাজে অংশগ্রহণ করলে সমাজে একতা ও সহমর্মিতার বন্ধন মজবুত হয়। এছাড়া, ব্যক্তিগত জীবনে নেতৃত্বের গুণাবলী ও সহানুভূতির বিকাশ ঘটে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনেও কাজে লাগতে পারে। তাই, সামাজিক সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা উচিত, কারণ এটি একটি সমাজকে আরও সুসংহত, সমৃদ্ধ এবং মানবিক করে তোলে।