কেউ কোনো নিষিদ্ধ বা আইনবিরুদ্ধ কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে বা গ্রেপ্তার হয়। এটি সাধারণত তখন ঘটে যখন কেউ আইন লঙ্ঘনকারী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, যেমন চুরি, জালিয়াতি, বা অন্যান্য অপরাধমূলক
ইসলামে যিনা (ব্যভিচার) একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। ইসলামী আইন অনুসারে, যিনার অপরাধে জড়িত ব্যক্তির জন্য কয়েকটি শাস্তির বিধান রয়েছে:
বৈধ শাস্তি: ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী, যিনার অপরাধে শাস্তি প্রাপ্তির জন্য প্রমাণিত হওয়া জরুরি। দুইটি শর্ত পূরণ হলে শাস্তির বিষয়টি কার্যকর হয়: (i) অপরাধী কর্তৃক স্বীকারোক্তি, বা (ii) চারজন বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষীর উপস্থিতি যারা উন্মুক্তভাবে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে।
শাস্তি: শাস্তি হিসেবে, ইসলামী শরিয়া বিভিন্ন উপায়ে যিনার শাস্তি নির্ধারণ করে। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য এই শাস্তি আলাদা হতে পারে, কিন্তু সবচেয়ে সাধারণ শাস্তি হলো ১০০টি লাঠি মারার (যদি অপরাধী বিয়ে করেনি)। বিবাহিত ব্যক্তির জন্য শাস্তি আরো কঠোর হতে পারে, যেমন পাথর দিয়ে মৃত্যু (রিজম)।
প্রতিকার: ইসলামে যিনার শাস্তি ঘোষণার পর, অপরাধীকে তাওবা (পাপের জন্য সৎভাবে অনুশোচনা) করতে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে উৎসাহিত করা হয়।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ইসলামিক আইন অনুযায়ী, শাস্তির প্রয়োগ একটি শর্তসাপেক্ষ প্রক্রিয়া এবং এটি স্থানীয় আইন ও শারিয়া কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্ধারিত হয়।