জেনে নিন জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার নিয়ম

জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান আমরা অনেকেই জানিনা। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধা??

জেনে নিন জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার নিয়ম
জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান আমরা অনেকেই জানিনা। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান সম্পর্কে জেনে রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ আল্লাহতালার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জিলহজ্জ মাস। আপনাদের জানার সুবিধার্থে জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

Table of Contents
জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার বিধান
কিভাবে একজন ব্লগার হবেন? ব্লগ পোস্ট লিখে অর্থ উপার্জন করুন
হ্যাকারদের জন্য 5টি সেরা ইন্টারনেট ব্রাউজার
ভবিষ্যতের কম্পিউটার কেমন হবে? কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভবিষ্যত
ইউটিউবারদের নতুন ভয় Article 13 (Article 13) কি?
কোরবানি ঈদের আগে চুল ও নখ কাটা যাবে কি?
জিলহজ্জের চাঁদ উঠার পর চুল ও নখ কাটা কি মাকরূহ?
জিলহজ্জ মাসের ফজিলত
আমাদের শেষ কথাঃ জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার বিধান
জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ
জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ
জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার বিধান
আমরা জানি যে জিলহজ্জ মাস হিজরি বছরের শেষ মাস এবং জিলহজ্জ মাসটি হিজরি বছরের চারটি মাসের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। জিলহজ্জ মাসের প্রথম থেকে দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের আমল রয়েছে।

এই কাজগুলো করা খুবই পুণ্যের কাজ। হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি যা জিলহজ্জ মাসে করা হয়। জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অধিকাংশেরই ধারণা নেই। একজন প্রকৃত মুসলমান এবং আল্লাহর নামে কোরবানিকারী হিসেবে জিলহজ মাসে চুল ও নখ কাটার নিয়ম জানা জরুরি।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জিলহজ্জ মাসে কুরবানী করবে সে যেন কুরবানী পর্যন্ত তার শরীরের চুল ও নখ না কাটে।”


কিভাবে একজন ব্লগার হবেন? ব্লগ পোস্ট লিখে অর্থ উপার্জন করুন

হ্যাকারদের জন্য 5টি সেরা ইন্টারনেট ব্রাউজার

ভবিষ্যতের কম্পিউটার কেমন হবে? কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভবিষ্যত

ইউটিউবারদের নতুন ভয় Article 13 (Article 13) কি?
অর্থাৎ, যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর নামে কুরবানী করার নিয়ত করে, তাহলে জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানী না করা পর্যন্ত তার নখ, মাথার চুল বা শরীরের লোম কাটবে না।

অনেকে মনে করেন এই বিধান রোজার সাথে সম্পর্কিত কিন্তু রোজার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই যা শুধুমাত্র কোরবানির সাথে সম্পর্কিত।

আমরা অনেকেই মনে করি এই বিধান সবার জন্য কিন্তু তা নয়। এই বিধান শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা কোরবানি করতে চান বা আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য কোরবানি করবেন।

এই বিধানটি সেই ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য যে আল্লাহ তায়ালার নামে কুরবানী করে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য এই বিধানটি প্রয়োজনীয় নয়।

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর দিকনির্দেশনা থেকে এই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী করার অভ্যাস করে ফেলেছে তারা জিলহজ মাসের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত কুরবানী না করা পর্যন্ত চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকবে।

কোরবানি ঈদের আগে চুল ও নখ কাটা যাবে কি?
কোরবানি ঈদের আগে চুল ও নখ কাটা যাবে কি না সে সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে ধারণা পেয়েছি। যেহেতু জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার বিধান রয়েছে।

কোরবানি ঈদ ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এই ঈদে আমাদের মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নত আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য কোরবানি করা হয়।

কোরবানি ঈদের আগে চুল ও নখ কাটা যাবে কিনা তার কিছু বিধান রয়েছে। একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

কারণ আমাদের প্রিয় নবী আমাদেরকে যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং তিনি যা আদেশ করেছেন তাই করতে হবে।

যে ব্যক্তি কুরবানী করতে যাবে তার জন্য জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কুরবানীর সময় পর্যন্ত শরীরের পশম, চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।

বিভিন্ন হাদিস আছে যেমন হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “যখন জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশক শুরু হয় এবং তোমাদের কেউ কুরবানীর নিয়ত করে, তখন সে যেন তার চুল বা কোন অংশ স্পর্শ না করে। তার শরীরের।” {মুসলিম শরীফ: 1977}

অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখে কোরবানির নিয়ত করে সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।

{তিরমিযী শরীফ: 1523} এটি সাধারণত একজন ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত হয় যে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য কুরবানী করতে চায়। উপরের হাদিস থেকে জানা যায়, কোরবানি ঈদের আগে চুল ও নখ কাটা যাবে কি? বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

জিলহজ্জের চাঁদ উঠার পর চুল ও নখ কাটা কি মাকরূহ?
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা সবাই কমবেশি জিলহজ মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি। হিজরির চারটি মাস আল্লাহ তায়ালার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তন্মধ্যে একটি হল জিলহজ মাস। জিলহজ মাসে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভে হজ সম্পন্ন হয় এবং কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়।

জিলহজ্জের চাঁদ উঠার পর চুল ও নখ কাটা কি মাকরূহ? এই বিষয়ে প্রশ্ন. যেহেতু বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই ইসলামের দৃষ্টিতে জিলহজ্জের চাঁদ উদিত হওয়ার পর চুল ও নখ কাটা কি মাকরুহ? জানা দরকার

যে ব্যক্তি কুরবানী করবে তার জন্য জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর নখ না কেটে চুল মুছে নিলে তা মাকরূহ নয়। উপরে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি আমাদের প্রিয় নবী এ বিষয়ে যা বলেছেন অর্থাৎ জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন।

কুরবানী পালনকারী ব্যক্তিকে জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর শরীরের চুল এবং মাথার চুল এবং নখ কাটা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তাই একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রিয় নবীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

জিলহজ্জ মাসের ফজিলত
জিলহজ্জ মাসের অন্যতম একটি পরিচয় হলো এই মাসে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হজ্জ পালন করা হয়। আমরা জানি যে হজ পালনের জন্য সর্বোত্তম তিনটি মাসকে বিবেচনা করা হয় সেগুলো হল শাওয়াল জিলকদ এবং জিলহজ্জ। এর মধ্যে প্রধান মাস হলো জিলহজ্জ। জিলহজ মাসের অনেকগুলো ফজিলত রয়েছে।

আমরা জানি যে আল্লাহতালার কাছে চারটি মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এই চারটি মাস অনেক ফজিলত রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো জিলহজ্জ মাস। জিলহজ মাসের বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে হজের মূল কার্যক্রম গুলো সম্পন্ন করা হয়।

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হজ্জ সম্পাদন সুবেদিত মাসসমূহে। অথবা যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করা স্থির করে তার জন্য হজের সময়ে অশালীন, অন্যায় আচরণ ও কলহবিবাদ বিধেয় নয়। তোমরা উত্তম কাজে যা কিছু করো, আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা পথের ব্যবস্থা করবে, আত্ম সংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা তোমরা আমাকে ভয় কর।”{সূরা বাকারাঃ ১৯৭}

আল্লাহতালা আরো বলেন, ” প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, যা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী সেই দিন থেকে চালু আছে। যেদিন আল্লাহ তায়ালা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদা পূর্ণ। এটি সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।”{ সুরা তাওবাহঃ ৩৬}

আমাদের শেষ কথাঃ জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার বিধান
প্রিয় পাঠক, আজকের নিবন্ধে জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ কাটার নিয়ম, ঈদুল আজহার আগে চুল ও নখ কাটা যাবে কি? জিলহজ্জের চাঁদ উঠার পর চুল ও নখ কাটা কি মাকরূহ? এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়গুলি না জানেন তবে আপনার জন্য সেগুলি জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Posted

January 2, 2024
in

News, Tips and tracks
by

Ms Rakhi Khatun

Tags:

ইসলামে চুল কাটার দিন, চুল নখ কাটার নিয়ম, জিলহজ মাসে চুল নখ কাটার হাদীস, জিলহজ্জ মাসে চুল ও নখ, জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান আল কাউসার, জিলহজ্জ মাসের আমল, জিলহজ্জ মাসের আমল ও ফজিলত, জিলহজ্জ মাসের ফজিলত, নখ কাটার নিষিদ্ধ সময়


Monirul Islam

1232 Blog posts

Comments