নতুন শিক্ষাক্রমে, শুধু পাঠ্যবই নির্ভর শিক্ষার পরিবর্তে সমস্যা সমাধান, সৃজনশীল চিন্তা, এবং নৈতিক মূল্যবোধের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন এসেছে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে। পূর্বের মতো শুধুমাত্র পরীক্ষা ভিত্তিক মূল্যায়নের পরিবর্তে ধারাবাহিক মূল্যায়ন, প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ এবং সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা কেবল বইয়ের জ্ঞান অর্জন করতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তারা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দক্ষ হবে।
এছাড়া, নবম-দশম শ্রেণিতে বিষয়ভিত্তিক বিশেষায়ন থাকলেও ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোন বিভাজন থাকবে না, ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভের সুযোগ পাবে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা কর্মমুখী এবং সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা করছে, যা ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।