নদীভাঙ্গন বাংলাদেশের একটি প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা নদীর পাড় ধসে গিয়ে আশেপাশের ভূমি ও বসতি ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত বর্ষাকালে নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় এই সমস্যা আরও তীব্র হয়। ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, যমুনা এবং পদ্মা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে নদীভাঙ্গনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
নদীভাঙ্গন শুধু ভূমি ক্ষয় করে না, বরং হাজার হাজার মানুষকে গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত করে। এর ফলে ফসলের ক্ষেত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। তীরবর্তী মানুষের জীবিকা যেমন কৃষি ও মৎস্যশিকারও হুমকির মুখে পড়ে।
বাংলাদেশ সরকার নদীভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ, নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ, ও পাড় সংরক্ষণে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। নদীভাঙ্গনের মতো সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নদীভাঙ্গন একটি প্রকৃতিক বিপর্যয় হলেও, এর মোকাবেলায় প্রযুক্তিগত ও পরিকল্পিত উদ্যোগই হতে পারে সমস্যার কার্যকর সমাধান।