বন্যার পরে রোগের প্রাদুর্ভাব একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বন্যার জলমগ্ন এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ময়লা জল জমে থাকে, যা জলবাহিত রোগের সৃষ্টির জন্য উর্বর পরিবেশ সৃষ্টি করে। ডায়রিয়া, কলেরা, ও হেপাটাইটিস ই-এর মতো রোগগুলো সাধারণত এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধি পায়। এই রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, বন্যার পরে মশার সংখ্যা বেড়ে যায়, যা ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়ায়। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত, ফলে এসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সাফ-সুতরো পানির ব্যবহার, এবং চিকিৎসা সেবা পাওয়া রোগপ্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যার পরে জরুরি সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা এই রোগগুলির বিস্তার রোধে সহায়ক। সচেতনতা ও দ্রুত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া বন্যার পরবর্তী স্বাস্থ্য সমস্যার মোকাবেলায় সাহায্য করে।