কর্ম পন্থা বলতে বোঝায় কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনুসরণ করা পরিকল্পনা পদ্ধতি বা কৌশল। এটি আমাদের ব্যক্তিগত জীবন পেশাগত ক্ষেত্র এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে। সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কর্মপন্থা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকে আমরা এই কর্মপন্থের গুরুত্ব এবং তার বিভিন্ন প্রকারভেদ সম্পর্কে বিবেচনা করব।
কর্মপন্থার সংজ্ঞা:
কর্ম পন্থা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা পরিকল্পনা বা কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য গ্রহণ করা হয়। এটি কর্মের ধাপ গুলকে সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। কর্মকর্তা নির্ধারণের মাধ্যমে মানুষ তার কর্ম জীবন ব্যবসা বা ব্যক্তিগত জীবনের লক্ষ্যসমূহ সমাজে এবং সহজে এবং সফলভাবে অর্জন করতে পারে।
কর্মপন্থার প্রকারভেদ:
কর্ম পন্থাকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল:
১. পরিকল্পিত কর্ম পন্থা: এটি আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয় এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়।। এই ধরনের কর্ম পন্থায় প্রতিটি ধাপ সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে একটি ব্যবসা শুরু করার আগে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা যা সেই ব্যবসার উন্নতির জন্য ধাপে ধাপে দিক নির্দেশনা প্রদান করে।
২. স্বতঃসিদ্ধ কর্মপন্থা: এটি পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিকভাবে নির্ধারণ করা হয়। যখন কোন পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা নেই বা পরিস্থিতি অত্যাবশিতভাবে পরিবর্তিত হয় তখন স্বতঃসিদ্ধ কর্মপন্থা অবলম্বন করা হয়। প্রধান স্বরূপ বলা যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় একটি প্রতিষ্ঠান তৎক্ষণিকভাবে ক্রম পন্থা নির্ধারণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
৩. সমন্বিত কর্মপন্থ: এটি বিভিন্ন পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত যেখানে একাধিক পরিকল্পনা এবং কৌশল একত্রে কার্যকর করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে একটি বড় প্রকল্পের বিভিন্ন বিভাগ বা দলের কাজ সমন্বিত করে একটি সামগ্রিক কর্ম পন্থা তৈরি করা হয়।