আইন ও বিচার ব্যবস্থার সামগ্রিক কার্যকারিতা কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
১. পক্ষপাতিত্ব ও দুর্নীতি: আইন প্রয়োগকারীর সংস্থা এবং বিচারকরা কখনো পক্ষপাতিত্ব বা দুর্নীতির শিকার হতে পারে। তাই এর ফলে ন্যায়বিচার নিঃসৃত হয় না এবং সমাজে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
২. আইনগত জটিলতা: আইন অনেক সময় জটিল এবং অস্পষ্ট হতে পারে যা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন করে তোলে। এতে করে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
৩. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: অনেক সময় অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে। অপরাধ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকারী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আইন ও বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা কমে যায়।
৪. বিচারিক বিলম্ব: আদালত গুলিতে মামলার বিচার বিলম্বিত হওয়া একটি সাধারন সমস্যা। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্র তা এবং দীর্ঘ সময়কাল নাগরিকদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
আইন ও বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে তা হল।
১. আইনের সহযোগীকরণ: আইনকে সহজ এবং পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা উচিত যাতে সাধারণ জনগণ সহজে বুঝতে পারে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
২. স্বাধীন বিচারব্যবস্থা: বিচারকদের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে যাতে তারা কোন ধরনের রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী জাত থেকে মুক্ত থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৩. দুর্নীতির নির্মূল: আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এতে করে ন্যায় বিচারের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত হতে পারে।