স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এমন প্রতিষ্ঠান যা সরকারের রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিষ্ঠানিক চাপ এবং বাহ্যিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে এবং যার কাজের স্বাভাবিকতা এবং কার্যকারিতা বজায় রাখে। এসব প্রতিষ্ঠান সমাজে সুশাসন আইনগত স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব:
১. আইন শাসন রক্ষা: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান আইন প্রয়োগ এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পক্ষপাতিত্ব দূর করতে সাহায্য করে থাকে। আদালত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি যখন স্বাধীনভাবে কাজ করে তখন আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য থাকে।
২. গণতন্ত্রের সুরক্ষা: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি নির্বাচনের শস্যটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে থাকে। নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম এবং মানবিক অধিকার কমিশন এই প্রক্রিয়ায় সহায়ক।
৩. সুশাসনের বাস্তবায়ন: প্রশাসনিক বিচারিক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলি যখন স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় তখন সুস্বাস্থ্য এবং স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা কমায়।
৪. সরকারি ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান সরকারের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা নিশ্চিত করে থাকে। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করতে সাহায্য করে থাকে এবং সরকারকে তাদের কার্যক্রমের জনস্বার্থ বিবেচনা করতে বাধ্য করে।
৫. জনগণের আস্থা বৃদ্ধি: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান জনগণের সরকারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করে। যখন জনগণ দেখে যে প্রতিষ্ঠানগুলি স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে তখন তারা সরকারের এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাই বিশ্বাস রাখে।