জবাবদিহি একটি সুশাসনের মৌলিক উপাদান যা সরকার প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির কার্যক্রমের জন্য দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে। এটি নিশ্চিত করে যে জনসাধারণ এবং অন্যান্য স্ট্রেক ও হোল্ডাররা তাদের কাছে ব্যাখ্যা এবং সঠিকতা প্রত্যাশা করতে পারে। জবাবদিহি সুশাসন সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
জবাবদিহির গুরুত্ব:
১. সুশাসনের বাস্তবায়ন: জবাবদিহি সুশাসনের কার্যকরী বাস্তবায়নের সাহায্য করে থাকে। এটি নিশ্চিত করে যে সরকারি কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকান্ডের জন্য দায়িত্ব বদ্ধ ও দায়বদ্ধ এবং স্বচ্ছ।
২. জনগণের আস্থা বৃদ্ধি: যখন জনগণ দেখে যে সরকার এবং প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রমের জন্য জবাবদিহি করছে তখন জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধি পায়।
৩. দুর্নীতি রোদ: জবাবদিহি দুর্নীতি রোধ করতে সাহায্য করে থাকে। যখন কর্মকর্তারা জানেন যে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে তারা দুর্নীতি এবং অপব্যাবহার থেকে বিরত থাকে।
৪. তানীতিগত ও পরিকল্পনা গত কার্যকারি: জবাবদিহি নিশ্চিত করতে যে নীতি এবং পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও জনসেবা কার্যক্রমের গুণগত মান নিশ্চিত করে থাকে।
৫. নৈতিকতার উন্নয়ন: জবাবদিহি নৈতিকতা এবং স্বচ্ছতার উন্নয়ন করতে সাহায্য করে থাকে এটি প্রতিষ্ঠানে ভালো শৃঙ্খলা এবং কার্যকরী আচরণ নিশ্চিত করে থাকে।
জবাবদিহির উপাদান:
১. স্বচ্ছতা: জবাব দেহের জন্য স্বচ্ছতা অপরিহার্য। তথ্য এবং সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া জনগণের সামনে উন্মুক্ত থাকতে হবে যাতে জনগণ বুঝতে পারে কিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
২. প্রতিবেদন এবং এডিট: নিয়মিত প্রতিবেদন এবং এডিটের মাধ্যমে কার্যক্রমের বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা করা হয়। এটি নিশ্চিত করে যে কাজের মান এবং ফলাফল নিরীক্ষিত হচ্ছে।