রক্ষা করা বলতে বোঝায় কারো সুরক্ষা নিশ্চিত করা তাকে ক্ষতি থেকে বাঁচানো বা কোন মূল্যবান কিছু সংরক্ষণ করা। এটি কেবলমাত্র শারীরিক নিরাপত্তার বিষয় নয় বরং এটি সামাজিক পরিবেশগত ও নৈতিক দায়িত্বের একটি অংশ। ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত সবাই কোনো না কোনোভাবে রক্ষার সাথে যোগাযোগ থাকে।
ব্যক্তিগত দায়িত্ব:
প্রথমত ব্যক্তিগত পর্যায়ে রক্ষা করা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। এটি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক সুরক্ষার সাথে সম্পর্কিত। নিজের স্বাস্থ্য জীবিকা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি আমরা আমাদের আশেপাশের মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে পারি যা পারস্পারিক সহানুভূতি এবং সমাজের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে থাকে।
পরিবেশ রক্ষা:
পরিবেশ রক্ষা করা বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় বায়ু পানি দূষণ এবং বনভূমি নিধনের ফলে পৃথিবীর পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষা করার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে।
সামাজিক নিরাপত্তা:
সমাজের শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি বৈষম্য এবং অপরাধ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হলে একটি শক্তিশালী আইন ব্যবস্থা প্রয়োজন। আইনের শাসন ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রচার সমাজকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব:
রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে তা নাগরিকদের রক্ষা করা। দেশের সামরিক বাহিনী পুলিশ এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে থাকে। পাশাপাশি রাষ্ট্রকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র গুলোতেও সুরক্ষা প্রদান করতে হয়।