পরিবেশ রক্ষা বর্তমান সময়ে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়। পরিবেশের ক্ষতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অবচয় আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলছে। এর কারণে পরিবেশ রক্ষা শুধু একটি সামাজিক দায়িত্ব নয় বরং এটি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং একটি সুস্থ পৃথিবী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পরিবেশ সংরক্ষণ অপরিহার্য।
পরিবেশের গুরুত্ব:
পরিবেশ আমাদের জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য পানি বাতাস এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সম্পদ সরাসরি প্রাকৃতির ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া পরিবেশ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য একটি সুস্থ বাসস্থান প্রদান করে। প্রকৃতি তার বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে যা সমগ্র জগতকে সুরক্ষিত রাখে। কিন্তু দূষণ বর্ণাঞ্চল ধ্বংস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ভারসাম্য ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশ দূষণের প্রভাব:
পরিবেশ দূষণ মানুষের স্বাস্থ্য এবং প্রকৃতির জীব বৈচিত্র্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বায়ু দূষণ শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করছে পানি দূষণ জীব বৈচিত্র ধ্বংস করছে এবং মাটি দূষণ কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলছে। পরিবেশ দূষণ শুধু স্থায়ী নয় বরং বৈশ্বিক সমস্যা তৈরি করছে যেমন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং সমুদ্রের পানির স্তর উঁচু হওয়া।
পরিবেশ রক্ষার উপায়:
পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রথমত প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষকে বস্তু হবে যে তাদের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড পরিবেশের ওপর কিভাবে প্রভাব ফেলছে। পরিবেশ রক্ষা ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে যেমন।
১. গাছ লাগানো: বৃক্ষরোপণ পরিবেশ রক্ষার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়। গাছ বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড সর্শন করে যা জলবায়ু ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে থাকে।
২. জ্বালানি সাশ্রয়: জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে কুণ্ডন বিকরন যোগ্য শক্তির ব্যবহার যেমন সৌরশক্তি এবং বায়ু শক্তির প্রচলন পরিবেশের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
৩. দূষণ নিয়ন্ত্রণ: শিল্প কারখানা এবং যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকারক গ্যাস এবং বজ্র নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করা প্রয়োজন।