সংকট থেকে উত্তরণের জন্য পরিকল্পনা প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের প্রয়োজন ।কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল।
১. দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ: সংকটের সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ অন্তত গুরুত্বপূর্ণ । তৎক্ষণিক পদক্ষেপ এর মাধ্যমে সংকটের প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।
২. জনসচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে সংকট মোকাবিলার ক্ষমতা তৈরি করা যায়। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সংকটের সময় পূর্ব প্রস্তুতি এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে মানুষ নিজেদের রক্ষা করতে পারেন।
৩. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: বৈশ্বিক সংকট যেমন অর্থনৈতিক মন্দা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অপরিহার্য। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।
৪. মানসিক ও সামাজিক সমর্থন: ব্যক্তিগত সংকট মোকাবেলায় পরিবার বন্ধুবান্ধব এবং সমাজের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং কাউন্সিলিং এই সময়ে সহায়ক হতে পারে।
৫. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা: সংকট মোকাবেলায় স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ এর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও প্রয়োজন । দুর্যোগ মোকাবেলার ব্যবস্থা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নীতি প্রণয়ন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন দীর্ঘ মেয়াদী সংকট প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
সংকট জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদিও সংকটের প্রভাব সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর এবং নেতিবাচক হতে পারে তবে সঠিক পরিকল্পনা নেতৃত্ব এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। সংকট যেমন সমস্যা জন্ম দেয় তেমনি এর মধ্য থেকে নতুন সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। সংকট মোকাবেলায় জন্য ব্যক্তিগত সামাজিক এবং বৈশ্বিক স্তরে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ।