চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। চাঁদ পৃথিবী থেকে সরে যাওয়ার সাথে সাথে এর মহাকর্ষীয় প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে, যা পৃথিবীর ঘূর্ণন ক্রমশ ধীর করে দিচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি খুব ধীরে ধীরে ঘটছে কিন্তু লক্ষ লক্ষ বছর ধরে, যেকারণে দিনের দৈর্ঘ্য 25 ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেছেন যে চাঁদ প্রতি বছর প্রায় 1.5 ইঞ্চি হারে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এর মানে হল পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের বেশি সময় লাগছে, যার ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীর হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে চাঁদ একটি স্থিতিশীল দূরত্বে পৌঁছে যাবে, সেসময় সময়ে এটি শুধুমাত্র পৃথিবীর এক দিক থেকে দৃশ্যমান হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিভিন্ন কারণও পৃথিবীর ধীর ঘূর্ণনে অবদান রাখছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে মেরু বরফ গলে যাচ্ছে, ফলে সমুদ্রে আরও জল যোগ হচ্ছে। আর এই বর্ধিত জলের ভরকে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা বিষুবরেখার দিকে টানা হচ্ছে, যা পৃথিবীর ঘূর্ণনকে আরও ধীর করে দিচ্ছে। যদি এই পরিবর্তনগুলি বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে চলে আসছে, তবুও পৃথিবীর দিন শেষ পর্যন্ত এখনকার চেয়ে এক ঘন্টা বেশি হতে পারে।