ছাত্ররা ইরানের বিপ্লবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, পরিবর্তনের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করে এবং সমাজের বিভিন্ন অংশকে একত্রিত করেছিল। এখানে তাদের জড়িত থাকার কিছু মূল দিক রয়েছে:
- প্রতিবাদ সংগঠিত করা: ছাত্ররা শাহের শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত এবং বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অগ্রভাগে ছিল। তাদের ক্যাম্পাসগুলি বিপ্লবী কার্যকলাপের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল, যেখানে ধারণাগুলি বিনিময় করা হয়েছিল এবং কৌশলগুলি পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
- তথ্য প্রচার করা: তারা ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্যামফলেট, লিফলেট এবং অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করতেন যা শাহের সমালোচনা করে এবং বিপ্লবী ধারণা প্রচার করে। এটি সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সাহায্য করেছিল।
- জোট গঠন: ছাত্ররা শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী এবং ধর্মীয় নেতা সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর সাথে জোট তৈরি করে। এই জোটগুলি একটি বিস্তৃত-ভিত্তিক আন্দোলন তৈরি করার জন্য অপরিহার্য ছিল যা শাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
- আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি: বিদেশে অনেক ইরানী ছাত্রও ইরানের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। তারা প্রতিবাদ সংগঠিত করে এবং শাহের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার জন্য বিদেশী সরকারকে লবিং করে।
- প্রতিরোধের প্রতীক: তরুণ, শিক্ষিত ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা একটি প্রজন্মের পরিবর্তন এবং একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তাদের শক্তি এবং প্রতিশ্রুতি অন্য অনেককে বিপ্লবে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সামগ্রিকভাবে, ছাত্ররা বিপ্লবের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং ব্যবহারিক উভয় দিকেই সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল, গতি বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল এবং আন্দোলনকে সফল উপসংহারে নিয়ে গিয়েছিল।