কার্জন হল বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহাসিক ভবন এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত এবং ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কার্জন হল মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এটির নামকরণ করা হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের ইংরেজ শাসক লর্ড কার্জনের নামে, যিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। কার্জন হলের স্থাপত্যশৈলী গ্রিক ও রোমান স্থাপত্যের মিশ্রণ, যা এর ঐতিহাসিক মহিমা এবং সৌন্দর্যকে যোগ করেছে।
এই ভবনটি শুধু ছাত্রদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নয়, বরং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, সেমিনার, এবং সম্মেলনের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে আয়োজন করা হয় নাটক, সঙ্গীত, কবিতা পাঠ এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কার্জন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। এর স্থাপত্যগত সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানের অংশ হিসেবে গর্বিত।