তাহাজ্জুদ…✿♡

Comments · 54 Views

আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতের শেষ এক-তৃতীয়াংশে আল্লাহ জমিনের কাছাকাছি আসমা??

*তাহাজ্জুদ (ঘুম থেকে জেগে) সালাত আদায় করা। মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আপনি রাতের এক অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য।

১০৫৪। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু আ পড়তেন- "ইয়া আল্লাহ! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীন এবং তাদের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর মালিক আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীন এবং এ দু য়ের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুর নূর। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য; আপনার সাক্ষাত সত্য; আপনার বাণী সত্য; জান্নাত সত্য; জাহান্নাম সত্য; নাবীগণ সত্য; মুহাম্মাদ সত্য, কিয়ামত সত্য। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পন করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরেই তাওয়াক্কুল করালাম, আপনার দিকেই রুজূ করলাম; আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনই অগ্র পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, অথবা (অপর বর্ণনায়) আপনি ব্যতীত আর কোন মা বূদ নেই।"

সুফিয়ান (রহঃ) বলেছেন, (অপর সূত্রে) আবদুল করীম আবূ উমাইয়্যা (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ (অংশটুকু) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে থেকে বর্ণনা করেছে 

*রাত জেগে ইবাদত করার ফযীলত।

১০৫৫। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ও মাহমুদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবিতকালে কোন ব্যাক্তি স্বপ্ন দেখলে তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে বর্ণনা করত। এতে আমার মনে আকাঙ্খা জাগলো যে, আমি কোন স্বপ্ন দেখলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করব। তখন আমি যুবক ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে মসজিদে ঘুমাতাম। আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন দু জন ফিরিশতা আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চলেছেন। তা যেন কুপের পাড় বাঁধানোর ন্যায় পাড় বাঁধানে। তাতে দু টি খুঁটি রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এমন কতক লোক, যাদের আমি চিনতে পারলাম। তখন আমি বলতে লাগলাম, আমি জাহান্নাম থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি বলেন, তখন অন্য একজন ফিরিশতা আমাদের সঙ্গে মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, ভয় পেয় না। আমি এ স্বপ্ন (আমার বোন উম্মুল মু মিনীন) হাফসা (রাঃ) এর কাছে বর্ণনা করলাম। এরপর হাফসা (রাঃ) তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করলেন। তখন তিনি বললেনঃ আবদুল্লাহ কতই না ভাল লোক! যদি রাত জেগে সে সালাত (নামায/নামাজ) (তাহাজ্জুদ) আদায় করত! এরপর থেকে আবদুল্লাহ (রাঃ) খুব অল্প সময়ই ঘুমাতেন।

রাতের সালাতে সিজ্দা দীর্ঘ করা।

১০৫৬। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাজ্জুদের) এগার রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন এবং তা ছিল তাঁর (স্বাভাবিক) সালাত (নামায/নামাজ)। সে সালাতে তিনি এক একটি সিজ্ দা এত পরিমাণ (দীর্ঘায়িত) করতেন যে, তোমাদের কেউ (সিজ ্দা থেকে) তাঁর মাথা তোলার আগে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারত। আর ফজরের (ফরয) সালাত (নামায/নামাজ)-এর আগে তিনি দু রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তারপর তিনি ডান কাঁতে শুইতেন যতক্ষণ না সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য তাঁর কাছে মুয়াজ্জ্বীন আসতো।

 

*অসুস্থ ব্যক্তির তাহাজ্জুদ আদায় না করা।

১০৫৭। আবূ না আইম (রহঃ) ... জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে এক রাত বা দু রাত তিনি (তাহাজ্জুদ সালাত (নামায/নামাজ)-এর উদ্দেশ্যে) উঠেন নি।

১০৫৮। মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... জুনদুব ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার সাময়িকভাবে জিবরীল (আলাইহিস্ সালাম) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে হাযিরা থেকে বিরত থাকেন। এতে জনৈকা কুরাইশ নারী বলল, তার শয়তানটি তাঁর কাছে আসতে দেরী করছে। তখন নাযিল হল ‏وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى শপথ পূর্বাহ্নের ও রজনীর যখন তা হয় নিঝুম। আপনার প্রতিপালক আপনাকে পরিত্যাগ করেন নি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হন নি। (সূরা দুহা)

*তাহাজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উৎসাহ প্রদান,অবশ্য তিনি তা ওয়াজিব করেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ সালাতে উৎসাহ দানের জন্য একরাতে ফাতিমা ও আলী (রা.)-এর ঘরে গিয়েছিলেন।

১০৫৯। ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্! আজ রাতে কত না ফিত্ না নাযিল করা হল! আজ রাতে কত না (রাহমাতের) ভান্ডারই নাযিল করা হল! কে জাগিয়ে দিবে হুজরাগুলোর বাসিন্দাদের? ওহে! শোন, দুনিয়ার অনেক বস্ত্র পরিহিতা আখিরাতে বিবস্ত্রা হয়ে যাবে।

১০৬০। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) এর কাছে এসে বললেনঃ তোমরা কি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছ না? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের আত্মাগুলো তো আল্লাহ্ পাকের হাতে রয়েছে। তিনি যখন আমাদের জাগাতে মর্জি করবেন, জাগিয়ে দিবেন। আমরা যখন একথা বললাম, তখন তিনি চলে গেলেন। আমার কথার কোন প্রত্যুত্তর করলেন না। পরে আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি ফিরে যেতে যেতে আপন উরুতে করাঘাত করছিলেন এবং কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন অর্থাৎঃ ‏وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً‏ "মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়।"

১০৬১। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে আমল করা পছন্দ করতেন, সে আমল কোন কোন সময় এ আশংকায় ছেড়ে দিতেন যে, লোকেরা সে আমল করতে থাকবে, ফলে তাদের উপর তা ফরয হয়ে যাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো চাশ্ তের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন নি। [১] আমি সে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করি।

১. আয়িশা (রাঃ) একথা তাঁর জানা অনুসারে বলেছেন। উম্মে হানী (রাঃ)- এর রিওয়ায়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাশত আদায় প্রমাণিত আছে। - আইনী।

১০৬২। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... উম্মুল মু মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে মসজিদে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন, কিছু লোক তাঁর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলো। পরবর্তী রাতেও তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং লোক আরো বেড়ে গেল। এরপর তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাতে লোকজন সমবেত হলেন, কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন না। সকাল হলে তিনি বললেনঃ তোমাদের কার্যকলাপ আমি লক্ষ্য করেছি। তোমাদের কাছে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে শুধু এ আশংকাই আমাকে বাধা দিয়েছে যে, তোমাদের উপর তা ফরয হয়ে যাবে। আর ঘটনাটি ছিল রামাযান মাসের (তারাবীহ্ র সালাতের)।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তাহাজ্জুদের সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে তাঁর উভয় কদম মুবারক ফুলে যেতো। আয়িশা (রা.) বলেছেন,এমনকি তাঁর পদযগল ফেটে যেতো। (কুরআনের শব্দ الْفُطُورُ অর্থ ‘ফেটে যাওয়া انْفَطَرَتْ‘ ফেটে গেল।

১০৬৩। আবূ নু আইম (রহঃ) ... মুগীরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রি জাগরণ করতেন অথবা রাবী বলেছেন, সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন; এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তাঁর দু পায়ের গোছা ফুলে যেত। তখন এ ব্যাপারে তাঁকে বলা হল, এত কষ্ট কেন করছেন? তিনি বলতেন, তাই বলে আমি কি একজন শুকরগুযার বান্দা হব না?

 

*সাহরীর সময় যে ঘুমিয়ে পড়েন।

১০৬৪। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেনঃ আল্লাহ্ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় সালাত (নামায/নামাজ) হল দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর সালাত (নামায/নামাজ)। আর আল্লাহ্ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় সিয়াম হল দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর সিয়াম। তিনি [দাউদ (আলাইহিস সালাম)] অর্ধরাত পর্যন্ত ঘুমাতেন, এক তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ পড়তেন এবং রাতের ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন, এক দিন করতেন না।

১০৬৫। আবদান (রহঃ) ... মাসরূক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন।

১০৬৬। মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... আশ আস (রাঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোরগের ডাক শুনে উঠতেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।

১০৬৫। আবদান (রহঃ) ... মাসরূক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন।

১০৬৬। মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... আশ আস (রাঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোরগের ডাক শুনে উঠতেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।

১০৬৭। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি আমার কাছে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই সাহ্ রীর সময় হতো। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে এ কথা বলেছেন।

তাহাজ্জুদের সালাত দীর্ঘায়িত করা।

১০৬৯। সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, আমি একটি মন্দ কাজের ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম। (আবূ ওয়াইল (রহঃ) বলেন) আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি ইচ্ছা করেছিলেন? তিনি বললেন, ইচ্ছা করেছিলাম, বসে পড়ি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইকতিদা ছেড়ে দেই।

১০৭০। হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা যখন তাহাজ্জুদ সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য উঠতেন তখন মিস্ওয়াক দ্বারা তাঁর মুখ (দাঁত) পরিষ্কার করে নিতেন।

 

* নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাকাআত সালাত আদায় করতেন?

১০৭১। আবূল ইয়ামন (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, একজন জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাতের সালাত (নামায/নামাজ)-এর (আদায়ের) পদ্ধতি কি? তিনি বললেনঃ দু রাকা আত করে। আর ফজর হয়ে যাওয়ার আশংকা করলে এক রাকা আত মিলিয়ে বিতর আদায় করে নিবে।

১০৭২। মুদাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) ছিল তের রাকা আত অর্থাৎ রাতে। (তাহাজ্জুদ ও বিতরসহ)।

১০৭৩। ইসহাক (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ফজরের দু রাকা আত (সুন্নাত) ব্যতিরেকে সাত বা নয় কিংবা এগার রাকা আত।১০৬৫। আবদান (রহঃ) ... মাসরূক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন।

১০৬৬। মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... আশ আস (রাঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোরগের ডাক শুনে উঠতেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।

১০৬৭। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি আমার কাছে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই সাহ্ রীর সময় হতো। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে এ কথা বলেছেন।

তাহাজ্জুদের সালাত দীর্ঘায়িত করা।

১০৬৯। সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, আমি একটি মন্দ কাজের ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম। (আবূ ওয়াইল (রহঃ) বলেন) আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি ইচ্ছা করেছিলেন? তিনি বললেন, ইচ্ছা করেছিলাম, বসে পড়ি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইকতিদা ছেড়ে দেই।

১০৭০। হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা যখন তাহাজ্জুদ সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য উঠতেন তখন মিস্ওয়াক দ্বারা তাঁর মুখ (দাঁত) পরিষ্কার করে নিতেন।

 

* নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাকাআত সালাত আদায় করতেন?

১০৭১। আবূল ইয়ামন (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, একজন জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাতের সালাত (নামায/নামাজ)-এর (আদায়ের) পদ্ধতি কি? তিনি বললেনঃ দু রাকা আত করে। আর ফজর হয়ে যাওয়ার আশংকা করলে এক রাকা আত মিলিয়ে বিতর আদায় করে নিবে।

১০৭২। মুদাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) ছিল তের রাকা আত অর্থাৎ রাতে। (তাহাজ্জুদ ও বিতরসহ)।

১০৭৩। ইসহাক (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ফজরের দু রাকা আত (সুন্নাত) ব্যতিরেকে সাত বা নয় কিংবা এগা১০৭৪। উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা তের রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন, বিত্ র এবং ফজরের দু রাকা আত (সুন্নাত) ও এর অন্তর্ভূক্ত।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইবাদাতে রাত জাগরণ এবং তাঁর ঘুমানো আর রাত জাগার যতটুক রহিত করা হয়েছে মহান আল্লাহর বাণীঃ হে বস্ত্রাবৃত! (ইবাদাতে) রাত জাগুন কিছু অংশ ব্যতীত, অর্ধেক রাত অথবা তার কিছু কম সময়। অথবা এর চাইতেও কিছু বাড়িয়ে নিন। আর কুরআন তিলাওয়াত করুন, ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দর করে। আমি আপনার প্রতি নাযিল করছি গুরভার বাণী, অবশ্য রাতের উপাসনা প্রবৃত্তি দলনে প্রবলতর এবং বাক্য পূরণে সঠিক। দিবাভাগে রয়েছে আপনার জন্য দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা। (৭৩: ১-৭৩) এবং তাঁর বাণীঃ তিনি (আল্লাহ্) জানেন যে, তোমরা এর সঠিক হিসাব রাখতে পার না। অতএব, আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হয়েছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু তিলাওয়াত করা তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু তিলাওয়াত কর। আল্লাহ্ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসস্থ হয়ে পড়বে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশভ্রমণ করবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। কাজেই, কুরআন থেকে যতটুকু সহজসাধ্য তিলাওয়াত কর। সালাত কায়িম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ্কে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমদের আত্মার মঙ্গলের জন্য ভাল যা কিছু অগ্রীম পাঠাবে তেমরা তা পাবে আল্লাহর নিকট ক্ষম প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৭৩:২০)। ইব্ন আব্বাস (রা.) বলেন, হাব্শী ভাষার نشأ শব্দটির অর্থ قام (উঠে দাড়াল) আর وطاء শব্দের অর্থ হল--- কুরআনের অধিক অনুকূল। অর্থাৎ তাঁরকান, চোখ এবং হৃদয়ের বেশী অনুকূল এবং তাই তা কুরআনের মর্ম অনুধাবনে অধিকতর উপযোগী। ليواطئوا শব্দের অর্থ হল ‘যাতে তারা সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে ।

১০৭৫। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কোন মাসে সিয়াম পালন করতেন না। এমন কি আমরা ধারণা করতাম যে, সে মাসে তিনি সিয়াম পালন করবেন না। আবার কোন কোন মাসে সিয়াম পালন করতে থাকতেন, এমনকি আমাদের ধারণা হত যে, সে মাসে তিনি সিয়াম ছাড়বেন না। তাঁকে তুমি সালাত (নামায/নামাজ) রত অবস্থায় দেখতে চাইলে তাই দেখতে পেতে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে চাইলে তাও দেখতে পেতে।

সুলাইমান ও আবূ খালিদ আহমার (রহঃ) হুমাইদ (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় মুহাম্মদ ইবনু জাফর (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।

রাতের বেলা সালাত আদায় না করলে গ্রীবাদেশ শয়তানের গ্রন্থী বেধে দেওয়া।

১০৭৬। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার গ্রীবাদেশে তিনটি গিট দেয়। প্রতি গিটে সে এ বলে চাপড়ায়, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত। তারপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে একটি গিঠ খুলে যায়, পরে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলে আর একটি গিঠ খুলে যায়, তারপর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলে আর একটি গিঠ খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয়, প্রফুল্ল মনে ও নির্মল চিত্তে। অন্যথায় সে সকালে উঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে।

১০৭৭। মুআম্মাল ইবনু হিশাম (রহঃ) ... সামুরা ইবনু জুনদাব (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর স্বপ্ন বর্ণনার এক পর্যায়ে বলেছেন, যে ব্যাক্তির মাথা পাথর দিয়ে বিচূর্ণ করা হচ্ছিল, সে হল ঐ লোক যে কুরআন মাজিদ শিখে তা পরিত্যাগ করে এবং ফরয সালাত (নামায/নামাজ) আদায় না করে ঘুমিয়ে থাকে।

সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়লে শয়তান তার কানে পেশাব করে১০৭৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এক ব্যাক্তির সম্পর্কে আলোচনা করা হল- সকাল বেল পর্যন্ত সে ঘুমিয়েই কাটিয়েছে, সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য (যথা সময়ে) জাগ্রত হয়নি, তখন (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করলেনঃ শয়তান তার কানে পেশাব করে দিয়েছে।

 

*রাতের শেষভাগে দু আ করা ও সালাত আদায় করা। আল্লাহ্পাক ইরশাদ করেছেনঃ রাতের সামান্য পরিমাণ (সময়) তাঁরা নিদ্রারত থাকেন, শেষ রাতে তাঁরা ইসতিগ্ফর করেন। (সূরা আয্-যারিয়াতঃ ১৮)।

১০৭৯। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহ্ তা আলা প্রতি রাতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেনঃ কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছ এমন যে, আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দিব। কে আছ এমনে, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।

 

*যে ব্যক্তি রাতের প্রথমাংশে ঘুমিয়ে থাকে এবং শেষ অংশকে (ইবাদাত দ্বারা) প্রাণবন্ত রাখে। সালমান (রা.) আবূ দারদা (রা.)- কে (রাতের প্রথমাংশে) বললেন, (এখন) ঘুমিয়ে পড়, শেষ রাত হলে তিনি বললেন, (এখন) উঠে পড়। (বিষয়টি অবগত হয়ে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেনঃ সালমান যথার্থ বলেছে।

১০৮০। আবূল ওয়ালীদ ও সুলাইমান (রহঃ) ... আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত (নামায/নামাজ) কেমন ছিল? তিনি বললেন, তিনি প্রথমাংশে ঘুমাতেন, শেষাংশে জেগে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। এরপর তাঁর শয্যায় ফিরে যেতেন, মুয়াজ্জ্বীন আযান দিলে দ্রুত উঠে পড়তেন, তখন তাঁর প্রয়োজন থাকলে গোসল করতেন, অনথায় উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে (মসজিদের দিকে) বেরিয়ে যেতেন।

 

*রামাযানে ও অন্যান্য সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাত জেগে ইবাদাত।

১০৮১। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সালামা ইবনু আবদুর রাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, রামাযান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে এবং অন্যান্য সময় (রাতের বেলা) এগার রাকা আতের অধিক সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন না। তিনি চার রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তুমি সেই সালাত (নামায/নামাজ)-এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘত্ব সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করো না। তারপর তিনি তিন রাকা আত (বিত্ র) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, (একদিন) আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি বিতরের আগে ঘুমিয়ে থাকেন? তিনি ইরশাদ করলেনঃ আমার চোখ দু টি ঘুমায়, কিন্তু আমার হৃদয় ১০৮২। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... উম্মুল মু মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতের কোন সালাত (নামায/নামাজ) আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বসে কিরাআত পড়তে দেখিনি। অবশ্য শেষ দিকে বার্ধক্যে উপনীত হলে তিনি বসে কিরাআত পড়তেন। যখন (আরম্ভকৃত) সূরার ত্রিশ চল্লিশ আয়াত অবশিষ্ট থাকত, তখন দাঁড়িয়ে যেতেন এবং সে পরিমাণ কিরাআত পড়ার পর রুকূ করতেন।

আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন। বা (অন্য কোন) দু আ করে, তাঁর দু আ কবূল করা হয়।

এরপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে (সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলে) তার সালাত (নামায/নামাজ) কবূল করা হয়।

১০৮৮। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... হায়সাম ইবনু আবূ সিনান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁর ওয়ায বর্ণনাকালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তোমাদের এক ভাই অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) অনর্থক কথা বলেন নি। [১] আর আমাদের মাঝে বর্তমান রয়েছেন আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , যিনি আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করেন, যখন উদ্ভাসিত হয় ভোরের আলো। গোমরাহীর পর তিনি আমাদের হিদায়াতের পথ দেখিয়েছেন, তাই আমাদের হৃদয়সমূহ, তাঁর প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাস স্থাপনকারী যে, তিনি যা বলেছেন তা অবশ্য সত্য। তিনি রাত কাটান শয্যা থেকে পার্শ্বকে দূরে সরিয়ে রেখে, যখন মুশরিকরা শয্যাগুলোতে নিদ্রামগ্ন থাকে।

আর উকাইল (রহঃ) ইউনুস (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। যুবায়দী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রেও তা বর্ণনা করেছেন।

১। আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) আনসারী কর্তৃক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসায় রচিত কবিতার কয়েকটি পংক্তি। তিনি মুতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।

১০৮৯। আবূ নু মান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে আমি (এক রাতে) স্বপ্নে দেখলাম যেন আমার হাতে একখন্ড মোটা রেশমী কাপড় রয়েছে এবং যেন আমি জান্নাতের যে কোন স্থানে যেতে ইচ্ছা করছি। কাপড় (আমাকে) সেখানে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপর একটি স্বপ্নে আমি দেখলাম, যেন দু জন ফিরিশতা আমার কাছে এসে আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তখন অন্য একজন ফিরিশতা তাঁদের সামনে এসে বললেন, তোমরা কোন ভয় নেই। (আর ঐ দু জনকে বললেন) তাকে ছেড়ে দাও। (উম্মুল মু মিনীন) হাফসা (রাঃ) আমার স্বপ্নদ্বয়ের একটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আবদুল্লাহ্ (রাঃ) কত ভাল লো্ক! যদি সে রাতের বেলা সালাত (নামায/নামাজ) (তাহাজ্জুদ) আদায় করত।

এরপর থেকে আবদুল্লাহ্ (রাঃ) রাতের এক অংশে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। সাহবীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট (তাঁদের দেখা) স্বপ্ন বর্ণনা দিলেন। লাইলাতুল কদর রামাযানের শেষ দশকের সপ্তম রাতে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি মনে করি যে, (লাইলাতুল কদর শেষ দশকে হওয়ার ব্যাপারে) তোমাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে। কাজেই যে ব্যাক্তি লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন তা (রামাযানের) শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।

আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন। বা (অন্য কোন) দু আ করে, তাঁর দু আ কবূল করা হয়।

এরপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে (সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলে) তার সালাত (নামায/নামাজ) কবূল করা হয়।ঘুমায় না। দেয়।র রাকা আত।

১০৮৮। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... হায়সাম ইবনু আবূ সিনান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁর ওয়ায বর্ণনাকালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তোমাদের এক ভাই অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) অনর্থক কথা বলেন নি। [১] আর আমাদের মাঝে বর্তমান রয়েছেন আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , যিনি আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করেন, যখন উদ্ভাসিত হয় ভোরের আলো। গোমরাহীর পর তিনি আমাদের হিদায়াতের পথ দেখিয়েছেন, তাই আমাদের হৃদয়সমূহ, তাঁর প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাস স্থাপনকারী যে, তিনি যা বলেছেন তা অবশ্য সত্য। তিনি রাত কাটান শয্যা থেকে পার্শ্বকে দূরে সরিয়ে রেখে, যখন মুশরিকরা শয্যাগুলোতে নিদ্রামগ্ন থাকে।

আর উকাইল (রহঃ) ইউনুস (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। যুবায়দী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রেও তা বর্ণনা করেছেন।

১। আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) আনসারী কর্তৃক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসায় রচিত কবিতার কয়েকটি পংক্তি। তিনি মুতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।

১০৮৯। আবূ নু মান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে আমি (এক রাতে) স্বপ্নে দেখলাম যেন আমার হাতে একখন্ড মোটা রেশমী কাপড় রয়েছে এবং যেন আমি জান্নাতের যে কোন স্থানে যেতে ইচ্ছা করছি। কাপড় (আমাকে) সেখানে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপর একটি স্বপ্নে আমি দেখলাম, যেন দু জন ফিরিশতা আমার কাছে এসে আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তখন অন্য একজন ফিরিশতা তাঁদের সামনে এসে বললেন, তোমরা কোন ভয় নেই। (আর ঐ দু জনকে বললেন) তাকে ছেড়ে দাও। (উম্মুল মু মিনীন) হাফসা (রাঃ) আমার স্বপ্নদ্বয়ের একটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আবদুল্লাহ্ (রাঃ) কত ভাল লো্ক! যদি সে রাতের বেলা সালাত (নামায/নামাজ) (তাহাজ্জুদ) আদায় করত।

এরপর থেকে আবদুল্লাহ্ (রাঃ) রাতের এক অংশে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। সাহবীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট (তাঁদের দেখা) স্বপ্ন বর্ণনা দিলেন। লাইলাতুল কদর রামাযানের শেষ দশকের সপ্তম রাতে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি মনে করি যে, (লাইলাতুল কদর শেষ দশকে হওয়ার ব্যাপারে) তোমাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে। কাজেই যে ব্যাক্তি লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন তা (রামাযানের) শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।

গেলেন।

১০৯৬। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যুহরের আগে দু রাকা আত, যুহ্ রের পরে দু রাকা আত, জুমু'আর পরে দু রাকা আত, মাগরিবের পরে দু রাকা আত এবং ইশার পরে দু রাকা আত (সুন্নাত) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি।

১০৯৭। আদম (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর খুতবা প্রদান কালে ইরশাদ করলেনঃ তোমরা কেউ এমন সময় মসজিদে উপস্থিত হলে, যখন ইমাম (জুমু'আর) খুতবা দিচ্ছেন, কিংবা মিম্বরে আরোহেণের জন্য (হুজরা থেকে) বেরিয়ে পড়েছেন, তাহলে সে তখন যেন দু রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নেয়।

১০৯৮। আবূ নু আইম (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি ইবনু উমর (রাঃ) এর বাড়ীতে এসে তাঁকে খবর দিল, এই মাত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা বা শরীফে প্রবেশ করলেন। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, আমি অগ্রসর হলাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা বা ঘর থেকে বের হয়ে পড়েছেন। বিলাল (রাঃ) দরওয়াযার কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আমি বললাম, হে বিলাল! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা বা শরীফের ভিতরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন স্থানে? তিনি বললেন, দু স্তম্ভের মাঝখানে। এরপর তিনি বেরিয়ে এসে কাবার সামনে দু রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন।

*ফজরের (সুন্নাত) দু রাকা আতের পর কথাবার্তা বলা।

১০৯৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের আযানের পর) দু'রাকাআত (সুন্নাত) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তারপর আমি সজাগ থাকলে আমার সাথে কথাবার্তা বলতেন, অন্যথায় (ডান) কাতে শয়ন করতেন। (বর্ণনাকারী আলী বলেন) আমি সুফিয়ান (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, কেউ কেউ এই হাদীসে (দু'রাকা'আত স্থলে) ফজরের দু'রাকাআত রেওয়ায়েত করে থাকেন। (এ বিষয়ে আপনার মন্ত্যব্য কি?) সুফিয়ান (রহঃ) বললেন, এটা তা-ই।

 

*ফজরের (সুন্নাত) দু রাকা আতের হিফাযত আর যারা এ দু রাকা আতকে নফল বলেছেন।

১১০০। বায়ান ইবনু আম্ র (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন নফল সালাত (নামায/নামাজ) কে ফজরের দু রাকা আত সুন্নাতের ন্যায় অধিক হিফাযত ও গুরুত্ব প্রদানকারী ছিলেন না।

 

*ফজরের (সুন্নাত) দু রাকা আতে কতটুকু কিরাআত পড়া হবে।

১১০১। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তের রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন, এরপর সকালে (ফজরের) আযান শোনার পর সংক্ষিপ্ত (কিরাআতে) দু রাকা আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।

১১০২। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্ শার ও আহ্ মাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের (ফরয) সালাত (নামায/নামাজ)-এর আগের দু রাকা আত (সুন্নাত) এত সংক্ষিপ্ত করতেন এমনকি আমি (মনে মনে) বলতাম, তিনি কি (শুধু) উম্মুল কিতাব (সূরা ফাতিহা) তিলাওয়াত করলেন?

(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার খলীল ও বন্ধু [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে তিনটি কাজের ওসিয়্যাত (বিশেষ আদেশ) করেছেন, আমৃত্যু তা আমি পরিত্যাগ করব না। (কাজ তিনটি হল) ১. প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম (পালন করা), ২. সালাতুয-যোহা (চাশ্ ত এর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা) এবং ৩. বিত্ র (সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে ঘুমান।

১১০৯। আলী ইবনুল জা দ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক স্থুলদেহী আনসারী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

Comments
Read more