সেবার মাঝে অন্যতম বিষয় বস্তু হলো খাবার।
খাদ্যের কাজ:
খাদ্যের কাজ হলো:
১.শক্তি প্রদান
২.দেহ গঠন ও সামঞ্জস্য রাখা
৩.দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করা।
৪.টিস্যুর কাজ গুলো নিয়ন্ত্রণ করা।
খাদ্যের মাধ্যমে পুষ্টি সংজ্ঞায়িত
১.পুষ্টি হলো সে রকম বিজ্ঞান যা স্বাস্থ্য ও খাদ্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।পুষ্টি উপাদান গুলো দেহের বৃদ্ধির সাথে প্রাথমিকভাবে যে কাজ করে সেটার সাথেই মূলত এটি জড়িত।
২.পুষ্টি হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রাণীরা খাদ্যকে ব্যবহার করে জীবনধারন,বৃদ্ধি এবং টিস্যু ও অঙ্গের সাধারণ কাজ গুলো চালায়,শক্তি উপাদানের জন্য।
মায়ের দুধের সংক্রমন প্রতিরোধী উপাদান সমূহ
১.কোষ উপাদান :লিস্ফয়েড,কোষ,পরিমরফ,ও ম্যাক্রোফেজ।
২.ইমিউনোগ্লোবিউলিন:ক্ষরনকৃত IgG,IgA,IgM.
৩.জীবানু শনাক্তকরণ ও কেমোট্যাক্টিক কার্যসম্পুন্ন C3 ও C4 কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম।
৪.ল্যাকটোফেরিন ও ট্রান্সফেরিন।
৫.লাইসোজাইম।
৬.ল্যাকটোপার অক্সিডেজ।
৭.নির্দিষ্ট ইনহিবিটর, অ্যান্টিভাইরাল,অ্যান্টিস্ট্যাফাইলোকক্কাল এজেন্ট।
৮.ল্যাকটোস্যামিলাস বাইফিডাস এর জন্য গ্রোথ ফ্যাক্টর।
বুকের দুধ খায়ানোর পদ্ধতি ;;
১.চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ানো:বাচ্চা যখন খুদার জন্য কাঁদে মা তখন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায়।এটি সাধারণ প্রকৃিয়াই দুধ খাওয়ানো বাচ্চাকে।
২.বাচ্চাকে ৩ ঘন্টা পর পর দুধ খাওয়ানো উচিত।রাতের বেলায় সাধারণ ৬-৮ ঘন্টা পর অন্তর অন্তর বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো দরকার।
বুকের দুধের অসুবিধা
১.বুকের দুধ পর্যাপ্ত না থাকা।
২.পর্যাপ্ত পরিমান দুধ না থাকলে বাচ্চাকে বাহিরের কিনা দুধের ওপর নির্ভর করতে হয়।
৩.জটিলতা:বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য নিপলের আঘাত ও ব্রেস্ট অ্যাবসেস হতে পারে।
যে সব ক্ষেত্রে বাচ্চাকে দুধ পান করান হয় না;;
**মায়ের ক্ষেত্রে "
১.মায়ের যদি মানসিক রোগ হয়।
২.নিপলে যদি কোনো সমস্যা থাকে।
৩.মা যদি জ্বর, যক্ষা, হৃদরোগ, ব্রেস্ট অ্যাবসেস,ব্রেস্ট টিউমার,প্রসব পরবর্তী মানসিক রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে বাচ্চাকে বুকের দুধ না দেওয়া টাই উত্তম।
৪.মায়ের যদি ক্যান্সার থাকে ও ক্যান্সারের অ্যান্টিক্যান্সার ওষুধ দেওয়া হয়।
**শিশুর ক্ষেত্রে ;;
১.শিশুর যদি গ্যালাকটোসেমিয়া থাকে,গ্যালাকটোস থাকে,তাহলে মায়ের দুধের ল্যাকটোজ থেকে মানসিক বৈকল্য হতে পার,,ও লিভার ড্যামেজ হতে পারে।
২.বাচ্চার যদি ফিনাইলকিটোনিউরিয়া থাকে তাহলে বাচ্চাকে কম পরিমাণ ফিনাইল এলানিন খেতে হবে এবং মায়ের দুধে অধিক পরিমাণ ফিনাইল এলানিন থাকে।
৩.অপরিণত বাচ্চা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যেখানে বাচ্চা দুগ্ধ লেহন করতে পারবে না।
সামাজিক
যদি বাচ্চা দত্তক নেওয়া হয়।তাহলে আসল মাকে দুধ খাওয়ানোর কথা বলা ও পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া সত্যিই অনেক পাশবিক।
দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা
ক.মায়ের ক্ষেত্রে
১।নিপল সংকোচ
২.ব্রেস্ট অ্যাবসেস
৩.দুধের যোগান কম
৪.মায়ের স্বাস্থ্য খারাপ হলে।
৫.মাথায় আঘাত।
৬.মায়ের স্বাস্থ্য খারাপ।
বাচ্চার ক্ষেত্রে
১.খন্ডিত তালু হলে,
২.দ্বিখণ্ডিত ঠোঁট
৩.মাথায় আঘাত
৪.জন্মগত হৃদরোগ
শাল দুধের উপাদান
১.,প্রোটিন
২.শর্করা
৩.ইমিউনোগ্লোবিউলিন, বিশেষত ক্ষরনকমত lgA
৫.স্নেহ
৬.কোষ-প্রায় ২০০০ কোষ/ মিলি বিশেষত ম্যাক্রোফেজ।
শাল দুধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
১.অ্যান্টিবডি বিশেষত ক্ষরনকৃত lgA বিভিন্ন সংক্রমন প্রতিরোধ করে।
২.শাল দুধ অন্ত্রকে জীবাণুমুক্ত করে,,,যদি জন্মের সময় সংক্রমিত কোন কিছু বাচ্চা গিলে না ফেলে।
৩.শাল দুধের মাঝে জোলাপের গুন আছে।
৪.কিছু কিছু ম্যাক্রোফেজের লাইসোজাইম, ল্যাকটোফোরিন,এবং কমপ্লিমেন্ট তৈরীর ক্ষমতা আছে।।
তাই নবজাতকের জন্মের কিছু মিনিট পর বাচ্চাকে শাল দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয় ডক্টর।।