Al ka firun | সূরা কাফিরুন বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত, আরবি ও অডিওসহ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1)
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
কু’ল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ৷
বলুন, হে কাফেরকূল, Al ka firun
(2)
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
লা’আ বুদুমা- তা’বুদুন
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
(3)
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদুনা মা আ’বুদ ৷
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
(4)
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা- ‘আবাত্তুম ৷
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
(5)
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
ওয়ালাআনতুম ‘আবিদুনা মা- আ’বুদ ৷
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। Al ka firun
(6)
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়া দিন ৷
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
Al ka firun
Al ka firun mp3 download
আরো পড়ুন……
দাড়ি রাখা কি পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
নামাজের দোয়া ও সূরা (বাংলা অনুবাদ,অর্থসহ আরবি)
তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে আদায় করবেন
Ayatul kursi English, Bangla, Hindi Meaning with audio
Al ka firun | ফজিলত
সূরা আল কাফিরুন পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। বিভিন্ন হাদীসে এ সূরার বেশ কিছু ফাযীলত বর্ণিত হয়েছে। আসুন তা জেনে নেই।
১. জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওয়াফের দু’ রাকা‘আত সালাতে ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ও কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়তেন।” [মুসলিম; ১২১৮]
২. ঘুমানোর পূর্বে সূরা কাফিরুন পাঠে রাসূল সালাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন। Al ka firun নবীজি বলেন, ‘যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন পাঠ করবে ‘ক্বুল ইয়া আইয়্যূহাল কাফেরূন’- শেষ পর্যন্ত তা পাঠ করবে। কেননা উহার মধ্যে শির্ক থেকে মুক্ত হওয়ার ঘোষণা রয়েছে।’ (তবরাণী শরীফ)
৩. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ও কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ দু’টি সূরা দিয়ে ফজরের সুন্নাত সালাত আদায় করেছেন”।
[মুসলিম; ৭২৬]৪. ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ফজরের পূর্বের দু’ রাকা‘আতে এবং মাগরিবের পরের দু’রাকাআতে এ দু’ সূরা পড়তে বিশোর্ধ বার বা দশোর্ধ বার শুনেছি।” [মুসনাদে আহমাদ;২/২৪] অন্য বর্ণনায় এসেছে,
“চব্বিশোর্ধ অথবা পঁচিশোর্ধবার শুনেছি”। [মুসনাদে আহমাদ;২/৯৫]৫. ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এক মাস পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি তিনি ফজরের পূর্বের দু’ রাকাআতে ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ও কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ এ দু’সূরা
পড়তেন।” [তিরমিয়ী; ৪১৭, ইবনে মাজাহ; ১১৪৯, মুসনাদে আহমাদ; ২/৯৪]৬. তাছাড়া জনৈক সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে আরয করলেন, আমাকে নিদ্রার পূর্বে পাঠ করার জন্যে কোন দো‘আ বলে দিন। “তিনি সূরা কাফিরূন পাঠ করতে আদেশ দিলেন এবং বললেন এটা শির্ক
থেকে মুক্তিপত্র।” [আবু দাউদ;৫০৫৫, সুনান দারমী;২/৪৫৯, মুস্তাদরাকে হাকিম;২/৫৩৮]৭. অন্য হাদীসে এসেছে, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূরা ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন’ কুরআনের এক চতুর্থাংশ”। [তিরমিয়ী; ২৮৯৩, ২৮৯৫] ।
4. ইবনে উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, “আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে, এই দুটি সূরা ফজরের আগে দুই রাকাতে এবং মাগরিবের পর দুই রাকাতে পড়তেন। ” (মুসনাদ আহমদ; ২/২৪] অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, “আমি এটা চব্বিশ বা পঁচিশবার শুনেছি।”
5. ইবনে উমর (রা।) বলেন : “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এক মাস পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি তিনি ফজরের আগের দুই রাকাতে ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন এবং কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ এ দুটি সূরা পাঠ করতেন।
6. তাছাড়া এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে আরয করলেন, আমাকে নিদ্রার পূর্বে পাঠ করার জন্যে কোন দো’আ বলে দিন। তিনি আমাকে সূরা কাফিরুন পাঠ করার আদেশ দেন এবং বলেন যে এটি শিরক থেকে মুক্তির দোয়া। [আবু দাউদ; ৫০৫৫, সুনান দারমি; ২/৪৫৯;।
7. অন্য এক হাদিসে, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সুরা কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন’ কোরআনের এক চতুর্থাংশ।” [তিরমিযী; ২৮৯৩, ২৮৯৫] অর্থাৎ সূরা কাফিরুন চার বার পাঠ করলে একবার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যাবে। (সুবহানআল্লাহ)।
অর্থাৎ সূরা আল কাফিরুন চার বার পাঠ করলে একবার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। (সুবহানআল্লাহ )
ব্যাখ্যা:
১। আনাস ইবনে মালিক (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মিরাজ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
আমি এমন একটি নদীর ধারে পৌঁছলাম। যার উভয় তীরে ফাঁপা মোতির তৈরি পাতা আছে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল এটি কি? উত্তরে জিবরাঈল বললেন, এটিই হলো হাউজে কাওসার। (বুখারী, হাদীস নং ৪৯৬৪)
২। আনাস (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মো’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট, তার পিতা, তার সন্তান এবং সমস্ত মানুষের চেয়েও প্রিয়তর না হবো। (বুখারী, হাদীস নং ১৫)
What is Al ka firun
Al ka firun is the 109th chapter (surah) of the Quran, the holy book of Islam. The word “Kafirun” in Arabic means “disbelievers,” and the surah is named after this word because it emphasizes the rejection of polytheism and the belief in One God.
Al ka firun is a short surah consisting of only 6 verses, and it is considered a Makkan surah, meaning it was revealed to the Prophet Muhammad (peace be upon him) during the early years of his prophethood in Makkah.
The surah is commonly recited in Islamic prayers and holds great significance for Muslims as it teaches important lessons about monotheism and the rejection of falsehood. It is also believed to provide protection against those who reject or oppose the truth.
Al ka firun Bangla uccharon || সূরা কাফিরুন
Posted
May 13, 2023
in
আল কোরআনের বাণী
by
Shohidul
Tags:
Al ka firun