সম্পর্কের প্রথমে হলো বিশ্বাস।
এই বিশ্বাসটাই একটা সম্পর্কের মূল, যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।
সম্পর্কের দ্বিতীয় হলো সন্মান।
যে সম্পর্কে সন্মান নেই একজন একজনকে সন্মান দেয় না, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।
সম্পর্কের তৃতীয় হলো সেক্রিফাইস।
এই সেক্রিফাইস টা যদি দু'জন দু'জনকে সেক্রিফাইস করতে না পারে, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।
সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তি।
সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মানুষকে সুযোগ দিবেন না।
তাহলে ওই সম্পর্ক টিকে থাকবে না।
এবার আসি মূল কথায়
একটা সম্পর্কের মধ্যে উপরের ৪টি কথাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিবাহিত জীবন শুরু করা খুবই কষ্টকর,যদি আপনি উপরের তিনটি কথা মানতে না পারেন।
বিবাহিত জীবনে নানান সমস্যা হবে সবকিছুকে দোষ ভেবে আলাদা হয়ে যাবেন না। দোষ কোথায় সেটা খোঁজার চেষ্টা করুন। দেখবেন নিজেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
আপনি জানেন আপনার দোষ তারপর ও আপনি চুপ থাকেন, দেখবেন অনেক সহজ হয়ে গেছে সবকিছু।
এক/দুই কথায় সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মানুষকে আসতে দিবেন না।নিজেরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করুন।
কখনো ডিভোর্সের কথা কখনো মাথায় ও আনবেন না।ডিভোর্সে কখনো শান্তি আনতে পারে না।আপনি মনে করেন যে, ডিভোর্স দিলে হয়তো আমি মুক্তি পেয়ে যাবো,আসলে তা কখনো হয় না,সমাজের এক/দুইটা ডিভোর্সী ভাই/বোন দেরকে প্রশ্ন করে দেখুন যে তারা কেমন আছেন? তাদের নিজ পরিবার এবং সমাজের মানুষের সাথে কেমন সম্পর্ক এবং সমাজ তাদেরকে কোন চোখে দেখে সেটা একবার কল্পনা করুন,নিজেই তার প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে কি সমস্যা? কি কারণে বিছিন্ন হতে চাচ্ছেন এগুলোর সমাধান খুঁজুন। ওই বিষয় গুলো ত্যাগ করতে চেষ্টা করুন, দেখবেন সমাধান আপনার হাতেই।
রাগ / অহংকার / জেদ এগুলো ত্যাগ করে প্রিয় মানুষের সাথে সংসার করতে শিখুন। দেখবেন পৃথিবীতে আপনার মতো সুখী মানুষ আর কেউ হবে না।
এসব কথা গুলো যদি আপনি মানতে না পারেন,তাহলে আপনার জন্য সংসার নয়।আপনি কখনোই কোথাও সুখী হবেন না।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল সম্পর্কের মানুষ গুলো।ভালো থাকুক প্রিয় মানুষ গুলো।
Khadija Akter
38 Blog posts