কোরআন কারমি যেহেতু দুজাহানের সর্দার হযরত মোহাম্মদ সাঃ ওপর ওহি নাযিল হয়েছে।তাই ওহি সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান লাভ করা উচিত।
প্রতিটি মুসলমানই জানে যে আল্লাহ তা'আলা মানুষকে পরিক্ষার জন্য পৃথিবী সৃষ্টি সরুপ পাঠিয়েছে।
প্রত্যেকটি মানুষকে কিছু না কিছু দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে।তাই দুনিয়ায় আগমনের পর মানুষকে দুটি কাজ অবগত থাকতে হয়।
প্রথমত
বিশ্বের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যা কিছু আছে তা বুদ্ধি খাটিয়ে কাজে লাগানো।
দ্বিতীয়
বিশ্বের সব কিছু সামলানোর পাশাপাশি মহান রব্বুল আলামীনের ইবাদত বন্দিগি থাকা।
এমন কোনো কাজ না করা যাতে আল্লাহ নারাজ হয়।
আর এই উপরোক্ত কাজ দুটি মেনে চলতে গেলে মানুষকে অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
কারন বিশ্ব জগৎতের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে গেলে কোনটা কোন কাজে লাগানো দরকার কি করলে আল্লাহ খুশি হবে আর কি করলো অসন্তোষ হবে তা কখনোই জানা যাবে না।
আল্লাহ তা'আলা মানুষটির মাঝে তিনটি বস্তু দান করে দিয়েছেন।যার মাধ্যমে মানুষ ভালো খারাপ দিক উপলব্ধি করতে পারবে।
প্রথমত :মানুষের পঞ্চইন্দ্রিয় শক্তি, অর্থাৎ চক্ষু কর্ন,জিহবা, নাসিকা ও ত্বক।
দ্বিতীয় :মেধা শক্তি ও বিবেক
তৃতীয় :ওহি
অনেক বিষয়ের মাধ্যমে মানুষ পঞ্চইন্দ্রিয় শক্তির মাধ্যমে জানতে পারে।আবার অনেক সময় মেধা শক্তির মাধ্যমে জানতে পারে।
আর সে সকল বিষয়ের জ্ঞান পঞ্চইন্দ্রিয় ও মেধা দিয়ে জানা যায় না তা বুঝতে ও জানতে সহায়তা করে ওহি।
জ্ঞান অর্জনের উপরোক্ত তিনটি মাধ্যমের কর্মধারা এমন যে,প্রত্যেকটির একটি নিদিষ্ট সীমারেখা ও পরিধি আছে।
এ সীমারেখা ও পরিধির ব মাধ্যম গুলো নিষ্ক্রিয়। যেমন:বস্তুর জ্ঞান মানুষ পঞ্চইন্দ্রিয় ধারা অর্জন করে।নিছক মেধা শক্তি ধারা সেগুলোর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নই।
উদাহরণ সরুপ আমার সামনে একজন লোক বসে আছে,আমার দৃষ্টি শক্তির মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি সে একজন মানুষ।আমার চোখই আমাকে তার আকৃতি রং বর্ণনা দিয়েছে।এটা আমি পঞ্চইন্দ্রিয় শক্তি দিয়ে চোখ বন্ধ করে জানতে পারতাম না তার আকৃতি গঠন বর্ণনা।
আর যেহেতু ওহির দিক-নির্দেশনার সূচনাই হয় সেখান থেকে,,যেখানে বিবেক ও মেধা শক্তি অকার্যকর।কাজেই ওহির প্রত্যেকটি বিষয়,,মেধা ও পঞ্চইন্দ্রিয় শক্তির মাধ্যমে জানা যাবে তা আব্যশক নই।যে ভাবে কোনো প্রানী বস্তু আসবাবপত্রের আকার আকৃতি রং বর্ণ জানা বিবেক বা মেধা শক্তি জানার ক্ষমতা রাখে না,, এটা শুধু পঞ্চইন্দ্রিয় শক্তির জন্য আবশ্যক।
তদ্রুপ দ্বীনি আকিকাগত অনেক বিষয় রেয়েছে যা শুধু ওহির মাধ্যমে জানা আবশ্যক।
তাই কাজে সব কিছু জানার জন্য শুধু মেধা শক্তি বিবেক বা পঞ্চইন্দ্রিয় ওর কাজ না,
ওহির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বেশি।
আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগের নবী রাসুলদের কাছে ওহির মাধ্যমে জানিয়েছেন।।