একজন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ১০ টি দায়িত্ব এবং কর্তব্য। যে দায়িত্বগুলো নারীরা ভুলে যায়। azhari waz
স্ত্রীর ওপর স্বামীর শর্তারোপ এবং আরোপকৃত শর্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত
Table of Contents
azhari waz
DOWNLOAD OFFICIAL ANDROID APP
DOWNLOAD OFFICIAL ANDROID APP
DOWNLOAD OFFICIAL ANDROID APP
azhari waz
প্রশ্ন
উত্তর
প্রশ্ন
প্রশ্ন: আমি একজন নারী। বছর খানেক আগে আমার বিয়ে হয়েছে।
বিয়ের পূর্বে আমার স্বামী আমার ওপর শর্তারোপ করেছিলেন যে, তাঁর মায়ের খালার মেয়েকে আমাদের বাসায় থাকতে দিতে হবে; যেহেতু তিনি একজন বয়স্ক মহিলা। স্বামীর এ শর্তে আমি রাজী হয়েছিলাম। azhari waz
বিয়ের পর আমি জানতে পারলাম যে, এ বাড়ীর অর্ধেক আসবাবপত্র এই মহিলার। বাসার কোন একটি আসবাবপত্র আমি ধরতে পারি না, ছুঁইতে পারি না। শুধু তাই নয়- তিনি আমাকে, আমার পরিবারকে গালিগালাজ করেন।
আমার স্বামী এর কোন প্রতিবাদ করে না। ভদ্রমহিলা বলেন: আমার পিতা নাকি জারজ সন্তান! আমার মধ্যে নাকি আদব কায়দা কম! কারণ- আমার স্বামী ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় আমি তার সাথে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যাই। azhari waz
এ বিষয়গুলো আমি আমার পরিবারকে অবহিত করলে তারা এসে আমাকে নিয়ে যায়। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি কি আমার স্বামীর নিকট আলাদা বাসস্থান দাবী করতে পারি? এই ভদ্রমহিলা আমাদের সাথে বসবাস করার শরয়ি বিধান কি?
স্বামী তার স্ত্রীর ওপর শর্তারোপ করেছিলেন যে, স্বামীর একজন আত্মীয়াকে স্ত্রীর সাথে একই বাসায় থাকতে দিতে হবে। এখন এই আত্মীয়া স্ত্রীকে নানাভাবে কষ্ট দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর ওপর আরোপকৃত শর্ত কি বাতিল হবেazhari waz
উত্তর
আলহামদুলিল্লাহ ( সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য )।
এক:
নিজের স্ত্রীকে ইসলামি শরিয়ত নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য সম্বলিত একটি বাসস্থান প্রদান করা স্বামীর অপরিহার্য কর্তব্য। যে বাসস্থানের মধ্যে স্ত্রীর জীবন ধারণের জন্য অতি জরুরী সুবিধাগুলো থাকবে। এই আবাসস্থলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে- স্ত্রীর সাথে একই ঘরে স্বামীর পরিবারের কোন সদস্যকে না রাখা।
দুই:
কিন্তু স্বামী যদি স্ত্রীর ওপর শর্তারোপ করে থাকে যে, স্ত্রীর সাথে স্বামীর পরিবারের কোন সদস্যকে থাকতে দিতে হবে এবং স্ত্রী যদি এই শর্তে রাজী হয়ে থাকে, তাহলে স্ত্রী তার স্বামীর পক্ষ থেকে আলাদা বাসা পাওয়ার অধিকার হতে বঞ্চিত হবে। azhari waz
আরোপকৃত শর্তটি মেনে যাওয়া স্ত্রীর ওপর শিরোধার্য হয়ে যাবে, স্ত্রীকে শর্তটি পূর্ণ করতে হবে।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: শর্তবিষয়ক অধ্যায়ের মূলনীতি হলো- যেকোন শর্ত আরোপ করা জায়েয এবং শুদ্ধ। সেটা বিয়ের ক্ষেত্রে হোক, বেচাকেনার ক্ষেত্রে হোক, ভাড়ার ক্ষেত্রে হোক, বন্ধকের ক্ষেত্রে হোক, অথবা ওয়াকফের ক্ষেত্রে হোক।
যেকোন প্রকার চুক্তির শর্তের বিধান হলো- শর্ত শুদ্ধ হলে সেটি পূর্ণ করা ওয়াজিব (অপরিহার্য)। সেটি বিয়ের চুক্তি হোক অথবা অন্য কোন চুক্তি হোক। যেহেতু চুক্তি সংক্রান্ত আল্লাহর বাণীটির বিধান সাধারণ- “হে ঈমানদারগণ, তোমরা তোমাদের চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূর্ণ কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত – ১]
। আর চুক্তি পূর্ণ করা মানে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত শর্তও বৈশিষ্ট্যসহ তা পূর্ণ করা। যেহেতু চুক্তির শর্তও চুক্তি হিসেবে গণ্য। [আল-শারহুল মুমতি’ আলাযাদিল মুসতানকি’, পৃষ্ঠা- ১২/১৬৪ ]
পূর্বোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়- আপনার জন্য স্বামীর আরোপকৃত শর্ত পূরণকরা এবং আপনার স্বামীর মায়ের খালার মেয়েকে আপনার সাথে থাকতে দিয়ে সন্তুষ্ট থাকা অনিবার্য। যেহেতু আপনি বিয়ের পূর্বেই এ শর্ত সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছেন।azhari waz
তিন:
নিম্নোক্ত কিছু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আরোপকৃত এ শর্তটি বাতিল হতে পারে:
১. যদি শর্ত আরোপকারী অর্থাৎ আপনার স্বামী শর্তটি বাতিল করে দেন। তিনি যদি শর্তটি বাতিল করেন তাহলে যেন তিনি শর্তটি আরোপই করেননি।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: ইসলামী শরিয়ত যে শর্তগুলো আরোপ করেছে সে শর্তগুলোর হিত করার অধিকার কেউই রাখেন না। আর কোন ব্যক্তি নিজে যে শর্তগুলো আরোপ করেন তিনি সে শর্তগুলোর হিত করার অধিকার রাখেন। [আল-শারহুল মুমতি’ আলাযাদিল মুসতানকি’, পৃষ্ঠা- ৫/২৫]
২. আপনি যাকে আপনার সাথে একত্রে বসবাস করতে দিতে সম্মত হয়েছেন আপনি তার দ্বারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সাব্যস্ত হয়। যেমন- অপ্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয় প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেল অথবা দুশ্চরিত্রবান কোন ব্যক্তি যে আপনার গোপন বিষয় খুঁজে বেড়ায় azhari waz
অথবা এমন কোন ব্যক্তি যে গালি-গালাজ করে, হেয় প্রতিপন্ন করে, শারীরিকভাবে অথবা মানসিকভাবে আপনাকে কষ্ট দেয়।
যেহেতু আপনার স্বামী তার শর্তটি রহিত করেনি সুতরাং আপনার সামনে শুধু দ্বিতীয় পথটিই খোলা আছে। তবে আপনার অভিযোগটি সাক্ষ্য – প্রমাণের মাধ্যমে সাব্যস্ত করতে হবে। যদি সাব্যস্ত করা যায় তাহলে আপনি এই মহিলাকে আপনাদের ঘর থেকে বের করে দিতে পারবেন
অথবা আপনি অন্য কোন ঘরে আলাদাভাবে থাকতে পারবেন। কুয়েত থেকে প্রকাশিত “আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়া (ফিকহী বিশ্বকোষ)” তে এসেছে- স্ত্রীর সাথে একই ঘরে পিতামাতা ( বা অন্য কোন আত্মীয় ) কে বসবাস করতে দেয়া জায়েয নয়।
তাই স্বামীর কোন আত্মীয়ের সাথে একত্রে বসবাস করতে অসম্মতি জ্ঞাপন করার অধিকার স্ত্রীর রয়েছে। আলাদা বাসাতে থাকলে স্ত্রী তার ইজ্জত, সম্পদ ও অন্যান্য অধিকার উপভোগ করার পূর্ণ নিশ্চয়তা পেতে পারে। azhari waz
সুতরাং এ অধিকার পরিত্যাগেতাকে বাধ্য করার সাধ্য কারো নেই। এটি হানাফি, শাফেয়ি, হাম্বলি মাযহাবসহ জমহুর ফিকাহবিদগণের অভিমত।
আর স্বামী যদি স্ত্রীর ওপর এ শর্তারোপ করে থাকে যে, স্ত্রীকে স্বামীর পিতামাতার সাথে বসবাস করতে হবে এবং স্ত্রী এ শর্ত গ্রহণ করে তাদের সাথে বসবাস করা শুরু করে; কিন্তু পরবর্তীতে আলাদা বাসা দাবী করে তাহলে মালেকি মাযহাবমতে স্ত্রী আলাদা বাসা পাবেনা।
তবে এক অবস্থায় স্ত্রী আলাদা বাসা পেতে পারেন যদি তিনি সাব্যস্ত করতে পারেন যে, তাদের সাথে একত্রে বসবাস করে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এতক্ষণ যা আলোচিত হয়েছে তা মূল মাসয়ালার বর্ণনাও আপনার মত পরিস্থিতির-শিকার ব্যক্তির ক্ষেত্রে কি করণীয় তার উল্লেখমাত্র। কিন্তু আপনারদের মাঝে যে সমস্যা সেটা শুধু তাত্ত্বিক বক্তব্য দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। বরঞ্চ এ সমস্যার নিরসন কল্পে দুই পক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। আপনার স্বাম
ী যদি আপনার ও তার আত্মীয়ার মাঝে সৃষ্ট সংকট নিরসনে অপারগহন এবংazhari waz স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনযাপনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে না-পারেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ও তার আত্মীয়ার জন্য আলাদা আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা তার ওপর ওয়াজিব।
তিনি যদি তা না-করেন তাহলে আপনাদের মাঝে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনের জন্ কোন মধ্যস্থতাকারীর শরণাপন্ন হন। যে মধ্যস্থতাকারী আপনার স্বামীকে নিজের ঘর সংরক্ষণের ব্যাপারে তার চেতনা ফিরাতে পারবে এবং একথা বুঝাতে পারবে যে,
আপনার স্বামী আপনার জন্য অথবা তার আত্মীয়ার জন্য কাছাকাছি স্থানে আলাদা একটি বাসা ভাড়া নিতে পারেন। যাতে আপনার স্বামী তার বৃদ্ধ আত্মীয়ার দেখা শুনা করতে পারেন এবং তার ঘরও পরিবারের হক ও আদায় করতে পারেন।
যদি আপনার স্বামী এতে সম্মতি না হন, তাহলে আপনি আদালতের বিচার প্রার্থী হতে পারেন। এটাই সমস্যা নিরসনের শেষ সমাধান।
আমরা দোয়া করছি আল্লাহ আপনাদের উভয়পক্ষের মাঝে সমঝোতা করে দিন এবং আপনাদের উভয়পক্ষকে সুমতি দিন।
আল্লাহই ভাল জানেন।azhari waz
DOWNLOAD OFFICIAL ANDROID APP
DOWNLOAD OFFICIAL ANDROID APP
DOWNLOAD OFFICIAL ANDROID APP
Decision on the imposition of conditions on the wife by the husband and the annulment of the conditions imposed
Table of Contents
Decision on the imposition of conditions on the wife by the husband and the annulment of the conditions imposed
question
the answer
question
Question: I am a woman. I got married a few years ago. Before marriage, my husband imposed a condition on
me that his mother’s cousin should be allowed to live in our house; As she is an elderly woman. I agreed to this condition of my husband. After marriage I came to know that half of the furniture in this house belongs to this woman. I can’t touch any furniture in the house. azhari wazNot only that – he abuses me, my family.
My husband does not object to this. The lady said: My father is a bastard! I have less manners! Because – When my husband goes out of the house,
I go to the door with him. When I informed my family about these things, they came and took me away. Can I claim a separate residence from my husband in view of the stated situation? What is the Shariah provision for this lady to live with us?
The husband imposed a condition on his wife that a relative of the husband should be allowed to live in the same house with the wife. Now this relative is hurting his wife in many ways
. In such a situation, the conditions imposed by the husband on the wife will be nullified
the answer
Alhamdulillah (All praise be to Allah, Lord of the Universe).
one:
It is the essential duty of the husband to provide his wife with a residence azhari wazhaving the features prescribed by Islamic Shari’ah. A dwelling in which the wife will have the most
essential facilities for her life. The most important condition of this domicile is that no member of the husband’s family should be kept in the same room with the wife.
Two:
But if the husband imposes a condition on the wife that any member of the husband’s family should live with the wife and if the wife agrees to this condition, then the wife will be deprived
of the right to get a separate house from her husband. The condition imposed would become binding on the wife complying with the condition, the wife having to fulfill the condition.
Shaykh Uthaymeen (RA) said: The basic principle of the chapter on conditions is that imposing any condition is permissible and pure. Be it marriage, sale, rent, mortgage, or waqf. The condition of any type of
contract is that if the condition is pure then its fulfillment is wajib (inevitable). Be it a marriage contract or any other contract. Since the provision of Allah’s word regarding covenants is generalazhari waz –
“O you who believe, fulfill your covenants.” [Surah al-Ma’idah, verse – 1]. And fulfilling the contract means fulfilling the terms and conditions included in the contract. Since the terms of the agreement are also considered as contracts. [Al-Sharhul Mumti’ Alazadil Mustanki’, page-12/164]
In view of the above discussion, it is inevitable for you to fulfill the conditions imposed by your husband and to be satisfied with letting your husband’s maternal aunt live with you. As you have willingly accepted this condition before marriage.
Three:
This condition imposed may be waived in view of some of the following conditions:
If the condition imposer i.e. your husband cancels the condition. If he cancels the condition, it is as if he had not imposed the condition. Shaykh Uthaymeen (RA) said: No one has the right to
benefit from the conditions imposed by the Islamic Shari’ah. And any person has the right to take advantage of the conditions which he himself imposes. [Al-Sharhul Mumti’ Alazadil Mustanki’, page-5/25]
If you are known to be harmed by someone you have agreed to let live with you. For example, a minor relative has become an adult or a mischievous person who finds out your secrets or someone who abuses, azhari waz humiliates, physically or mentally hurts you.
Since your husband has not revoked his condition, only the second option is open to you. However, your complaint must be supported by evidence. If it is possible then you can throw this woman
out of your house or you can live separately in another house. In “Al-Mawsua Al-Fiqhiya (Encyclopedia of Fiqh)” published from Kuwait – It is not permissible to allow parents (or any other relatives) to live in the same house with the wife. Therefore, the wife has the right to object to cohabitation with any relative
of the husband. In a separate house, the wife can be fully assured of enjoying her dignity, wealth and other rights. So no one has the ability to force the one who abandons this right. This is the opinion of the jurisprudents of Jamahur, including the Hanafi, Shafi’i, and Hanbali madhhabs.
And if the husband imposes a condition on the wife that the wife should live with the husband’s parents and the wife accepts this condition and starts living with them;
But later, if the wife claims a separate house, according to the Maleki Madhhab, the wife will not get a separate house. But in one case the wife can get a separate house if she can prove that she is being harmed by living together with them.
What has been discussed so far is only a description of the main issue and what to do in case of a victim of a situation like yours. But it is not possible to solve the problem between you only with theoretical statements. Rather, sincere efforts from both sides are absolutely necessary to solve this problem. your self
If you are unable to resolve the crisis between you and his relatives and ensure a normal married life environment, then it is wajib on him to arrange separate accommodation for you and his relatives.
If he does not do so, azhari waz then resort to a mediator to resolve the problem between you. A mediator who can convince your husband to keep his house and suggest that your husband can rent a separate house for you or his relative nearby.
So that your husband can visit his elderly relatives and get his house and family rights. If your husband does not agree to this, then you can be a court judge. This is the ultimate solution to the problem.
We pray that Allah reconciles both of you and gives both of you peace.
Allah knows best.
Posted
September 4, 2022
in
আল কোরআনের বাণী, Al Quran Bangla, Uncategorized, মেয়ে এবং ছেলে উভয়, মেয়েদের বিষয়, রছেলেদে বিষয়
by
Shohidul
Tags:
alor poth, azhari waz, Quran Tilawat, Tilawat