ড্রাগন ফল বিদেশি হলেও আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। আর সেই কারণেই দেশের বাজারে এখন প্রচুর ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে দামি ফল হিসেবে খেতে চান, কিন্তু জানেন না এতে কী কী পুষ্টিগুণ আছে।
ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ক্যালরি কম থাকায় এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে। আরও আছে ফাইবার ও আয়রন, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
কীভাবে খাবেন
ড্রাগন ফল খোসা ফেলে জুস করে খেতে পারেন। চাইলে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন। আবার সাধারণ ফলের মতো কেটেও খেতে পারেন। তাপে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, তাই রান্না করে না খাওয়াই ভালো। এতে ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন), ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো অল্প পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে বেটালাইনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা এর প্রাণবন্ত রঙে অবদান রাখে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিক্যাল নামের ক্ষতিকারক পদার্থ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করে।
ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস
ড্রাগন ফলের মধ্যে বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যেমন—ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল থাকায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এই যৌগগুলো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় অবদান রাখতে পারে।
হাইড্রেশন এবং ইলেকট্রোলাইটস
ফলটিতে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট থাকায় তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পেশির সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে।
কম ক্যালরি
ড্রাগন ফলে তুলনামূলকভাবে ক্যালরি কম থাকে। যারা কম ক্যালরি গ্রহণ করতে চায় তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত হতে পারে।