Surah Sad full translation 1-88 | Surah saad | সূরা ছোয়াদ | 38

38) সূরা ছোয়াদ – Surah Sad (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayat 88)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়

Surah Sad full translation 1-88 | Surah saad | সূরা ছোয়াদ | 38
Quran
38) সূরা ছোয়াদ – Surah Sad (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayat 88)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

Surah saad
আরো পড়ুন ,…..
BOY NAMES | ছেলেদের ইসলামিক নাম ও অর্থসহ ৫০০+

তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে আদায় করবেন

নামাজের দোয়া ও সূরা (বাংলা অনুবাদ,অর্থসহ আরবি)

ইসলামিক উক্তি | ALLAH LOVE QUOTES 140+

Download Official Android Apps

(1) surah saad


ص ۚ وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ
ছোয়াদ। শপথ উপদেশপূর্ণ কোরআনের,
Sad: By the Qur’an, Full of Admonition: (This is the Truth).


Surah saad Ayat (2)


بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ
বরং যারা কাফের, তারা অহংকার ও বিরোধিতায় লিপ্ত।
But the Unbelievers (are steeped) in self-glory and Separatism.


Surah saad Ayat (3)


كَمْ أَهْلَكْنَا مِن قَبْلِهِم مِّن قَرْنٍ فَنَادَوا وَّلَاتَ حِينَ مَنَاصٍ
তাদের আগে আমি কত জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি, অতঃপর তারা আর্তনাদ করতে শুরু করেছে কিন্তু তাদের নিষ্কৃতি লাভের সময় ছিল না।


How many generations before them did We destroy? In the end they cried (for mercy)- when there was no longer time for being saved!


(4) surah shad


وَعَجِبُوا أَن جَاءَهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ ۖ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَـٰذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।


So they wonder that a Warner has come to them from among themselves! and the Unbelievers say, “This is a sorcerer telling lies!


Surah saad Ayat (5)


أَجَعَلَ الْآلِهَةَ إِلَـٰهًا وَاحِدًا ۖ إِنَّ هَـٰذَا لَشَيْءٌ عُجَابٌ
সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্যের উপাসনা সাব্যস্ত করে দিয়েছে। নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার।

“Has he made the gods (all) into one Allah. Truly this is a wonderful thing!”


(6) surah saad
وَانطَلَقَ الْمَلَأُ مِنْهُمْ أَنِ امْشُوا وَاصْبِرُوا عَلَىٰ آلِهَتِكُمْ ۖ إِنَّ هَـٰذَا لَشَيْءٌ يُرَادُ
তাদের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি একথা বলে প্রস্থান করে যে, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের উপাস্যদের পূজায় দৃঢ় থাক। নিশ্চয়ই এ বক্তব্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।


And the leader among them go away (impatiently), (saying), “Walk ye away, and remain constant to your gods! For this is truly a thing designed (against you)!


Surah saad Ayat (7)


مَا سَمِعْنَا بِهَـٰذَا فِي الْمِلَّةِ الْآخِرَةِ إِنْ هَـٰذَا إِلَّا اخْتِلَاقٌ
আমরা সাবেক ধর্মে এ ধরনের কথা শুনিনি। এটা মনগড়া ব্যাপার বৈ নয়।
“We never heard (the like) of this among the people of these latter days: this is nothing but a made-up tale!”


Surah saad Ayat (8)


أَأُنزِلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ مِن بَيْنِنَا ۚ بَلْ هُمْ فِي شَكٍّ مِّن ذِكْرِي ۖ بَل لَّمَّا يَذُوقُوا عَذَابِ
আমাদের মধ্য থেকে শুধু কি তারই প্রতি উপদেশ বানী অবতীর্ণ হল? বস্তুতঃ ওরা আমার উপদেশ সম্পর্কে সন্দিহান; বরং ওরা এখনও আমার মার আস্বাদন করেনি।


“What! has the Message been sent to him – (Of all persons) among us?”…but they are in doubt concerning My (Own) Message! Nay, they have not yet tasted My Punishment!


Surah saad Ayat (9)


أَمْ عِندَهُمْ خَزَائِنُ رَحْمَةِ رَبِّكَ الْعَزِيزِ الْوَهَّابِ
না কি তাদের কাছে আপনার পরাক্রান্ত দয়াবান পালনকর্তার রহমতের কোন ভান্ডার রয়েছে?

Or have they the treasures of the mercy of thy Lord,- the Exalted in Power, the Grantor of Bounties without measure?


Surah saad Ayat (10)


أَمْ لَهُم مُّلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ فَلْيَرْتَقُوا فِي الْأَسْبَابِ
নাকি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর উপর তাদের সাম্রাজ্য রয়েছে? থাকলে তাদের আকাশে আরোহণ করা উচিত রশি ঝুলিয়ে।


Or have they the dominion of the heavens and the earth and all between? If so, let them mount up with the ropes and means (to reach that end)!


(11) surah saad


جُندٌ مَّا هُنَالِكَ مَهْزُومٌ مِّنَ الْأَحْزَابِ
এক্ষেত্রে বহু বাহিনীর মধ্যে ওদেরও এক বাহিনী আছে, যা পরাজিত হবে।
But there – will be put to flight even a host of confederates.


Surah saad Ayat (12)


كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ ذُو الْأَوْتَادِ
তাদের পূর্বেও মিথ্যারোপ করেছিল নূহের সম্প্রদায়, আদ, কীলক বিশিষ্ট ফেরাউন,
Before them (were many who) rejected apostles,- the people of Noah, and ‘Ad, and Pharaoh, the Lord of Stakes,


Surah saad Ayat (13)


وَثَمُودُ وَقَوْمُ لُوطٍ وَأَصْحَابُ الْأَيْكَةِ ۚ أُولَـٰئِكَ الْأَحْزَابُ
সামুদ, লূতের সম্প্রদায় ও আইকার লোকেরা। এরাই ছিল বহু বাহিনী।
And Thamud, and the people of Lut, and the Companions of the Wood; – such were the Confederates.


Surah saad Ayat (14)


إِن كُلٌّ إِلَّا كَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ عِقَابِ
এদের প্রত্যেকেই পয়গম্বরগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। ফলে আমার আযাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
Not one (of them) but rejected the apostles, but My punishment came justly and inevitably (on them).


Surah saad Ayat (15)


وَمَا يَنظُرُ هَـٰؤُلَاءِ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً مَّا لَهَا مِن فَوَاقٍ
কেবল একটি মহানাদের অপেক্ষা করছে, যাতে দম ফেলার অবকাশ থাকবে না।
These (today) only wait for a single mighty Blast, which (when it comes) will brook no delay.


Surah saad Ayat (16)


وَقَالُوا رَبَّنَا عَجِّل لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ يَوْمِ الْحِسَابِ
তারা বলে, হে আমাদের পরওয়ারদেগার, আমাদের প্রাপ্য অংশ হিসাব দিবসের আগেই দিয়ে দাও।
They say: “Our Lord! hasten to us our sentence (even) before the Day of Account!”


Surah saad Ayat (17)


اصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَاذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُودَ ذَا الْأَيْدِ ۖ إِنَّهُ أَوَّابٌ
তারা যা বলে তাতে আপনি সবর করুন এবং আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদকে স্মরণ করুন। সে ছিল আমার প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল।
Have patience at what they say, and remember our servant David, the man of strength: for he ever turned (to Allah..


Surah saad Ayat (18)


إِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَهُ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ
আমি পর্বতমালাকে তার অনুগামী করে দিয়েছিলাম, তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করত;
It was We that made the hills declare, in unison with him, Our Praises, at eventide and at break of day,


Surah saad Ayat (19)


وَالطَّيْرَ مَحْشُورَةً ۖ كُلٌّ لَّهُ أَوَّابٌ
আর পক্ষীকুলকেও, যারা তার কাছে সমবেত হত। সবাই ছিল তাঁর প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল।
And the birds gathered (in assemblies): all with him did turn (to Allah..


Surah saad Ayat (20)


وَشَدَدْنَا مُلْكَهُ وَآتَيْنَاهُ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ
আমি তাঁর সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাঁকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্নীতা।
We strengthened his kingdom, and gave him wisdom and sound judgment in speech and decision.


Surah saad Ayat (21)


وَهَلْ أَتَاكَ نَبَأُ الْخَصْمِ إِذْ تَسَوَّرُوا الْمِحْرَابَ
আপনার কাছে দাবীদারদের বৃত্তান্ত পৌছেছে, যখন তারা প্রাচীর ডিঙ্গীয়ে এবাদত খানায় প্রবেশ করেছিল।
Has the Story of the Disputants reached thee? Behold, they climbed over the wall of the private chamber;


Surah saad Ayat (22)


إِذْ دَخَلُوا عَلَىٰ دَاوُودَ فَفَزِعَ مِنْهُمْ ۖ قَالُوا لَا تَخَفْ ۖ خَصْمَانِ بَغَىٰ بَعْضُنَا عَلَىٰ بَعْضٍ فَاحْكُم بَيْنَنَا بِالْحَقِّ وَلَا تُشْطِطْ وَاهْدِنَا إِلَىٰ سَوَاءِ الصِّرَاطِ


যখন তারা দাউদের কাছে অনুপ্রবেশ করল, তখন সে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। তারা বললঃ ভয় করবেন না; আমরা বিবদমান দুটি পক্ষ, একে অপরের প্রতি বাড়াবাড়ি করেছি। অতএব, আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করুন, অবিচার করবেন না। আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করুন।


When they entered the presence of David, and he was terrified of them, they said: “Fear not: we are two disputants, one of whom has wronged the other: Decide now between us with truth, and treat us not with injustice, but guide us to the even Path..


(23) surah saad


إِنَّ هَـٰذَا أَخِي لَهُ تِسْعٌ وَتِسْعُونَ نَعْجَةً وَلِيَ نَعْجَةٌ وَاحِدَةٌ فَقَالَ أَكْفِلْنِيهَا وَعَزَّنِي فِي الْخِطَابِ
সে আমার ভাই, সে নিরানব্বই দুম্বার মালিক আর আমি মালিক একটি মাদী দুম্বার। এরপরও সে বলেঃ এটিও আমাকে দিয়ে দাও। সে কথাবার্তায় আমার উপর বল প্রয়োগ করে।


“This man is my brother: He has nine and ninety ewes, and I have (but) one: Yet he says, ‘commit her to my care,’ and is (moreover) harsh to me in speech.”


(24) surah shad


قَالَ لَقَدْ ظَلَمَكَ بِسُؤَالِ نَعْجَتِكَ إِلَىٰ نِعَاجِهِ ۖ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ الْخُلَطَاءِ لَيَبْغِي بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَقَلِيلٌ مَّا هُمْ ۗ وَظَنَّ دَاوُودُ أَنَّمَا فَتَنَّاهُ فَاسْتَغْفَرَ رَبَّهُ وَخَرَّ رَاكِعًا وَأَنَابَ ۩


দাউদ বললঃ সে তোমার দুম্বাটিকে নিজের দুম্বাগুলোর সাথে সংযুক্ত করার দাবী করে তোমার প্রতি অবিচার করেছে। শরীকদের অনেকেই একে অপরের প্রতি জুলুম করে থাকে। তবে তারা করে না,

যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ও সৎকর্ম সম্পাদনকারী। অবশ্য এমন লোকের সংখ্যা অল্প। দাউদের খেয়াল হল যে, আমি তাকে পরীক্ষা করছি। অতঃপর সে তার পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল, সেজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করল।


(David) said: “He has undoubtedly wronged thee in demanding thy (single) ewe to be added to his (flock of) ewes: truly many are the partners (in business) who wrong each other: Not so do those who believe and work deeds of righteousness,

and how few are they?”…and David gathered that We had tried him: he asked forgiveness of his Lord, fell down, bowing (in prostration), and turned (to Allah in repentance).


Surah saad Ayat (25)


فَغَفَرْنَا لَهُ ذَٰلِكَ ۖ وَإِنَّ لَهُ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ وَحُسْنَ مَآبٍ
আমি তার সে অপরাধ ক্ষমা করলাম। নিশ্চয় আমার কাছে তার জন্যে রয়েছে উচ্চ মর্তবা ও সুন্দর আবাসস্থল।


So We forgave him this (lapse): he enjoyed, indeed, a Near Approach to Us, and a beautiful place of (Final) Return.


Surah saad Ayat (26)


يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُم بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَىٰ فَيُضِلَّكَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ


হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না। তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে।

নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ কারণে যে, তারা হিসাবদিবসকে ভূলে যায়।


O David! We did indeed make thee a vicegerent on earth: so judge thou between men in truth (and justice): Nor follow thou the lusts (of thy heart),

for they will mislead thee from the Path of Allah. for those who wander astray from the Path of Allah, is a Penalty Grievous, for that they forget the Day of Account.


Surah saad Ayat (27)


وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلًا ۚ ذَٰلِكَ ظَنُّ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا مِنَ النَّارِ
আমি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছু অযথা সৃষ্টি করিনি। এটা কাফেরদের ধারণা। অতএব, কাফেরদের জন্যে রয়েছে দূর্ভোগ অর্থাৎ জাহান্নাম।


Not without purpose did We create heaven and earth and all between! that were the thought of Unbelievers! but woe to the Unbelievers because of the Fire (of Hell)!


Surah saad Ayat (28)


أَمْ نَجْعَلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَالْمُفْسِدِينَ فِي الْأَرْضِ أَمْ نَجْعَلُ الْمُتَّقِينَ كَالْفُجَّارِ
আমি কি বিশ্বাসী ও সৎকর্মীদেরকে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কাফেরদের সমতুল্য করে দেব? না খোদাভীরুদেরকে পাপাচারীদের সম্মান করে দেব।


Shall We treat those who believe and work deeds of righteousness, the same as those who do mischief on earth? Shall We treat those who guard against evil, the same as those who turn aside from the right?


Surah saad Ayat (29)


كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ
এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।


(Here is) a Book which We have sent down unto thee, full of blessings, that they may mediate on its Signs, and that men of understanding may receive admonition.


Surah saad Ayat (30)


وَوَهَبْنَا لِدَاوُودَ سُلَيْمَانَ ۚ نِعْمَ الْعَبْدُ ۖ إِنَّهُ أَوَّابٌ
আমি দাউদকে সোলায়মান দান করেছি। সে একজন উত্তম বান্দা। সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল।
To David We gave Solomon (for a son),- How excellent in Our service! Ever did he turn (to Us)!


Surah saad Ayat (31)


إِذْ عُرِضَ عَلَيْهِ بِالْعَشِيِّ الصَّافِنَاتُ الْجِيَادُ
যখন তার সামনে অপরাহ্নে উৎকৃষ্ট অশ্বরাজি পেশ করা হল,
Behold, there were brought before him, at eventide coursers of the highest breeding, and swift of foot;


Surah saad Ayat (32)


فَقَالَ إِنِّي أَحْبَبْتُ حُبَّ الْخَيْرِ عَن ذِكْرِ رَبِّي حَتَّىٰ تَوَارَتْ بِالْحِجَابِ
তখন সে বললঃ আমি তো আমার পরওয়ারদেগারের স্মরণে বিস্মৃত হয়ে সম্পদের মহব্বতে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি-এমনকি সূর্য ডুবে গেছে।


And he said, “Truly do I love the love of good, with a view to the glory of my Lord,”- until (the sun) was hidden in the veil (of night):


Surah saad Ayat (33)


رُدُّوهَا عَلَيَّ ۖ فَطَفِقَ مَسْحًا بِالسُّوقِ وَالْأَعْنَاقِ
এগুলোকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। অতঃপর সে তাদের পা ও গলদেশ ছেদন করতে শুরু করল।
“Bring them back to me.” then began he to pass his hand over (their) legs and their necks.


Surah saad Ayat (34)


وَلَقَدْ فَتَنَّا سُلَيْمَانَ وَأَلْقَيْنَا عَلَىٰ كُرْسِيِّهِ جَسَدًا ثُمَّ أَنَابَ
আমি সোলায়মানকে পরীক্ষা করলাম এবং রেখে দিলাম তার সিংহাসনের উপর একটি নিস্প্রাণ দেহ। অতঃপর সে রুজু হল।


And We did try Solomon: We placed on his throne a body (without life); but he did turn (to Us in true devotion):


Surah saad Ayat (35)


قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَّا يَنبَغِي لِأَحَدٍ مِّن بَعْدِي ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
সোলায়মান বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।


He said, “O my Lord! Forgive me, and grant me a kingdom which, (it may be), suits not another after me: for Thou art the Grantor of Bounties (without measure).


Surah saad Ayat (36)


فَسَخَّرْنَا لَهُ الرِّيحَ تَجْرِي بِأَمْرِهِ رُخَاءً حَيْثُ أَصَابَ
তখন আমি বাতাসকে তার অনুগত করে দিলাম, যা তার হুকুমে অবাধে প্রবাহিত হত যেখানে সে পৌছাতে চাইত।
Then We subjected the wind to his power, to flow gently to his order, Whithersoever he willed,-


(37) surah saad


وَالشَّيَاطِينَ كُلَّ بَنَّاءٍ وَغَوَّاصٍ
আর সকল শয়তানকে তার অধীন করে দিলাম অর্থৎ, যারা ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী।
As also the evil ones, (including) every kind of builder and diver,-


Surah saad Ayat (38)


وَآخَرِينَ مُقَرَّنِينَ فِي الْأَصْفَادِ
এবং অন্য আরও অনেককে অধীন করে দিলাম, যারা আবদ্ধ থাকত শৃঙ্খলে।
As also others bound together in fetters.


Surah saad Ayat (39)


هَـٰذَا عَطَاؤُنَا فَامْنُنْ أَوْ أَمْسِكْ بِغَيْرِ حِسَابٍ
এগুলো আমার অনুগ্রহ, অতএব, এগুলো কাউকে দাও অথবা নিজে রেখে দাও-এর কোন হিসেব দিতে হবে না।
“Such are Our Bounties: whether thou bestow them (on others) or withhold them, no account will be asked.”


Surah saad Ayat (40)


وَإِنَّ لَهُ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ وَحُسْنَ مَآبٍ
নিশ্চয় তার জন্যে আমার কাছে রয়েছে মর্যাদা ও শুভ পরিণতি।
And he enjoyed, indeed, a Near Approach to Us, and a beautiful Place of (Final) Return.


Surah saad Ayat (41)


وَاذْكُرْ عَبْدَنَا أَيُّوبَ إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الشَّيْطَانُ بِنُصْبٍ وَعَذَابٍ
স্মরণ করুণ, আমার বান্দা আইয়্যুবের কথা, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করে বললঃ শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্ট পৌছিয়েছে।


Commemorate Our Servant Job. Behold he cried to his Lord: “The Evil One has afflicted me with distress and suffering!”


Surah saad Ayat (42)


ارْكُضْ بِرِجْلِكَ ۖ هَـٰذَا مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَشَرَابٌ
তুমি তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত কর। ঝরণা নির্গত হল গোসল করার জন্যে শীতল ও পান করার জন্যে।
(The command was given:) “Strike with thy foot: here is (water) wherein to wash, cool and refreshing, and (water) to drink.”


Surah saad Ayat (43)


وَوَهَبْنَا لَهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُم مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنَّا وَذِكْرَىٰ لِأُولِي الْأَلْبَابِ
আমি তাকে দিলাম তার পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরও অনেক আমার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ এবং বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশস্বরূপ।


And We gave him (back) his people, and doubled their number,- as a Grace from Ourselves, and a thing for commemoration, for all who have Understanding.


Surah saad Ayat (44)


وَخُذْ بِيَدِكَ ضِغْثًا فَاضْرِب بِّهِ وَلَا تَحْنَثْ ۗ إِنَّا وَجَدْنَاهُ صَابِرًا ۚ نِّعْمَ الْعَبْدُ ۖ إِنَّهُ أَوَّابٌ
তুমি তোমার হাতে এক মুঠো তৃণশলা নাও, তদ্বারা আঘাত কর এবং শপথ ভঙ্গ করো না। আমি তাকে পেলাম সবরকারী। চমৎকার বান্দা সে। নিশ্চয় সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল।


“And take in thy hand a little grass, and strike therewith: and break not (thy oath).” Truly We found him full of patience and constancy. How excellent in Our service! ever did he turn (to Us)!


Surah saad Ayat (45)


وَاذْكُرْ عِبَادَنَا إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ أُولِي الْأَيْدِي وَالْأَبْصَارِ
স্মরণ করুন, হাত ও চোখের অধিকারী আমার বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা।
And commemorate Our Servants Abraham, Isaac, and Jacob, possessors of Power and Vision.


Surah saad Ayat (46)


إِنَّا أَخْلَصْنَاهُم بِخَالِصَةٍ ذِكْرَى الدَّارِ
আমি তাদের এক বিশেষ গুণ তথা পরকালের স্মরণ দ্বারা স্বাতন্ত্র্য দান করেছিলাম।
Verily We did choose them for a special (purpose)- proclaiming the Message of the Hereafter.


Surah saad Ayat (47)


وَإِنَّهُمْ عِندَنَا لَمِنَ الْمُصْطَفَيْنَ الْأَخْيَارِ
আর তারা আমার কাছে মনোনীত ও সৎলোকদের অন্তর্ভুক্ত।
They were, in Our sight, truly, of the company of the Elect and the Good.


Surah saad Ayat (48)


وَاذْكُرْ إِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَذَا الْكِفْلِ ۖ وَكُلٌّ مِّنَ الْأَخْيَارِ
স্মরণ করুণ, ইসমাঈল, আল ইয়াসা ও যুলকিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই গুনীজন।
And commemorate Isma’il, Elisha, and Zul-Kifl: Each of them was of the Company of the Good.


Surah saad Ayat (49)


هَـٰذَا ذِكْرٌ ۚ وَإِنَّ لِلْمُتَّقِينَ لَحُسْنَ مَآبٍ
এ এক মহৎ আলোচনা। খোদাভীরুদের জন্যে রয়েছে উত্তম ঠিকানা-
This is a Message (of admonition): and verily, for the righteous, is a beautiful Place of (Final) Return,-


Surah saad Ayat (50)


جَنَّاتِ عَدْنٍ مُّفَتَّحَةً لَّهُمُ الْأَبْوَابُ
তথা স্থায়ী বসবাসের জান্নাত; তাদের জন্যে তার দ্বার উম্মুক্ত রয়েছে।
Gardens of Eternity, whose doors will (ever) be open to them;


Surah saad Ayat (51)


مُتَّكِئِينَ فِيهَا يَدْعُونَ فِيهَا بِفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ وَشَرَابٍ
সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে। তারা সেখানে চাইবে অনেক ফল-মূল ও পানীয়।
Therein will they recline (at ease): Therein can they call (at pleasure) for fruit in abundance, and (delicious) drink;


Surah saad Ayat (52)


وَعِندَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ أَتْرَابٌ
তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ।
And beside them will be chaste women restraining their glances, (companions) of equal age.


Surah saad Ayat (53)


هَـٰذَا مَا تُوعَدُونَ لِيَوْمِ الْحِسَابِ
তোমাদেরকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে বিচার দিবসের জন্যে।
Such is the Promise made, to you for the Day of Account!


Surah saad Ayat (54)


إِنَّ هَـٰذَا لَرِزْقُنَا مَا لَهُ مِن نَّفَادٍ
এটা আমার দেয়া রিযিক যা শেষ হবে না।
Truly such will be Our Bounty (to you); it will never fail;-


Surah saad Ayat (55)


هَـٰذَا ۚ وَإِنَّ لِلطَّاغِينَ لَشَرَّ مَآبٍ
এটাতো শুনলে, এখন দুষ্টদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট ঠিকানা
Yea, such! but – for the wrong-doers will be an evil place of (Final) Return!-


Surah saad Ayat (56)


جَهَنَّمَ يَصْلَوْنَهَا فَبِئْسَ الْمِهَادُ
তথা জাহান্নাম। তারা সেখানে প্রবেশ করবে। অতএব, কত নিকৃষ্ট সেই আবাস স্থল।
Hell!- they will burn therein, – an evil bed (indeed, to lie on)!-


Surah saad Ayat (57)


هَـٰذَا فَلْيَذُوقُوهُ حَمِيمٌ وَغَسَّاقٌ
এটা উত্তপ্ত পানি ও পঁূজ; অতএব তারা একে আস্বাদন করুক।
Yea, such! – then shall they taste it,- a boiling fluid, and a fluid dark, murky, intensely cold!-


Surah saad Ayat (58)


وَآخَرُ مِن شَكْلِهِ أَزْوَاجٌ
এ ধরনের আরও কিছু শাস্তি আছে।
And other Penalties of a similar kind, to match them!


Surah saad Ayat (59)


هَـٰذَا فَوْجٌ مُّقْتَحِمٌ مَّعَكُمْ ۖ لَا مَرْحَبًا بِهِمْ ۚ إِنَّهُمْ صَالُو النَّارِ
এই তো একদল তোমাদের সাথে প্রবেশ করছে। তাদের জন্যে অভিনন্দন নেই তারা তো জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
Here is a troop rushing headlong with you! No welcome for them! truly, they shall burn in the Fire!


Surah saad Ayat (60)


قَالُوا بَلْ أَنتُمْ لَا مَرْحَبًا بِكُمْ ۖ أَنتُمْ قَدَّمْتُمُوهُ لَنَا ۖ فَبِئْسَ الْقَرَارُ
তারা বলবে, তোমাদের জন্যে ও তো অভিনন্দন নেই। তোমরাই আমাদেরকে এ বিপদের সম্মুখীন করেছ। অতএব, এটি কতই না ঘৃণ্য আবাসস্থল।


(The followers shall cry to the misleaders:) “Nay, ye (too)! No welcome for you! It is ye who have brought this upon us! Now evil is (this) place to stay in!”


Surah saad Ayat (61)


قَالُوا رَبَّنَا مَن قَدَّمَ لَنَا هَـٰذَا فَزِدْهُ عَذَابًا ضِعْفًا فِي النَّارِ
তারা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, যে আমাদেরকে এর সম্মুখীন করেছে, আপনি জাহান্নামে তার শাস্তি দ্বিগুণ করে দিন।
They will say: “Our Lord! whoever brought this upon us,- Add to him a double Penalty in the Fire!”


Surah saad Ayat (62)


وَقَالُوا مَا لَنَا لَا نَرَىٰ رِجَالًا كُنَّا نَعُدُّهُم مِّنَ الْأَشْرَارِ
তারা আরও বলবে, আমাদের কি হল যে, আমরা যাদেরকে মন্দ লোক বলে গণ্য করতাম, তাদেরকে এখানে দেখছি না।


And they will say: “What has happened to us that we see not men whom we used to number among the bad ones?


Surah saad Ayat (63)


أَتَّخَذْنَاهُمْ سِخْرِيًّا أَمْ زَاغَتْ عَنْهُمُ الْأَبْصَارُ
আমরা কি অহেতুক তাদেরকে ঠাট্টার পাত্র করে নিয়েছিলাম, না আমাদের দৃষ্টি ভুল করছে?
“Did we treat them (as such) in ridicule, or have (our) eyes failed to perceive them?”


Surah saad Ayat (64)


إِنَّ ذَٰلِكَ لَحَقٌّ تَخَاصُمُ أَهْلِ النَّارِ
এটা অর্থাৎ জাহান্নামীদের পারস্পরিক বাক-বিতন্ডা অবশ্যম্ভাবী।
Truly that is just and fitting,- the mutual recriminations of the People of the Fire!


Surah saad Ayat (65)


قُلْ إِنَّمَا أَنَا مُنذِرٌ ۖ وَمَا مِنْ إِلَـٰهٍ إِلَّا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ
বলুন, আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং এক পরাক্রমশালী আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
Say: “Truly am I a Warner: no god is there but the one Allah, Supreme and Irresistible,-


Surah saad Ayat (66)


رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ
তিনি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, পরাক্রমশালী, মার্জনাকারী।
“The Lord of the heavens and the earth, and all between,- Exalted in Might, able to enforce His Will, forgiving again and again.”


Surah saad Ayat (67)


قُلْ هُوَ نَبَأٌ عَظِيمٌ
বলুন, এটি এক মহাসংবাদ,
Say: “That is a Message Supreme (above all),-


Surah saad Ayat (68)


أَنتُمْ عَنْهُ مُعْرِضُونَ
যা থেকে তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছ।
“From which ye do turn away!


Surah saad Ayat (69)


مَا كَانَ لِيَ مِنْ عِلْمٍ بِالْمَلَإِ الْأَعْلَىٰ إِذْ يَخْتَصِمُونَ
ঊর্ধ্ব জগৎ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না যখন ফেরেশতারা কথাবার্তা বলছিল।
“No knowledge have I of the Chiefs on high, when they discuss (matters) among themselves.


Surah saad Ayat (70)


إِن يُوحَىٰ إِلَيَّ إِلَّا أَنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
আমার কাছে এ ওহীই আসে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।
‘Only this has been revealed to me: that I am to give warning plainly and publicly.”


Surah saad Ayat (71)


إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِّن طِينٍ
যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মাটির মানুষ সৃষ্টি করব।
Behold, thy Lord said to the angels: “I am about to create man from clay:


saad Ayat (72)


فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِن رُّوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ
যখন আমি তাকে সুষম করব এবং তাতে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সম্মুখে সেজদায় নত হয়ে যেয়ো।


“When I have fashioned him (in due proportion) and breathed into him of My spirit, fall ye down in obeisance unto him.”


saad Ayat (73)


فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ
অতঃপর সমস্ত ফেরেশতাই একযোগে সেজদায় নত হল,
So the angels prostrated themselves, all of them together:


saad Ayat (74)


إِلَّا إِبْلِيسَ اسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
কিন্তু ইবলীস; সে অহংকার করল এবং অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
Not so Iblis: he was haughty, and became one of those who reject Faith.


saad Ayat (75)


قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَن تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ ۖ أَسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنتَ مِنَ الْعَالِينَ
আল্লাহ বললেন, হে ইবলীস, আমি স্বহস্তে যাকে সৃষ্টি করেছি, তার সম্মুখে সেজদা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি অহংকার করলে, না তুমি তার চেয়ে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন?


((Allah)) said: “O Iblis! What prevents thee from prostrating thyself to one whom I have created with my hands? Art thou haughty? Or art thou one of the high (and mighty) ones?”


saad Ayat (76)


قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ ۖ خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ
সে বললঃ আমি তার চেয়ে উত্তম আপনি আমাকে আগুনের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।
(Iblis) said: “I am better than he: thou createdst me from fire, and him thou createdst from clay.”


saad Ayat (77)


قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ
আল্লাহ বললেনঃ বের হয়ে যা, এখান থেকে। কারণ, তুই অভিশপ্ত।
((Allah)) said: “Then get thee out from here: for thou art rejected, accursed.


saad Ayat (78)


وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَىٰ يَوْمِ الدِّينِ
তোর প্রতি আমার এ অভিশাপ বিচার দিবস পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
“And My curse shall be on thee till the Day of Judgment.”


saad Ayat (79)


قَالَ رَبِّ فَأَنظِرْنِي إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।
(Iblis) said: “O my Lord! Give me then respite till the Day the (dead) are raised.”


saad Ayat (80)


قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ الْمُنظَرِينَ
আল্লঅহ বললেনঃ তোকে অবকাশ দেয়া হল।
((Allah)) said: “Respite then is granted thee-


saad Ayat (81)


إِلَىٰ يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُومِ
সে সময়ের দিন পর্যন্ত যা জানা।
“Till the Day of the Time Appointed.”


saad Ayat (82)


قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
সে বলল, আপনার ইযযতের কসম, আমি অবশ্যই তাদের সবাইকে বিপথগামী করে দেব।
(Iblis) said: “Then, by Thy power, I will put them all in the wrong,-


saad Ayat (83)


إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
তবে তাদের মধ্যে যারা আপনার খাঁটি বান্দা, তাদেরকে ছাড়া।
“Except Thy Servants amongst them, sincere and purified (by Thy Grace).”


saad Ayat (84)


قَالَ فَالْحَقُّ وَالْحَقَّ أَقُولُ
আল্লাহ বললেনঃ তাই ঠিক, আর আমি সত্য বলছি-
((Allah)) said: “Then it is just and fitting- and I say what is just and fitting-


(85) surah saad


لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنكَ وَمِمَّن تَبِعَكَ مِنْهُمْ أَجْمَعِينَ
তোর দ্বারা আর তাদের মধ্যে যারা তোর অনুসরণ করবে তাদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।
“That I will certainly fill Hell with thee and those that follow thee,- every one.”


saad Ayat (86)


قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ
বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না আর আমি লৌকিকতাকারীও নই।
Say: “No reward do I ask of you for this (Qur’an), nor am I a pretender.


saad Ayat (87)


إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ
এটা তো বিশ্ববাসীর জন্যে এক উপদেশ মাত্র।
“This is no less than a Message to (all) the Worlds.


saad Ayat (88)


وَلَتَعْلَمُنَّ نَبَأَهُ بَعْدَ حِينٍ
তোমরা কিছু কাল পরে এর সংবাদ অবশ্যই জানতে পারবে।
“And ye shall certainly know the truth of it (all) after a while.”

Click her to more Quran Tilawat

Click her to allor poth Home


সূরা ছোয়াদ , (আরবি বর্ণ : سورة ص‎‎) ▶ Surah Sâad ▶ Qari Shakir Qasmi ▶ Mahfuz art of nature

Posted

October 3, 2021
in

Al Quran Bangla
by

Shohidul

Tags:

surah for sadness, surah saad, surah sad, surah shad, surah sod


Monirul Islam

1232 Blog posts

Comments