প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনক ভাবে বৃদ্ধি করে।
শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবানু ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়া ও বিভিন্নি ধরনের খনিজ পটাসিয়াম ফসফরাস থাকে যা হাড়গঠন এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
খালি পেটে গাজর খেলে খাবার হজমের কাজ সহায়তা করে থাকে। গাজরের মাঝে পাওয়া ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিন্ত্রয়ন করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
গাজর সামগ্রিকভাবে একটি স্বাস্থকর পাচনতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
এছাড়াও গাজর বেটা-ক্যারোটিনের একটি বড় উৎস, যা শরীরের ভিটামিন এ তে রুপান্তরিত হয়।
তাহলে বুঝা গেলো গাজরের মাঝে ভিটামিন এ বৃদ্ধমান,,ভিটামিন এ আপনার সন্তানের হাড়ের বেড়ে ওঠা,দৃষ্টিশক্তি তৈরি ও ত্বকের উজ্জ্বলতার কাজে সহায়তা করে।
প্রতিদিন আপনাকে ৭৭০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ গ্রহন করতে হয়।
গাজরের উপকারিতা পাশাপাশি পাশ্বপ্রক্রিয়া ও আছে
গাজর যেমন আপনার শরীরের ভিটামিন এ ঘাটতি পূরনে সহায়তা করে,,তেমনি যদি আপন গাজর বেশি পরিমাণ খান তাহল আপনর ত্বক উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দিতে পারে।গাজর অতিরিক্ত খেলে এল্যাজির সমস্যা দেখা দিতে পারে।আপন যদি ডায়বেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে গাজর না খাওয়াই ভালো। গাজর খাওয়ার সময় ভালো করে ধুয়ে গাজর খেতে হবে।কাঁচা অবস্থায় খেলে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত। গাজর রান্না করে খেলে বেশিক্ষন সিদ্ধ বা ভাজা যাবে না,এতে করে গাজরের গুনগত মান হারিয়ে ফেলবে।
গাজর দিয়ে তৈরি খাবার গরম গরম খাওয়া উচিত না ঠান্ডা করে খেতে হয়।
গাজর চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, রাতকানা রোগের জন্য ভালো উপকারী, এবং চোখে ছানি পড়া থেকে ঝুকি কমাতে সহায়তা করে।
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় অতি দ্রুত।গাজর খেলে ত্বকের পটাশিয়ামের অভাব দূর হয় এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।
গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
গাজরে কম ক্যালোরী এবং কম চর্বিযুক্ত উপাদানের কারনে ওজন হ্রাস বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গাজর একটি চমৎকার সবজি। গাজরের ভরাট প্রকৃতি ক্ষুদা নিবারনের কাজ করে,এবং অপ্রয়োজনীয় স্ন্যাকিংয়ের তাগিদ কমায়।
গাজর শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে।গাজরে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন সি,বেটা-ক্যারোটিন, এগুলা শুক্রানু বাড়তে সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল পুরুষ নিয়মিত গাজর খাই তাদের দেহে বেশি পরিমান শুক্রানু তৈরি হয়।টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে। গাজরে থাকা ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি,মানব দেহের লিভারের ফাংশনের কাজে সহায়তা করে থাকে।
তাই গাজর খাওয়া অনেক উপকারী
গাজর শীতকালীন সবজি,,,,