কৃষিক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তি একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় কার্যকরী এবং সময়োপযোগী সমাধান প্রদান করছে। ড্রোনের মাধ্যমে কৃষকদের মাঠ পর্যবেক্ষণ, জমির মান বিশ্লেষণ, এবং ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ অনেক সহজ হয়েছে।
ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চমানের এয়ারিয়াল ইমেজারি এবং সেন্সরের সাহায্যে জমির উর্বরতা, পানির স্তর, এবং কীটনাশকের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করা যায়। ফলে ফসল উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং কৃষি খরচ কমানো সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও, ড্রোনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট এলাকায় কীটনাশক এবং সার প্রয়োগ করা যায়, যা ফসলের ক্ষতি কমাতে সহায়ক।
ড্রোনের আরও একটি বড় সুবিধা হল সময় সাশ্রয়। আগের পদ্ধতিতে যেখানে কৃষককে ফসল পর্যবেক্ষণের জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করতে হতো, ড্রোনের মাধ্যমে তা খুব দ্রুত সম্ভব হয়।
বর্তমানে, ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর কৃষিক্ষেত্রেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদের জন্যও সহায়ক। তাই কৃষিক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তি একটি ভবিষ্যৎমুখী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।