ডেইলি স্টারে বিপ্লব কুমারকে নিয়ে এই লেখাটা আমার।
লেখাটায় যার সাথে আমার নাম গেছে উনি পরে হাসিনার প্রেস উইং এর বড় পদে অধিষ্ঠিত হন। আমি ডেইলি স্টার দুই বছর পর ছেড়ে দেই।
যে কথা পাবলিকলি বলি নাই তা আজকে বলি— আমার এক খালু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ছিলেন এই ১৫ বছর। উনি এখন কই আমি জানি না। ওনার সাথে ১৫ বছর একবারও দেখা করি নাই।
আমার আব্বা আগরতলা ‘ষড়যন্ত্র’-এর সাথে জড়িত ছিলেন। ৭৩ সালে আওয়ামী লীগ করা ছেড়ে দেন। জীবনে আর ওই পথে যান নাই। আমি যখন ছাত্র ইউনিয়ন করতাম তখন আব্বা আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট বলতেন। সেই ১৯৯৬ সালে।
আলী যাকের আমার মায়ের চাচা। নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুও আমার আত্মীয়।
আমার চাচা ডঃ নজরুল ইসলাম মুজিবের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সেই কমিশন যা ৭৪ এ দেশে দুর্ভিক্ষের জন্ম দেয়। ওনার সাথে আমি সারা জীবনে দেখা করছি তিনবার।
বিপ্লব কুমার সরকারকে চেটে সুবিধা আদায় করার আমার দরকার ছিল না। কখনো হয় নাই।
মন্ত্রী কেন হাসিনার সাথেও দেখা করে আব্বার অতীত ভাঙ্গাইতে পারতাম। চাকরী করার দরকার হইতো না।
আমাকে যারা চিনেন তারা জানেন— পুরা আওয়ামী লীগের শাসনমালে আমি মাসে তিনটা চাকরী করতাম। টাকার জন্য। হাসিনার কাছে গেলেই পারতাম। আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির রাজনীতি পছন্দ করি না। আওয়ামী লীগ বাকশালের কারণে, বিএনপি অর্থনৈতিক নীতির কারণে।