এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সৃজনশীলতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা মানবিক শিল্পে গভীর প্রভাব ফেলছে। চিত্রকলা, সঙ্গীত, সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের মতো সৃজনশীল ক্ষেত্রে এআই নতুন উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করছে, যা শিল্পীদের তাদের কাজকে আরও উদ্ভাবনী করে তুলতে সাহায্য করছে। এআই-এর মাধ্যমে জটিল ডিজাইন, সাউন্ড এবং গল্প তৈরি করা এখন অনেক সহজ ও দ্রুত হয়েছে। শিল্পীরা এআই-এর সাহায্যে ধারণা থেকে পূর্ণাঙ্গ শিল্পকর্মে পৌঁছাতে পারছেন, যা আগে দীর্ঘ সময় নিত।
তবে, এআই-এর এ প্রভাব নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। কিছু সমালোচক মনে করেন, এআই সৃজনশীলতার মৌলিক গুণাবলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কারণ এটি শিল্পের অন্তর্নিহিত আবেগ বা মানবিক অনুভূতি ধারণ করতে সক্ষম নয়। এর ফলে, অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এআই মানবিক শিল্পের ঐতিহ্যকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এবং শিল্পীদের কর্মসংস্থান কমাতে পারে।
অন্যদিকে, অনেকে এআই-কে একটি সহায়ক হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, যা শিল্পীদের তাদের সৃষ্টিকে আরও গভীর ও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করছে। সামগ্রিকভাবে, এআই ও সৃজনশীলতার মেলবন্ধন মানবিক শিল্পের পরিধি এবং অভিজ্ঞতাকে আরও বিস্তৃত করছে, যা ভবিষ্যতে সৃজনশীলতার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।