একটি অসমাপ্ত গল্প

ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব যা বেচে থাকে চিরদিন সবার মনে।

সাদ্দিদ আর সারিন একে অপরকে অনেক ভালোবাসতো। তাদের পরিচয় হয় রোদ্দেলা দুপুরে। প্রথম দেখাতেই শুরু হয় তাদের ঝগরা আর শয়তানি করা। তারা দুজনেই সারাদিন ঝগরা করতো। তাদের দেখা বা কথা হলেই ঝগরা শুরু হতো। আর এই রকম ভাবে ঝগড়া আর শয়তানির মাঝে সারিন সাদ্দিদকে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলে। সারিন নিজের থেকে বেশি সাদ্দিদকে ভালোবাসে।সারিন তার মনের কথাটা চাপা রাখতে পারছিলো না যে ও সাদ্দিদকে ভালোবাসে। তাই হঠাৎ একদিন সাদ্দিদকে বলে ফেলে আমি তোমাকে ভালোবাসি।সারিনের কথাটা শুনে সাদ্দিদ একে বারে নিশ্চুপ হয়ে যায়। কোন উওর দেয় না সারিনকে। তাই সারিন সাদ্দিদ এর সাথে আর কথা বলে না সারিনের কথা না বলাতে সাদ্দিদ ও অনেক অস্থিরতা অনুভব করে। আর সারিনকে খুজতে থাকে কিন্তু সে সারিনকে খুজে পাচ্ছিলো না। প্রায় ১৭ দিন পরে হঠাৎ সাদ্দিদ সারিনকে দেখতে পেলো আর দেখা মাএই ছুটে গেলো সারিনের কাছে আর গিয়ে দেখে সারিনের হাতে চকলেট ও একা রাস্তায় হাঠতে ছিলো ঠিক সেই রাস্তায় যেখানে ওরা ঝগড়া করতো । সাদ্দিদ কিছু না বলেই সারিনকে ধাপ করে একটা চড় বসিয়ে দিলো গালে। রাগি রাগি অবস্থায় বলল এতো দিন কোথায় ছিলা হুমমম। সারিন বলল তুমিতো ওই দিন কোনো উওর দিলে না আমার কথার । তখন সাদ্দিদ সারিনকে জরিয়ে ধরে বললো তোমাকে প্রথম দিন দেখেই খুব ভালোবেসে ফেলে ছিলামরে পাগলী । আর সেই দিন থেকেই ওদের মাঝে নতুন আবির্ভাব ঘটে এক ভালোবাসার গল্প। ওদের দুজেনের ভালোবাসা ছিলো খুব মধুর। আর এই মধুর ভালোবায় জড়িয়ে ছিলো কিছু রাগ অভিমান ঝগড়া দুষ্টুমী যার মাঝে ওদের ভালোবাসা আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ছিলো।সারিন সাদ্দিদকে খুব ভালোবাসতো কিন্তু তা সাদ্দিদকে বুঝতে দিত না।সারিন ছিলো খুব দুষ্টু তাই সব সময় দুষ্টুমী করতো।রাগ অভিমান দুষ্টুমী করতে করতে এক বছর কেটে গেলো সাদ্দিদ সারিন তা বুঝতেই পারলো না। হঠাৎ সারিন দুষ্টুমী করতে করতে সাদ্দিদ এর best friend সাথে ফাজলামি করে এর জন্য সাদ্দিদ সারিন এর সাথে অনেক রাগ করে কিন্তু সাদ্দিদ তো সারিন কে খুব ভালোবাসতো তাই সারিনের সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না। কিন্তু তবুও সাদ্দিদ সারিনকে খুব বকা বকি করতো ওর friend এর জন্য,,আর তাই সে দিন এর পর থেকে সারিন দুষ্টু করা বন্ধ করে দেয় সারাহ্মন চুপ চাপ থাকতে শুরু করে। একদম শান্ত যা দেখে সাদ্দিদ ও অনেক কষ্ট পায়।তাই সাদ্দিদ সারিনকে আগের মতো দুষ্টু বানানোর জন্য অনেক কিছু করতো কিন্তু সারিন কোন কিছুতেই আগের মত হয়ে ওঠতে পারছিলো না।সারিন এর চুপচাপ থাকার মূল কারন ছিলো ফারহানা।ফারহানা সারিনের ক্লাস মেট ছিলো।এ দিকে আবার ফারহানাও সাদ্দিদ কে পছন্দ করতো তাই ও সারিনকে অনেক খারাপ কথা বলতো। আর এসব কথা সাদ্দিদ জানতে পারলো সারিনের best friend মীমের কাছে। আর সারিনের আরেক friend তানজুর কাছে।এসব কথা শুনে সাদ্দিদ ফারহানাকে অনেক অপমান করে আর বলে সারিনের চোখে এক ফোটা পানি আসলে তাহলে ও সব কিছু শেষ করে ফেলবে.।আর এজন্য ফারহানা সারিনের কাছে হ্মমা চাই। তবুও সারিম চুপ করে থাকতো।একদিন সাদ্দিদ সারিনকে ঘুরতে নিয়ে যায়।সে দিন সারিন সাদ্দিদকে বলে আমি মরে গেলে তুমি কি করবে।সাদ্দিদ কথাটা শুনে কিছুহ্মন চুপ করে থাকে।তার পর বলে তুমি মরে গেলে আমিও এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব তুমিই আমার সব..তখম সাদ্দিদ সারিনের কপালে চুমু দিয়ে বলে আর কোনোদিন মরার কথা মুখেও আনবা না।এ কথা সারিন বলে আমি কি আজীবন বেচে থাকবো নাকি।একদিন না একদিন তো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতেই হবে।সাদ্দিদ সারিন এর মুখ চেপে ধরে বলে,, হুমম হয়ছে আমার পাগলী অনেক কিছু বলে ফেলছো আর পাকনামী করতে হবে না।সাদ্দিদ আর সারিনের মন খারাপের চাপটার একটু উল্টায়লো।ওদের সম্পকটা আবার আগের মত হাসি খুশি হয়ে ওঠলো।কিন্তু তবুও সারিন সাদ্দিদকে একটাই প্রশ্ন বার বার করতো,,আমি মরে গেলে তুমি কি করবা।সাদ্দিদ এর উওর ছিলো মরলেই বুঝতে পারবা.. একদিন সাদ্দিদ সারিনকে বললো গ্রামে যেতে হবে আম্মু যেতে বলছে। সারিন দুষ্টুমী করে বলে যদি তোমার বিয়ে দিয়ে দেয় তাহলে দাওয়াত দিতে ভূলো না যেনো। সাদ্দিদ গ্রামে যাবার দিন গাড়িতে বসে সারিনের সাথে phone এ অনেক কথা বলে । গ্রামে যাওয়ার প্রায় দুইদিন ধরে সাদ্দিদ এর best friend এর সাথে অনেক মজা করে সারিন।সাদ্দিদ ও তার best friend দের সাথে মিলে যুক্তি করে সারিনের সাথে মজা করার জন্য যেমন টা সারিন মোর্শেদের সাথে করেছে । মোর্শেদ সারিনকে call করে বলে সাদ্দিদ আর এই পৃথিবীতে নেই ও আমাদের সকলকে ছেড়ে অজানা দেশে চলে গেছে,।সারিন বিশ্বাস করে না মোর্শেদ এর কথা। সারিন মোর্শেদকে বলে আমি আপনার সাথে মজা করছি বলে আপনি ও আমার সাথে মজা করতেছেন। দয়া করে এসব কথা বলবেন না প্লিজ.... তবু ও মোর্শেদ বলে না আমি সত্যি বলছি সাদ্দিদ আর নেই।সাদ্দিদ এর সব friends রা সারিনকে এই একি কথা বলে যে সাদ্দিদ আর নেই।এই কথাটা সারিন মীম আর তানজুকে বলে।সেই দিন সারিন সারাটা দিনন কান্না করে. সারিন কিছুতেই বিশ্বাস করে না যে সাদ্দিদ আর পৃথিবীতে নেই।সারিন সাদ্দিদের ফোনে অনেকবার call করে...আর বার বার callটা সাদ্দিদ এর বন্ধুরাই ধরে।রাত১২ টার পরে সারিম সাদ্দিদ এর ফোনে একটা message পাঠায় আর তাতে লেখা ছিলো sorry আমার সাথে এই মজাটা নাই বা করতে পারতা।কিন্তু এরকম মজা করে তুমি ভুল করলে। যাই হক আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি কিন্তু মুখে বলি নাই বা তোমাকে বুঝতেও দেই নাই।যদি কখনো ভুল করে থাকি আমাকে মাফ করে দিও।নিজের যন্ত নিও সব সময় হাসি খুশি থাকবা আর যদি সময় পাও আমাকে একটু miss কইরো। মীম সারিনের খুব ভালো friend ছিলো তাই সারিন মীম কে sorry বলে তোর ডাইরিটা আমি লিখে দিতে পারলাম না আমাকে মাফ করে দিস।পরের দিনন সকালে সূর্য ওঠতে সবাই জানতে পারে সারিন আর বেচে নেই ও এ পৃথিবী ত্যাগ করছে।মীম সাদ্দিদকে callদিয়ে বলে আপনার মজার পরিনামটা শুনেন মীম কান্না শুরে বলে সারিন আর নেই ভাইয়া..সাদ্দিদ কথাটা শুনেই বিশ্বাস করে কারন কাল রাতে সারিনের দেওয়া message টা সাদ্দিদ দেখে ছিলো। এবং সারারাত ছটফট করে একটুও ঘুমাতে পারে নাই সারাহ্মন সারিনের কথা ভেবেছে।সাদ্দিদ এর friend রা বুঝতে পারলো সারিন সাদ্দিদকে কতোটা ভালোবাসতো এবং এরকম মজা করলে তার পরিনাম কি হয়।সাদ্দিদ সারিনকে শেষ বারের মত দেখতে পারলো না। সারিন এর মরার কথা শুনে সাদ্দিদ পাগলের মতো ছুটে আশে গ্রাম থেকে ঢাকা। ওর সাথে ওর সব friends রা ও আশে।সাদ্দিদ এসে মীম আর তানজুর সাথে দেখা করে।আর সবাই একটাই কথাবলে সারিনের message টার মানে আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারিনি যে সারিন সত্যি সত্যি এমনটা করবে। মীম রেগে গিয়ে বলে এখন তো বুঝতে পারছেন আপনাদের এই মজার জন্য সারিন এই পৃথিবীতে আর নেই ও আমাদের সবাইকে ছেড়ে অজানা দেশে চলে গেছে। সারিন সাদ্দিদকে কতোটা ভালোবাসতো সবটাই মীম জানতে মীম সাদ্দিদকে একটা চিরকুট আর বক্স দিলো সাদ্দিদ চিরকুটটি খুলে দেখলো সাদ্দিদের পছন্দ মতো কিনা সব gift রাখা আছে আর তার মধ্যে লেখা আছে I Love You Jann.....মীম সাদ্দিদকে সারিনের কবরের কাছে নিয়ে যায়। সাদ্দিদ কান্না করতে করতে সারিনের কবরের পাশে বসে পরে আর চিৎকার করে বলে সারিন আমি তোমাকে ছারা বাচবো না। তখন সাদ্দিদ এর friends রা সাদ্দিদকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আশে । সেই দিন রাতে সাদ্দিদ ও আত্মহত্যা করে ঠিক সারিনের মতোই । আর মীমকে একটা message দিয়ে বলে sorry আপু আমাকে হ্মমা করে দিও তোমার কাছ থেকে তোমার best friend কে কেড়ে নেওয়ার জন্য। সাদ্দিদ আর সারিন দুজনেই এ পৃথিবীর মায়া ত্যগ করে অজানা দেশে চলে যায়।ওদের দুজনের কবর পাশা পাশি দেওয়া হয়।সাদ্দিদ এর best friends রা খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারে মজা করার পরিনাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে।সাদ্দিদ আর সারিনের মৃত্যুতে মীম ও অনেকটা একা হয়ে পরে তানজুও তার পর গ্রামের বাড়ি চলে যায়।মীম সারিন আর সাদ্দিদ এর সৃতি গুলো খুব যন্তে আগলে রাখে কারন মীম সারিনের আত্মার বান্ধবী আর সারিন মীম আত্মার বান্ধবী ছিলো।আর সাদ্দিদ ও মীম কে দুষ্টুমী করে baby আর তানজুকে janu বলতো।এর পর থেকে মীমম বিষ এর নাম শুনলে অনেকটা ভয়ে পেয়ে যেত কারন সাদ্দিদ আর সারিন বিষ খেয়েই আত্মহত্যা করে।মীম জানতো সারিনের মতত friend ওর জীবনে আর কখনো হবে না বা পাবেও না...

 

 গল্পটা পড়ে বুঝতে পারবেন মজা করার পরিনামটা কি হতে পারে বা কি হয়।তাই দয়া করে কেউ এরকম মজা করবেন না..মজা করার আগে হাজার বার ভেবে নিবেন তার পরিনাম যেনে এরকম ভয়াবহ না হয়...


Abdul Aziz

33 Blog posts

Comments