পানিতে কালা গাছ" বলতে সাধারণত এমন গাছকে বোঝানো হয় যেগুলো পানিতে বা জলাশয়ের আশেপাশে জন্মে এবং যেগুলোকে "কালা গাছ" নামে ডাকা হয়। এই ধরনের গাছগুলো সাধারণত জলাভূমিতে বা নদীর পাড়ে পাওয়া যায়। তবে বাংলায় "কালা গাছ" নামে বিশেষ কোনো উদ্ভিদের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশেষ কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
পানিতে কালা গাছ বলতে আমরা এমন কিছু গাছকে বুঝি, যা সাধারণত পানির ধারে বা জলাশয়ে জন্মায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জলাভূমি এবং নদীর পাড়ে এমন অনেক ধরনের গাছ পাওয়া যায় যেগুলো পানির মধ্যে নিজেদের জায়গা করে নেয়। এ ধরনের গাছগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
জলাশয় বা নদীর ধারে জন্মানো কালা গাছের শিকড় পানির নিচে থাকে, যা মাটিকে ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এই গাছগুলো পানিতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপাদান শোষণ করে এবং পানি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। জলজ উদ্ভিদের মধ্যে যেমন শাপলা, পদ্ম, হিজল, করচ ইত্যাদি গাছের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া, পানিতে জন্মানো গাছগুলো প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং অনেক জীবজন্তুর আবাসস্থল তৈরি করে। এই গাছগুলো পরিবেশের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে এ ধরনের গাছকে 'কালা গাছ' নামে অভিহিত করা হতে পারে, তবে এই নামটি আঞ্চলিক এবং বিশেষভাবে কোনো গাছকে বোঝাতে ব্যবহার হয় কিনা, তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।