উদ্দেশ্য অনুযায়ী সফরের হুকুম বর্তায়ঃ
অর্থাৎঃ কোন হা|রাম বা নিষিদ্ধ কাজের জন্য সফর করা
হা|রাম। জায়েজ কাজের জন্য জায়েজ! সূন্নাত কাজের জন্য সুন্নাত এবং ফরয কাজের জন্য ফরয! যেমনঃ ফরয হাজ্জ্বের জন্য সফর করাও ফরয! যি|হাদ ও বাণ্যিজের জণ্য সফর করা সূন্নাত! কেননা এসব কাজ সূন্নাত! হুযূরে পাক সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম রওযা পাক যিয়ারতের
উদ্দ্যেশ সফর করা ওয়াযিব! কেননা এ যিয়ারত ওয়াযিব! বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাত করা, আত্নীয়-স্বজনদের খোঁজ-খবর নেয়া এবং কারো বিবাহশাদী ও খতনা ইত্যাদি অনুষ্ঠানের যোগদান। করা এবং চিকিৎসার জন্য সফর করা জায়েয! কেননা এগুলো সবই জায়েয কাজ। অনুরূপ ভাবে
চুরি-ডাকাতির জন্য সফর করা হা|রাম!
■■ মোট কথা হলো, সফরের হুকুমটা জানতে হলে, প্রথমে এর মকসুদ কিংবা উদ্দেশ্য সম্পর্কে জেনে নিতে হবে! মুলতঃ কবর যিয়ারত করা হচ্ছে সূন্নাত! সুতরাং কবর যিয়ারতে জন্য সফর করাটাও সূন্নাত বলে বিবেচ্য হবে!
■■ কুরআনুল কারীমে অনেক ধরণের সফর প্রমানিত আছে! যেমনঃ
●● হিজরতের উদ্দেশ্যে সফর করা, ইরশাদ হচ্ছেঃ
ﻭَﻣَﻦْ ﻳُّﺨْﺮُﺝُ ﻣِﻦْ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﻣُﻬَﺎﺟًﺮﺍ ﺍِﻟَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟِﻪِ ﺛُﻢَّ
ﻳُﺪْﺭِﻛْﻬُﺎﻟْﻤَﻮْﺕُ ﻓَﻘَﺪْ ﻭَﻗَﻊَ ﺍَﺟْﺮُﻩ ‘ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ
-------"যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং রসূলের উদ্দেশ্য নিজ গৃহ থেকে মুহাজির হয়ে বের হলো এবং (পথে) তার মৃত্যু ঘটলো, তার পুরষ্কার আল্লাহর কাছে অবধারিত হয়ে গেলো!"
■ এ পবিত্র আয়াতের মাধ্যমে হিজরত উপলক্ষে সফর বৈধ বা জায়েজ তা প্রমানিত হলো!!
●● বানিজ্যের জন্য সফর করা, ইরশাদ হচ্ছেঃ
ﻟِﺎِﻳْﻠَﻒِ ﻗُﺮَﻳْﺶٍ ﺍِﻟَﻔِﻬِﻤْﺮِ ﺣْﻠَﺔَ ﺍﻟﺸِّﺘَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟﺼَّﻴْﻒِ .
-------"যেহেতু কুরাইশের আসক্তি আছে । আসক্তি আছে তাদের শীত এবং গ্রীষ্মে সফরের!"
■ এ পবিত্র আয়াতে মাধ্যমে বাণ্যিজের উদ্দেশের সফর করা বৈধ বা জায়েজ তা প্রমাণিত হলো!!
●● পীর-মাশায়েখ বা সম্মানিত ও বুজুর্গগণের সাথে সাক্ষাত করার জন্য সফর করা, ইরশাদ হচ্ছেঃ
ﺍﺫْ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﻮْﺳَﻰ ﻟِﻔَﺘَﺎﻩُ ﻟَﺎﺍَﺑْﺮَﺡُ ﺣَﺘَّﻰ ﺍَﺑْﻠُﻎَ ﻣَﺠْﻤَﻊَ ﺍﻟْﺒَﺤْﺮَﻳْﻦِ ﺍَﻭْ
ﺍَﻣْﻀِﻰَ ﺣُﻘُﺒَﺎ .
-------"স্বরণ করুন যখন মুসা(আঃ) নিজের খাদিমকে
বললেন- আমি ততক্ষন র্পযন্ত বিরত হবো না, যতক্ষণ না সেখানে পৌছাব, যেথায় দু’টি সমুদ্র মিলিত হয়েছে!" হযরত মুসা(আঃ) আল্লাহর হুকুমে হযরত (আঃ) এর সাথে সাক্ষাত করার জন্য তথায় গিয়েছিলেন।
■ এ পবিত্র আয়াতের মাধ্যমে পীর-মাশায়েখ বা সম্মানিত ও বুজুর্গগণের সাথে দেখা-সাক্ষাত করার উদ্দেশ্যে সফর করা বৈধ বা জায়েজ তা প্রমাণিত হলো!!
●● কারও খোঁজ-খবর জানার জন্য বা কারও সন্ধান
পাবার বা জানার জন্য সফর করা, ইরশাদ হচ্ছেঃ
ﻳَﺎ ﺑُﻨَﻰَّ ﺍِﺫَﻫَﺒُﻮْﺍ ﻓَﺘَﺤَﺴَّﺴُﻮْﺍ ﻣِﻦْ ﻳُّﻮْﺳَﻒَ ﻭَﺍَﺧِﻴْﻪِ ﻭَﻟَﺎﺗَﻴْﺌَﺴُﻮْﺍ
ﻣِﻦْ ﺭُّﻭْﺡِ ﺍﻟﻠﻪِ
-------"(ইয়াকুব(আঃ) তাঁর সন্তানদের বললেন) হে আমার পুত্রগণ! ইউসুফ ও তার ভাইয়ের অনুসন্ধান কর এবং মহান আল্লাহর রহমাত হতে নিরাশ হইও না!" হযরত ইয়াকুব (আঃ) তাঁর অন্যান্য হযরত ইউসুফ(আঃ) এর সন্ধান করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন!
■ এ পবিত্র আয়াতের মাধ্যমে কারও কোন প্রিয়জনদের সন্ধানের জন্য বা খোঁজ-খবর নেবার বা সংগ্রহ করার জন্য সফর করা বৈধ বা জায়েজ তা প্রমাণিত হলো!!!