ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা আধুনিক প্রযুক্তি যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ডেটা অনলাইনে শেয়ার করা হয়, যার মধ্যে ব্যক্তিগত, আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ডেটাগুলো সঠিকভাবে সুরক্ষিত না হলে, হ্যাকার ও সাইবার অপরাধীরা সেই তথ্য চুরি করতে পারে, যার ফলে ব্যক্তিগত ক্ষতি ও আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডেটা প্রাইভেসি হলো ব্যক্তিগত তথ্যের সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের অধিকার, যেখানে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া তার তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে যেতে পারে না। অন্যদিকে, ডেটা সুরক্ষা বা নিরাপত্তা হলো এই তথ্যগুলোকে সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি, এবং অবৈধ প্রবেশ থেকে রক্ষা করা। নিরাপত্তার জন্য এনক্রিপশন, পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা, এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহৃত হয়।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়, যেমন ডেটা এনক্রিপশন, নিয়মিত সিস্টেম আপডেট এবং নিরাপত্তা পরীক্ষা। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, সন্দেহজনক লিঙ্ক থেকে দূরে থাকা এবং প্রাইভেসি সেটিংস সঠিকভাবে ব্যবহার করার মতো বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত। সঠিক ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া সাইবার জগতে নিরাপদ থাকা প্রায় অসম্ভব।