হেমন্তকাল বাংলাদেশের ষড়ঋতুর মধ্যে একটি মনোরম ঋতু, যা কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে বিরাজ করে। শরতের শেষ এবং শীতের শুরু এই ঋতুতে ঘটে, ফলে প্রকৃতিতে আসে এক নীরব পরিবর্তন। গরম কমে আসতে শুরু করে, আর বাতাসে থাকে হালকা শীতল অনুভূতি। কৃষকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ এ সময় মাঠে পাকা ধানের মৌমাছির মতো সোনালি আভা দেখা যায়। ধান কাটার উৎসব বা নবান্ন এ সময়ের প্রধান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজন।
হেমন্তে গাছের পাতা ঝরে যায়, আর প্রকৃতিতে তৈরি হয় এক নতুন রূপ। নদীর জল কমে আসে, খাল-বিল শুকিয়ে যায়, এবং মাছ ধরার মৌসুমও জমে ওঠে। বাংলার গ্রামাঞ্চলে এই সময়ের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ মানুষকে নতুন উদ্যমে ভরে তোলে।
এছাড়া হেমন্তের সন্ধ্যা ও ভোরের সময় প্রকৃতিতে এক ধোঁয়াশা ভাব বিরাজ করে, যা এই ঋতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই ঋতু প্রকৃতির মাধুর্য আর ফসলের সোনালি আভা নিয়ে আসে, যা বাংলার মানুষকে এক অনন্য আনন্দে ভাসায়।