রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মাধ্যমে শুরু হয়, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুতর সামরিক সংঘাত। রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ দাবি করে এবং ন্যাটোর সম্প্রসারণকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এই আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের অসংখ্য শহর ধ্বংস হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন ও শরণার্থী হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করছে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এই যুদ্ধ বৈশ্বিক জ্বালানি ও খাদ্য সংকটও বৃদ্ধি করেছে। বিশেষত, রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিশ্বব্যাপী গম ও তেল সরবরাহের প্রধান উৎস হওয়ায় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।
যুদ্ধ এখনও চলমান, এবং এর সমাধান বা কোনো চুক্তির ইঙ্গিত এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, এই সংঘাত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।