বন্ধুত্বর শ্রেনীবিন্যাস

Comments · 4 Views

আমাদের জীবনে বন্ধুর শেষ নেই
কত বন্ধু এলো গেলো
কত বন্ধু আসছে আরো।
আরো কত বন্ধু হবে কে বা জানে তা?

আমার যে বন্ধু বুঝে ফেলেছিল আমায়, আমি তার থেকে দূরত্ব নিয়েছি আলগোছে। খুব গোপনে। অমন যত্ন করে সুতোয় টেনে মেঘ বোনা হয় না কোনো নরম কাঁথায়। খুব র’য়ে সয়ে সব সুতো খুলে নিয়েছি আমি। আমি আমার ঐ বন্ধু থেকেও সরে এসেছি বহুদূর, যে আমায় জেনে ফেলেছিল। যে আমায় দেখে ফেলেছিল খুব। আমায় চিনে ফেলেছিল একদিন। আমরা মায়ের মতো বন্ধু খুঁজি আজীবন। কোলে মাথা রেখে, চুলে বিলি কেটে কিংবা ব্রিজের হাতলে বসে সিগারেট ভাগাভাগি করে নিতে যেয়ে দুঃসহ স্মৃতি সবটুকুনও অল্প অল্প করে ভাগ করে নিতে পারে যারা। যারা কোনো উপায় খুঁজে দেয় না, আশ্বাস দেয় না, দেয় না কোনো সান্ত্বনাও। যারা শুধু শোনে। যারা শুধু শুনে যায় একটি গাছের মতোন। যতক্ষণ না আমরা হালকা হই। ততক্ষণ, যতক্ষণ না বলতে বলতে আমাদের শরীর থেকে এক এক করে খসে পড়তে থাকে সোনালী দুঃখ সব।

.

আমি খুঁজিনি। হয়তোবা ভয়ে, আমি খুঁজিনি ওরকম। বরং যারাই আমায় বুঝতে শিখেছে, আমি দৌড়ে পালিয়েছি তাদের থেকে। যারা একটু উঁকি দিয়েই খুঁজে পেয়েছিল একশো রাত্তির আমার, আমি পালিয়েছি তাদের থেকেও। আমি হতে চেয়েছি একটা বৃক্ষ। নতুন বন্ধু জুটেছে ঢের। নতুন মানুষ। ওরা আমায় দেখে সুখী। ওরা কথা বলার সময় একসঙ্গে বেজে উঠে একশো নুপুর। ওরা কথা বলতে বলতে ভেঙে পড়ে, ওদের চোখ ভিজে যায়, একেক দুপুরে ওরা প্রকাশ হয়ে পড়ে খুব। ওরা জানায়, ওদের একশো রাত্তিরের গল্প। ওরা গলা টিপে মেরেছিল যাদের অথবা যারা বালিশ চাপা দিয়ে একটু একটু করে মেরেছে তাদের। আমি সহস্র খুনের গল্প শুনি। আত্মহত্যার গল্প। চুমুর গল্প। ক্ষত’র গল্প। শব্দ শুনি। আমার কোনো গল্প নেই।

.

যে বন্ধু আমার গল্প জেনে ফেলেছিল, আমি তার পাশ ঘেঁষিনি কোনোদিন আর। আমার ভেতর উঁকি দিয়ে যে আমায় দেখে ফেলেছিল, আমি তার মুখোমুখি হতে ভয় পাই। তাকে আমার আয়না মনে হয়। অথবা আমি তাকে নয়, ঐ আয়নাকে ভয় পাই। ওটি আমায় ফিসফিস করে জানান দেয়, এক রাত্তিরে তুমি কেঁদেছিলে খুব। তুমি অসহায় হয়ে পড়েছিলে। তুমি হারিয়ে ফেলেছিলে সোনার নুপুর। তোমার বুক ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল খুব। তুমি ঝরঝর করে কান্না করতে করতে বলেছিলে, তোমার কেউ নেই। তোমার বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে। তুমি আর কোনোদিন ফুল কুড়োতে পারবে না সকাল বেলা। তোমার আর কোনোদিন মাছের ঘ্রাণ শুঁকতে ইচ্ছে করবে না। তুমি আর কোনোদিন মিশতে পারবে না কারো সাথে। তোমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। তুমি একটা বৃত্তে আটকে গেছো। ঐ বৃত্তের বাইরে পা রাখতে পারবে না কোনোদিন একদম।

.

যে বন্ধু একদিন জেনে ফেলেছিল, আমিও ভাঙ্গতে পারি, আমি তার থেকে দূরত্ব নিয়েছি একশো মাইল। ঐ দূরত্ব অবধি আমায় ফিসফিস করে জানান দেয় আজও, তুমি ভেঙেছিলে একদিন। তুমি ভেঙেছিলে টুকরো টুকরো হয়ে। তোমার ইগো টাঙিয়েছিলে কৈলাস পর্বত চূড়োয়। তুমি গলে গিয়েছিলে যাচ্ছেতাই রকম। তুমি ক্ষমা চেয়েছিলে বারংবার। তুমি আঁকড়ে ধরেছিলে হাত। তুমি বেহায়া হয়ে উঠেছিলে খুব। নির্লজ্জ্ব। বেশরম। আমি আমার ঐ বন্ধু থেকে টুপ করে লুকিয়ে গিয়েছি, যে দেখে ফেলেছিল আমার ভাঙ্গাচূড়ো হাজার খানেক টুকরো। আর কুড়িয়ে নিয়েছিল রাত জেগে সব। সন্তর্পণে।

.

অমন না যে, আমার কোনো অপরাধবোধ নেই। আছে। প্রচুর। আমি ওদের ভালোবাসি। ওদের ছেড়ে আসায় আমার গর্ব হয়নি কোনোদিন। আমি ওদের খুব ভালোবেসেছি। আমার শুধু নগ্ন হতে ভয়। আমায় একটুকুনও দেখে ফেলেছে যারা, আমি তাদের নিকট দাঁড়াতে পারি না। ওরা কখনই বলে না। ওরা কখনই দাবী করে না তারা আমায় চেনে। জানে। শুধু ওরা সামনে এসে দাঁড়ালে আমার কান্না পায়। আমার কোথাও ফাঁকা লাগে। কোথাও একটা ভারী পাথর নড়েচড়ে চেপে বসে ফের। দমবন্ধ হয়ে আসে। আমি ওদের জানাতে পারি না, কখনও সখনও আমার একলা লাগে খুব। আমার ইচ্ছে করে ওদের পাশে বসি। সিগারেট নিই একটা। ওরা গান করে। আমার ইচ্ছে করে একটু সুর মেলাই। ওরা বৃষ্টি দেখে, আমার ইচ্ছে করে হাত বুলিয়ে সঙ্গ দিই তাদের। ওরা গল্প বলে যায়, শত শত গল্প। কোন ফড়িং-এর ডানা ভাঙ্গলো সদ্য, কোন মাঠের ঘাস সবচেয়ে সবুজ কিংবা কিয়োরোস্তামির টেস্ট অফ চেরি। আমার ইচ্ছে করে ওদের কাঁধে মাথা রাখি। চোখে যা জমে আছে, খুলে দিই বাঁধ, ভেজা স্বরে জিজ্ঞেস করি, তোমরা কী করে নগ্ন হও অত সহজে? তোমরা কী করে গল্প বলো? তোমরা কী করে বৃত্ত ভাঙ্গো? আমায় একটু সাহায্য করো। আমি কোথাও আটকে গেছি। আমার ইচ্ছে করে মুড়ি খেতে খেতে ওদের মতোন হেঁচকি দিই। চুল আঁচড়াই। উকুন মারি। কত সহজেই ওরা যাপন করে জীবন। প্রেমে পড়ে। ভালোবাসে। নগ্ন হয়। চুমু খায়। বিচ্ছেদ ঘটায়। ছেড়ে আসে। নতুন করে ফের একবার প্রেমে পড়ে। ভালোবাসে।

.

আমি আমার দুঃখী গল্পগুলো মুড়িয়ে রাখি। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে শুকোতে দিই রোদে। উলটে পালটে দিই। স্যাঁতসেঁতে গন্ধ কমুক। ক্ষত শুকিয়ে যাক কড়া তাপের ছ্বটায়। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, যে হাত আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিল অনেকবার, তাকে চমকে দিয়ে ঐ হাতের আঙুলের সব ক’টা ফাঁক বুজে দিই আচমকা একদিন। কাঁধে মাথা রাখি তার। ঘাড়ে চুমু খেয়ে বলি, তুমি আমায় টেনে তুলো কুয়ো থেকে। আমার কোনো রাস্তা নেই। তার ছলছল চোখজোড়ায় সপ্তলোকের দুয়ার। ইচ্ছে করে, আজন্ম প্রস্ফুটিত ঐ শুদ্ধ নয়নতারার কোলে শুয়ে চোখ বুজি একবার। ঘুমিয়ে যাই। ইচ্ছেই করে শুধু, হয়ে উঠে না কিছু। আমার ইচ্ছেরা জেগে থাকে সব। আমি আলগোছে ওদের ঘুম পাড়াই।

এখন আমার বন্ধুর অভাব নেই কতশত বন্ধু হয়েছে আমার

মিনি মিকি তুত্তু,, কতশত গাছ ফুল ফল,

রাতের তারা মেঘ বৃষ্টি পাখির কিচিরমিচির,, বাতাসের হাওয়া,,, চাঁদ,, 

মাঠের সবুজ ঘাস,,আমার বন্ধু পুর্তলিকা 

নয়নের নয়ন তারা,সকাল সন্ধ্যা, মাধবিলতা,,মালবেরি আর আমড়া চারা,,,জামরুল আর কাঠগোলাপ,ড্রাগন আর লালা গোলাপ,,,,সাদা গোলাপ আর রাইবেলি,,পার্পেলহার্ট আর খয়রী কাঠগোলাপ,,,পুদিনা আর ধনেপাতার স্বাদ আহা মুড়ি মাখায় বন্ধুর স্বাদ,,,

বেবিটির্য়াস আর নাগচাপা,,টগর আর  মশরোস,খরগোশ ও আছে বন্ধু লিষ্টে,,চন্দ্রমল্লিকা আবার কোথায় গেলো স্ট্রবেরির কি মন খারাপ?দেড়ি করে নাম ডাকা হলো হাজিরা দিতে আড়ি। 

কাটামুকুট ও বাহারি বাহারি টিয়ামুকুট ডক্টর র: রঙ্গনা আরো কতশত বাহারি নামের বন্ধু আছে আমার।এডোমিনিয়াম,অপরাজিতা,,আড়ংগ আর পেঁপে গাছ,,পেঁপে গাছে আমার সিমের বন্ধু কে ওদের মাঝে আসবে বলে ভাই?

আজ কতশত বন্ধুর বাহার নিয়ে গল্প করলাম,,, কেউ বুঝি আবার নজর দিও না

লাজে মরে যায়???।

সত্যি বলতে আমার কাছে গাছপালা আর প্রকৃতি এখন আমার বন্ধু। 

ওরা আমার মন বুঝে সময় মত ঠিক ভাবে আমার কাছে নিজের অস্তিত্ব তুলে ধরে সিজন অনু্যয়ী আমাকে কখনো নিরাশ করেনি আমাকে ঠকায়নি,,

প্রিয় প্রকৃতি?

Comments
Read more