বিচ্ছেদের আড়াই বছর

Comments · 7 Views

ভালোবাসার হার মেনে
আমাদের বিচ্ছেদ টা হয়।

বিচ্ছেদের আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে। আজ, এতোদিন পর অবন্তী আমাকে মেসেজ করল। আমার বিয়ের খবর জানতে পেরে!

 

" আপনার বিয়েতে আমাকে দাওয়াত করবেন না?"

 

তার এমন প্রশ্নে একটু অবাকই হলাম। উত্তরে লিখলাম," দাওয়াত করলে আপনি আসবেন?"

 

" নিশ্চয়ই আসবো। আপনার বিয়েতে আসার কত স্বপ্ন দেখেছি আমি জানেন?"

 

এবার একটু না, অনেকটা অবাক হলাম। বলতে ইচ্ছে করল, " আমার বিয়েতে আসার স্বপ্ন তুমি নিশ্চয়ই দেখেছিলে অবন্তী। তবে মেহমান হিসেবে নয়, আমার বউ হিসেবে। সেখানে অন্যকাউকে আমার জন্য বউসাজে দেখলে তোমার ক*ষ্ট হবে না তো? "

 

ম্যাসেজটা টাইপ করেও আবার কে*'টে দিলাম। মাঝে মাঝে সম্পর্কগুলো এমন এক অবস্থায় এসে দাঁড়ায় যে মনের কোনো কথাই আর বলা যায় না। বলতে হয় যুক্তিসঙ্গত বাস্তবিক কথা। আমিও তাই বললাম," তাহলে তো আপনাকে সবার আগে দাওয়াত করতে হয়। আসলে বিয়ের কার্ড এখনও রেডি হয়নি। আপনার কথা মাথায় থাকবে। ছাপাখানা থেকে সরাসরি আপনার বাড়িতে কার্ড যাবে। স্পেশাল গেস্ট বলে কথা!"

 

" স্পেশাল গেস্ট কেন?" অবন্তীর সোজাসাপ্টা প্রশ্ন। আমি জবাব দিলাম নির্দ্বিধায়," যে আমার বিয়েতে আসার স্বপ্ন অনেক দিন ধরে পুষে রাখে তাকে স্পেশাল গেস্ট হিসেবে ট্রিট করা আমার দায়িত্ব! আপনার জন্য থাকবে ডাবল রোস্ট, ডাবল কাবাব, ডাবল ডিম।"

 

" আমি কি আপনার বিয়েতে শুধু খেতেই আসবো রাজ?"

 

" তাহলে কেন আসবেন?"

 

" আপনার কি মনে হয়?"

 

এবার একটু ভয়ই পেলাম। অবন্তী কি যেন টাইপ করছে তখনও। আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে গেলাম না আর। অপেক্ষায় ছিলাম। একমিনিট পর অবন্তী লিখল,

 

" ভয় পেলেন নাকি? আরে ভয়ের কিছু নেই। আপনার বিয়েতে বাগড়া দিতে আসবো না। অতোটা ছেলেমানুষী এখন আর আমার মধ্যে নেই।"

 

কিছুটা মনখারাপ হলো। মনে হচ্ছিল, অবন্তীর মধ্যে ছেলেমানুষী থাকা দরকার। তার মানে এই নয় যে আমি নিজের বিয়ে ভাঙুক; এটা চাই। আসলে অবন্তী আমাকে ভুলে যাচ্ছে এই ব্যাপারটা আমি মানতে পারি না। অথচ নিজে দিব্যি অবন্তীকে ভুলে দ্বিতীয় নারীকে ভালোবেসেছি। বিয়েও করে নিচ্ছি। কিন্তু সত্যিই কি নীলাকে আমি ভালোবাসতে পেরেছি? হয়তো অবন্তীর মতো নয়। তবে নীলাকে আমি অন্যরকম করে ভালোবাসি। সব রকমের ভালোবাসা তো সবার জন্য নয়। অবন্তীর মনখারাপ হলে আমি উতলা হয়ে উঠতাম। সে আমার উপর রেগে থাকলে রাতে ঘুম হতো না। তার ফোনের আওয়াজ পেলে আমার হৃৎস্পন্দন ত্বরান্বিত হতো। অবন্তীর চোখের পানি আমার চোখেও পানি এনে দিতো। নীলার বেলায় এসব কিছু হয় না। 

 

আমি অবন্তীকে লিখলাম," আমার বিয়েতে এসে আপনি কি করবেন শুনি?"

 

" আমি আপনাকে একটা উপহার দিবো। আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার হতে যাচ্ছে সেটা। আমি হলফ করে বলতে পারবো, বিয়েতে আমার চেয়ে বেস্ট উপহার অন্যকেউ আনতে পারবে না।"

 

 অবন্তী তো প্রথম থেকেই ভীষণ উদাসীন ছিল। তার ওই উদাসীন স্বভাবই আমাকে তার প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছিল। কিন্তু দিনশেষে তার উদাসীনতাই আমার শত্রু হয়ে দাঁড়ালো। আমি অবন্তীকে বদলাতে চাইলাম। ইম ম্যাচিউর, কল্পনায় ডুবে থাকা, আবেগী, বাস্তবজ্ঞানহীন মেয়েটিকে খুব বি*র*ক্ত লাগতো আমার। তাকে ছেড়ে যাওয়ার একটা সুযোগ খুঁজছিল আমার অবচেতন মন। 

 

কিন্তু অবন্তীর ভালোবাসা যেন হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছিল। অবশেষে আমার মুক্তি মিলেছিল। অবন্তীর আত্মসম্মানবোধ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। আমি তাকে ব্রেকাপের কথা বলার পর কিছুদিন সে মারাত্মক পাগলামি শুরু করে। আমি পাত্তা না দিয়ে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম পুরুষ হওয়ার ভূমিকা পালন করলাম। ধীরে ধীরে সেও মেনে নিল।

 

 আর কখনও অবন্তী তার ভালোবাসার দাবী নিয়ে আমার দরজায় পা রাখেনি। আমিও তাকে সুযোগ দেইনি। এভাবেই হয়ে গেল আমাদের বিচ্ছেদ। এর আগে অবন্তীর জীবনে এসেছিল তুমুল ঝড়। অবন্তী হয়তো ভাবে, আমি ঝড়ের ভয়ে তার হাত ছেড়ে পালিয়েছি। কথাটি আংশিক সত্যি। তবে আমি অনুভব করি, আমার মনে অবন্তীর জন্য ভালোবাসার অভাব তো ছিলই। নয়তো কি ওভাবে পালানোর কথা ভাবতাম?

 

অবন্তী সত্যিই আমার বিয়েতে এলো। এতো সুন্দর লাগছিল সেদিন তাকে! আমি তো চিনতেই পারছিলাম না। বন্ধুরা সব তব্দা খেয়ে গেল। আমার প্রায় সকল বন্ধুই অবন্তীকে চেনে। বিপুল তো বলেই বসল," কিরে, এই মাইয়া খবর পাইল কেমনে?"

 

আমি সহজ হেসে বললাম," আমিই দাওয়াত করেছি।"

 

সবাই আরও চমকালো। আঁড়চোখে নীলাকে দেখছিলাম। নীলা কখনোই আমাকে সন্দেহ করে না। তবে আমি তাকে অবন্তীর ব্যাপারটা বলেছি। নীলা অবশ্য অবন্তীকে চিনতে পারল না। কারণ সে অবন্তীর ছবি দেখেনি। অবন্তী ফুলের তোড়া দিয়ে নীলাকে অভ্যর্থনা জানাল। আমি হেসে পরিচয় করালাম," আমার ফ্রেন্ড।"

 

নীলা আর অবন্তী করমর্দন করল। সেলফিও তুলল। আমি 

মুখে একটি বিনয়ী হাসি নিয়ে তাদের দেখলাম। খেতে বসার সময় আমরা একই টেবিলে বসেছিলাম। অবন্তী একদম আমার বরাবর চেয়ারে। আমি নীলাকে খাইয়ে দেওয়ার সময় দেখলাম অবন্তী নিজের চোখ চুলকাচ্ছে। তার চোখে কি সত্যি কিছু পড়েছে নাকি যা ভাবছি তাই? ওসব আর ঘাটতে মন চাইল না। এখন নীলাই আমার দুনিয়া। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হ্য আমার সকল চিন্তা-ভাবনা। 

 

অবন্তী আমার বউ হতে পারেনি কিন্তু নীলা পেরেছে। এখানেই তার সফলতা। তবে এই কথাও সত্যি যে অবন্তীকে আমি কখনও নিজের পরিবারের যোগ্য মনে করিনি। সে শুধু আমার জন্য যোগ্য ছিল। আমার মন ভালো করার ঔষধ ছিল। কিন্তু তাকে বিয়ে করলে আমার পরিবারের মান-সম্মান কমতো বৈ বাড়তো না! অবন্তী কিছুটা খাটো, মোটা, গায়ের রঙও ময়লা। তার পরিবারেও নানান সমস্যা আছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সে। প্রেম করার সময় তো ওসব আমি দেখিনি। কেবল দেখেছিলাম তার চমৎকার হাসি, প্রাণবন্ততা, উচ্ছলতা, পাগলামি পনা। কিন্তু বিয়ের জন্য তো এগুলো যথেষ্ট নয়৷ বিয়ে একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা। আর অবন্তী মোটেও সামাজিক ছিল না।

 

এদিক থেকে নীলা একদম পারফেক্ট। তার বাবার সমাজে ভালো নাম-ডাক আছে। সে দেখতেও সুন্দরী। ছ'ফুট আমার পাশে পাঁচফুট আট নীলাকেই মানায়। অবন্তীর মতো লিলিপুটকে নয়। কথাগুলো ভর্ৎসনার সুরে বলা হলেও যে সত্যি কথা! বাস্তবতার কাছে ভালোবাসার অনুভূতি বড় অসহায়,তুচ্ছ। অবন্তীর আগমনে আমার বাবা-মা মোটেও খুশি ছিলেন না। কারণে-অকারণে তারা আমাকে ধমকানোর চেষ্টা করছিলেন। বাবা তো বলেই ফেললেন," এই মেয়ে এইখানে কি করে?"

 

আমি সামলানোর জন্যে বললাম," বাদ দাও না বাবা। আমার দাওয়াত পেয়ে এসেছে।"

 

" তুই দাওয়াত দিতে গেলি কেন? আবার যদি কোনো ভেজাল লাগে?"

 

অবন্তী কথাটা শুনে ফেলল। আমি অপ্রস্তুত হলাম৷ কিছু একটা বাহানা বানিয়ে সরে যেতে চাইলাম। তখনি অবন্তী মুচকি হেসে বলল," আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল, ভালো আছেন?"

 

বাবা তার সালামের উত্তর দিলেন না। আমার অপরাধবোধ বাড়তে লাগল। জানি না কেন এতো অপরাধবোধে ভুগছি আমি! হয়তো এজন্যই যে একসময় আমি ছিলাম ছন্নছাড়া যুবক। তখন অবন্তী ছায়ার মতো আমার পাশে ছিল। আজ আমার সবই আছে শুধু অবন্তী নেই। আমিই তাকে পাশে রাখতে চাইনি। এজন্য তার অযোগ্যতাই দায়ী। সে যদি যোগ্য হতো তাহলে নিশ্চয়ই আমার পাশে স্থান পেতো৷ 

 

অনুষ্ঠানের শেষদিকে ঘনিয়ে এলো বিদায়বেলা। নীলা তার মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে। আমার উচিৎ নীলাকে সান্ত্বনা দেওয়া। কিন্তু অবন্তী অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। আমি কিছু একটা বাহানা করে নীলাদের থেকে ছুটে আমি অবন্তীর কাছে গেলাম। তার পথরোধ করে প্রশ্ন করলাম," চলে যাচ্ছেন?"

 

অবন্তী একটু চমকালো। হয়তো পালাতে চাইছিল। আমাকে দেখে জোরপূর্বক হাসল। চোখ কচলে বলল," হ্যাঁ অনেক তো হলো। এবার বিদায়ের পালা।"

তার শেষ বাক্যে বিষাদের সুর। মনে একটা ধাক্কার মতো লাগল আমার। আমি ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলাম," আমার গিফট কোথায়?"

 

" মানে?" অবন্তী যেন অবাক। আমি মুচকি হেসে বললাম," আপনিই না সেদিন বললেন? আমাকে বিয়েতে সেরা উপহারটা দিবেন? হয়তো এর চেয়ে সেরা উপহার আমাকে কেউ দিতে পারবে না!"

 

অবন্তী আত্মবিশ্বাসের সাথে বলল," হয়তো না। আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিত। এর চেয়ে সেরা উপহার আপনাকে আর কখনও কেউ দিতে পারবে না।"

 

" তাই যদি হয়, তাহলে না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন কেন? উপহারটা দিন!"

 

আমি হাত পাতলাম। অবন্তী মলিন দৃষ্টিতে আমার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে কেমন ভাঙা কণ্ঠে বলল," আসলে উপহারটা খুব দামী। তবে আমার কাছে। কিন্তু এমনও হতে পারে যে আপনার কাছে এই উপহারের কোনো মূল্য থাকবে না। তাই ভাবলাম, দরকার কি? এটা বরং আমার কাছেই থাকুক। আপনাকে না দেই।"

 

" এখন তো এসব বললে হবে না। আমি জানতে চাই কি সেই উপহার! আমাকে দেখান প্লিজ। যদি সত্যিই দেখি গুরুত্বহীন কিছু তাহলে আপনাকে ফিরিয়ে দিবো। আর যদি মূল্যবান হয় তাহলে এটা আমার।"

 

" আপনি মূল্যবান জিনিস খুব পছন্দ করেন, তাই না রাজ?"

 

আমি মাথা চুলকে হাসলাম।

 

অবন্তী তার ব্যাগ থেকে একটি ফটো এলবাম বের করল। এলবামটির উপরের লেখা দেখেই থমকে গেলাম। অবন্তী লভস রাজ। ভেতরে আমাদের তিনবছরের সম্পর্কের সমস্ত ছবি, মেসেজের প্রিন্টেড স্ক্রিনশট, অবন্তীকে দেওয়া আমার সকল চিরকুট। আবেগ মাখানো কবিতা। এই ধরণের কবিতা আমার মাথায় আসে না বহুদিন! নীলার জন্য কখনও লিখতে ইচ্ছে হয়নি। অথচ অবন্তীর জন্য লিখেছিলাম। তাকে নিয়ে কত জায়গায় ঘুরতাম! কত-শত পাগলামি করেছিলাম দু' জন। 

 

দুইহাজার টাকায় অবন্তীর জন্য একটা ড্রেস কিনেছিলাম। নীলার জন্যও কত-শত জামা কিনেছি, আরও দামী, আরও চমৎকার। কিন্তু সেই পোশাকগুলো পরে নীলা আমার সামনে এলে কখনও চোখ ছলছল করেনি। অথচ অবন্তী যেদিন প্রথমবার আমার দেওয়া ড্রেসটা পরে সামনে এসেছিল, আমি অবুঝের মতো কেঁদে ভাসিয়েছিলাম।একদিন অবন্তী রাগ করে আমাকে ব্লক মেরে দিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। সেদিন সারারাত ধরে আমি তার আইডিতে একশো উনত্রিশ বার স্যরি লিখে মেসেজ করেছিলাম। না, এই ধরণের পাগলামি নীলার সাথে কখনও করা হয়নি। একসাথে ছবিগুলো দেখতে দেখতে কেমন যেন নস্টালজিয়ায় পৌঁছে গেলাম। একসময় হেসে বললাম,

 

" তখন কত ছেলে মানুষ ছিলাম আমরা তাই না? সবই আবেগ! এখন আবেগের পর্দা উঠে গেছে অবন্তী। বাস্তবতা সামনে এসেছে। তাই আমি বুঝি, সংসার করার জন্য প্রেম যথেষ্ট নয়। আরও অনেক কিছু প্রয়োজন।"

 

অবন্তী চোখ মুছতে মুছতে বলল," ঠিক বলেছো তুমি। একদম ঠিক। কিন্তু কি বলোতো, আমার কাছে এই আবেগের মূল্য অনেক বেশি। কোটি কোটি টাকার চেয়েও বেশি৷ তাই এই উপহার তুমি রাখতে পারবে না৷ এটা আমার কাছেই থাকুক। সংসার করার জন্য নয়, আমি তোমাকে ভালোবাসার জন্যই ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু তুমি আমার বাহ্যিক যোগ্যতা খুঁজেছো। এসব আন্তরিক অনুভূতি তোমার কাছে তুচ্ছ। এভাবেই ভালো থেকো তুমি। আর এভাবে একাই ভালো থাকবো আমি।"

 

" তুমি তো এখনও খুব বোকা রয়ে গেছো অবন্তী!"

 

" হ্যাঁ ঠিক। দোয়া করো, যাতে আমার মতো বোকা কেউ আমার জীবনে চলে আসে। তোমার মতো বুদ্ধিমান মানুষের সাথে আমার বনবে না। আমার মতো বোকা মেয়ে কখনও তোমার যোগ্য হতে পারবে না।"

 

অবন্তী চলে যাওয়ার সময় আমি একটি অদ্ভুত বিষয় লক্ষ্য করলাম। ঠিক আড়াই বছর পর যেন আগের মতোই আমরা একে-অপরকে 'তুমি' বলে সম্বোধন করেছি। এর মানে কি আমাদের দেহ এখানে থাকলেও মন আড়াই বছর পেছনে চলে গিয়েছিল? ইশ, এতো বেশি হাহাকার হচ্ছে কেন বুকে! ইচ্ছে করছে পুরো পৃথিবী তছনছ করে দিয়ে হলেও একবার অবন্তীকে পিছু ডাকি। পাশে বসিয়ে কিছু বলি। কিন্তু তা যে আর সম্ভব নয়। ভালোবাসা, প্রেম, আবেগের চেয়েও বাস্তবতা, সামাজিকতা, দায়বদ্ধতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে! ..

 

Comments
Read more