বাংলাদেশ বর্তমানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে:
মুদ্রাস্ফীতি: ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যবৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি 11.66%-এর 12 বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এটি পরিবারের বাজেটের উপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে এবং জীবনযাত্রার খরচ বাড়িয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ: দেশটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতনের সম্মুখীন হচ্ছে, যা প্রয়োজনীয় পণ্য এবং পরিষেবা আমদানি করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই পতন আংশিকভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিদেশী শ্রমিকদের কাছ থেকে কম রেমিট্যান্সের কারণে।
ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সমস্যা: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে গভীরতর তারল্য সংকট রয়েছে, যা ব্যবসার জন্য ক্রেডিট অ্যাক্সেস করা কঠিন করে তুলেছে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বেকারত্ব: উচ্চ যুব বেকারত্ব একটি স্থায়ী সমস্যা রয়ে গেছে। অনেক তরুণ-তরুণী তাদের দক্ষতার সাথে মেলে এমন চাকরি খুঁজে পায় না, যার ফলে হতাশা এবং সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর দাবিগুলিকে মোকাবেলা করার সময় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার কঠিন কাজের মুখোমুখি হয়।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার, শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা। এই অস্থির সময়ে বাংলাদেশকে নেভিগেট করতে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ হবে।