সম্ভবত জানুয়ারি ২০১৪র জানুয়ারিতে নীলফামারী যাই। সেখানে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে লক্ষীচাপ ইউনিয়নের বাজারে আসাদুজ্জামান নূরের নির্বাচনী গাড়িবহরে হামলা হয়। সেই হামলায় উভয়পক্ষের ২ জন করে ৪ জন নিহত হয়।
আমি দুজন নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এক বিধবা সন্ধ্যার মুখে জবুথবু এক টিনের ঘরে বসে ছিলেন দুই সন্তান নিয়ে। তার স্বামী বিএনপি কর্মী। ওই হামলার দিন মারা গিয়েছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, তিনি প্রতিশোধ নেবেনই নেবেন।
তারপরে যাই এলাকার অবস্থাপন্ন এক আওয়ামী পরবারের বাড়িতে। তাঁদের রাবি পড়ুয়া ছেলেটিও ওই হামলায় মারা যায়। সেই বাড়িতেও শোকের থমথমে ভাব।
এই ঘটনার পরে বিভিন্ন সময়ে অন্তত ৩ জনের লাশ রাস্তার পাশে পাওয়া যায়। একজন ছিল রাবি’র ছাত্র। কেউ ক্রসফায়ারে, কেউবা নির্যাতনে নিহত। এরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী। এর পরে আরো লাশ পাওয়া গেছে। অনেকে জেলে পচেছে, পঙ্গু হয়েছে। আসাদুজ্জামান নূর তখন এমপি। এই হত্যাকাণ্ডগুলি তাঁর প্রতিশোধে, তাঁর জ্ঞাতসারে ঘটেছে। আর সব অভিযোগ বাদ দিলাম, তিনি এসব হত্যার দায় এড়াতে পারেন না।