বাসায় নন-মাহরাম মেইনটেইন করা বেশ কঠিন কাজ। যদি সেটা জয়েন্ট ফ্যামিলি হয় বা গ্রামের কোনো বাসা হয়, তবে খানিকটা বেশিই ঝামেলার। আমিও মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হই যেখানে নন-মাহরাম মানা তো দূরে থাক তাদের কাছে নন-মাহরাম এর সংজ্ঞাই অজানা। সেসকল পরিস্থিতিতে বেশ যু/দ্ধ করেই মানতে হয় আল্লাহর বিধান। তখন আমার কুরআনের একটা আয়াত মনে পড়ে, "নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
এমন পরিস্থিতিতে যখন আমি পরতাম তখন কী করতাম? হুটহাট নন-মাহরাম লোকজন আসা যাওয়া হবে এমনটা যেহেতু আমি আগে থেকেই জানি, তাই আমি সবসময়ই খিমার পরে থাকতাম। কোনো কোনোদিন আমার রাতে নিকাব পরেই ঘুমাতে হয়েছে। এটা আসলে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলার কারণ রয়েছে। কারণ আমি যদি এমন কিছু বলি যা আমার নিজেরই করা হয়নি, তাহলে সেটা খুব একটা কার্যকর না হতে পারে। আসলে স্রোতের বিপরীতে হাঁটা বেশ কঠিন তবে রব্বের বিধান মানবেন আর রব্বের সাহায্য থাকবেনা তা হতে পারেনা৷
যারা বলেন, বাসায় নন-মাহরাম কিভাবে সামলাতে পারি?
১. একটু কষ্ট করে হলেও সুতির নরম্যাল খিমার বা লিলেনের খিমারগুলো পরতে পারেন। এটা ছাড়া আর কোনো পথ থাকলে আপনারাই আমাকে জানাতে পারেন ইন শা আল্লাহ।
২. বাহিরে খিমার ছাড়া বের হওয়ার প্রয়োজন ই নাই কারণ কোনদিক থেকে কে কখন আসবে তা নিশ্চয়ই আপনার জানার কথা না।
৩. যদি খুবই গরম লাগে তাহলে একান্তে কোনো রুমে গিয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে যান। নিশ্চয়ই দুনিয়ার আগুনের তুলনায় জাহান্নামের আগুন আরও বেশি মারাত্মক। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হেফাজত করুন আমাদের।
৪. লোকের কথাকে প্রাধান্য দিলে, তাদের কথায় হতাশ হলে আপনি হেরে যাবেন কিন্তু শয়/তান জিতে যাবে ঠিকই।
৫. আর অবশ্যই তাদের নসীহা দেওয়া ও আল্লাহর নিকট দোয়া করতে ভুলে যাবেন না। আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে। ইন শা আল্লাহ আপনিই জয়ী হবেন এই সংগ্রামে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের জন্য সহজ করে দিন। আমার যেসকল বোনেরা নন-মাহরাম মানতে আজ পারছেনা, তারা ইন শা আল্লাহ শুরু করে দিন আস্তে আস্তে।
মৃত্যু অতি কাছে কখন কার ডাক আসবে আমরা কেউই জানি না।
মৃত্যু বয়স সীমা নেই,হুট করে এসে পাকরে ধরবে হও তুমি কোটিপতি আর লাখপতি তোমার আর কোনো রেহায় নাই।
ছোট থেকেই কত চুল ছেড়ে ঘুরেছে কতশত ছেলে বন্ধু পাতিয়েছি।
কতশত দুষ্টুমিময় কথা বলেছি।আজ নন মাহরম নিয়ে ভয় হয়।ভাবতেই গায়ে কাটা দেয় কত গুনাহ জমা হয়েছে
তওবা করেছি:আস্তাগফিরুল্লাহ
আমি সবাই ছোট বাচ্চাদের ছোট বেলা থেকেই মাহরম নন মাহরম সম্পর্কে কে জ্ঞান লাভ করব, জেনো আমাদের মত বড় হয়ে আফসোস না করে।
আমাদের বাবা-মা রা কর্মব্যস্ততার কারনে হয়তো আমাদের সময় দিতে পারিনি।আমরা এ ভূলটা কোনো ভাবেই করবো না।